Your Logo
Facebook
Twitter
Google-plus
Envelope
[su_heading size=”30″ margin=”30″]অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিট মানে ষাঁড় পারাপার ইউনিভার্সিটি[/su_heading]
[su_heading size=”17″ margin=”30″]প্রমিতা দাশ লাবণী[/su_heading]
‘গো +এষণা’ থেকে গবেষণা। ভারতবর্ষের পণ্ডিতগণ ‘গো’ খোঁজার মধ্যে গবেষণার নিষ্ঠা খুঁজে পেয়েছিলেন। ইংল্যান্ড বা যুক্তরাজ্যের পণ্ডিতগণ এই নিষ্ঠা খুঁজে পেয়েছিলেন ষাঁড়-পারাপারে।ওদের নিষ্ঠা ছিল সহিংসতায়, আর ভারতবর্ষের নিষ্ঠা ছিল দুর্বলতার আড়ালে সৃজিত স্নিগ্ধ মমতায়। তবে উভয়ের একটা বিষয়ে চমৎকার মিল ছিল — ভারতবর্ষেও গো মানে যাওয়া এবং ওখানেও go (গো) মানে যাওয়া। আমরা ব্যস্ত ছিলাম কেবল যাওয়া-আসায় আর ওরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত হয়ে পড়ত দেশ দখলে।

[su_dropcap style=”flat” size=”4″]স[/su_dropcap]প্তম শতকে প্রচলিত প্রাচীন ইংরেজি শব্দ ‘oxa’-এর অর্থ ছিল ‘ox’, বাংলায় — ষাঁড় এবং ‘forda’ মানে ford, বাংলায়— অগভীর নদী, নদীর পাশেই ছিল গোয়াল ঘর। অনেকে বলেন fort বা পরিখা। তবে এখানে ষাঁড় রাখা হতো বলে এর উপযুক্ত বাংলা হতে পারে, ‘গোয়াল ঘর’। অগভীর নদীকে বলা হতো ford। বলা হয়— এই ford শব্দ থেকে fort শব্দের উদ্ভব।নদী-পাড়ে অবস্থিত এই গোয়ালে কেবল সেসব অবাধ্য ও হিংস্র ষাঁড়গুলোকে রাখা হতো, যেগুলো নদী পার হতে চাইত না। গোয়ালে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সাঁতরে নদী পার হওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হতো। ছবিতে দেখুন, অক্সফোর্ডের ষাঁড় কেমন ভয়ানক ছিল। ষাঁড়ের মূর্তিটি আগের মতো এখনো অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মর্যাদার প্রতীক। যা প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষার্থীদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
[su_dropcap style=”light” size=”4″]অ[/su_dropcap]গভীর নদীর পাশে ‘ষাঁড়ের গোয়াল ঘর’ গড়ে তোলা হয় এবং পাশে গড়ে তোলা হয় ইউনিভার্সিটি— যার নাম দেওয়া হয় ‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি বা ইউনিভার্সিটি অভ অক্সফোর্ড। ষাঁড়-পারাপারের জন্য নির্মিত গোয়াল ঘরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা অগভীর নদীর এক পাশে গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ষাঁড়ের ন্যায় নদী বা সমুদ্র পার হওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে সাগরের ওপারে পাঠিয়ে দেওয়া শুরু হয়— তাদের উদ্দেশ্য ছিল যে-কোনো উপায়ে অন্যের দেশ দখল। যুক্তরাজ্যের বিশ্বব্যাপী উপনিবেশ স্থাপনে ষাঁড়-পারাপার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ ষাঁড়দের ভয়ানক ভূমিকা ছিল।

[su_dropcap style=”simple” size=”4″]ন[/su_dropcap]দীর পাশে অবস্থিত ষাঁড়ের গোয়ালে ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলার কারণ ছিল। যুক্তরাজ্যের পণ্ডিতবর্গ বুদ্ধি করে ‘ষাঁড়ের মতো অবাধ্য, নিষ্ঠুর ও বর্বর প্রকৃতির শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য কিছু ষাঁড়কে সরিয়ে, ষাঁড়ের পাশে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে—এটিই বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।তখন এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সমুদ্র পারাপারের জন্য প্রশিক্ষণরত ষাঁড় বলে উপহাস করা হতো। কারণ, তাদের আচরণ ছিল ষাঁড়ের মতো বেপরোয়া। এবং অধ্যয়ন শেষে তাদের কাজও ছিল ষাঁড়ের মতো নদী/সমুদ্র পার হয়ে জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ এবং দেশ দখল করা। অনেকে নাকি এখনো ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ষাঁড়ের গন্ধ খুঁজে পান।প্রথম থেকে বিংশ শতক অবধি অক্সফোর্ড থেকে সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা নিষ্ঠুর এবং ‘ষাঁড়-প্রকৃতির ছিল। তাই ষাঁড়গিরির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ দখল এবং শাসন করার জন্য রাজা-রানি তাদের সমুদ্রের ওপারে পাঠিয়ে দিতেন। সেখানে তারা হিংস্র জানোয়ারের মতো সহিংস উল্লাসে স্বদেশিদের উৎখাত করে শাসনের নামে শোষণ করতেন। ভারতবর্ষে যেসব ইংরেজ সমুদ্র পার হয়ে বড়ো বড়ো পদ নিয়ে শাসন করতে এসেছিলেন তাদের অধিকাংশই ছিল ষাঁড়-পারাপার বিশ্ববিদ্যালয়ের ষাঁড়-শিক্ষার্থী।
সূত্র : প্রমিতা দাশ লাবণী, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)।
প্রয়োজনীয় লিংক :