[su_heading size=”30″ margin=”30″]অক্ষর ও বর্ণ[/su_heading]
[su_heading size=”17″ margin=”30″]খন্দকার শহিদুল হক[/su_heading]
এবার তবে প্রভেদ শিখি
অক্ষর এবং বর্ণে
বর্ণ থাকে প্রতীক হয়ে
অক্ষর থাকে কর্ণে।
লিখতে গেলেই বর্ণ লাগে
বর্ণ থাকে পাতায়
উচ্চারিত শব্দগুলো
থাকবে না আর খাতায়।
একবারে যা উচ্চারিত
অক্ষর বলে তাকে
লিখতে হলেই বর্ণ লাগে
বর্ণ সেথায় থাকে।
‘বাংলা’তে হয় দুইটি অক্ষর
বর্ণ আছে তিনটি
বর্ণ অক্ষর বুঝে গেলেই
কাটবে ভালো দিনটি।
একটি অক্ষর স্বরবৃত্তে
একটিই হবে মাত্রা
লিখতে ছড়া হিসাব করে
করুন এবার যাত্রা।
মন্তব্য:
১) বাগযন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়াসে একবারে যে ধ্বনি উচ্চারিত হয় তাকে অক্ষর(Syllable) বলে।
২) অক্ষর আর বর্ণ নিয়ে বিভ্রাট ঘটে। কখনো কখনো বর্ণকে অক্ষর বলে। কিন্তু অক্ষর উচ্চারণভিত্তিক, বর্ণ লিপিভিত্তিক।যেমন- বাংলা এই শব্দে দুটো অক্ষর তিনটি বর্ণ আছে। বাং>১+ লা>১ দুটি অক্ষর। ব ং ও ল > তিনটি বর্ণ।উল্লেখ্য, অক্ষর দুটি অক্ষরের সমষ্টি।
৩) বর্ণ হলো ধ্বনির লিখিত রূপ। যেমন- অ আ/ক খ ইত্যাদি।
৪) বর্ণ থাকে লিখিত আকারে। আর অক্ষর থাকে শব্দাকারে।
৫) শুধু উচ্চারণের আশ্রয়ের জন্য শব্দের অক্ষর নির্ণয় করতে হয়।
৬) স্বরবৃত্ত ছন্দে একটি অক্ষর এক মাত্রা গণ্য হয়।
অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক: