অজানা শব্দের জানা অর্থ

অভিজিৎ অভি

অনেক পরিচিত শব্দের মানে নতুন করে শিখছি। একটি অর্থ জানি, অন্যটি একেবারেই অজানা। কবিরা এই শব্দগুলি কবিতায় ঢুকিয়ে রাখেন, মস্তিষ্ক সেগুলোর পরিচিত অর্থ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে যায় কিন্তু ঠিকমত পারে না।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন “ফুটল সজনী পুঞ্জে পুঞ্জে বকুল যূথি জাতি রে”। এখানে জাতি মানে নানা জাতের ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম, ‘পুঞ্জে পুঞ্জে বকুল ও যূথি জাতীয় ফুল ফুটল’। কিন্তু জাতি শব্দের মানে চামেলী বা মালতী ফুল।

কবিগুরু এখানে বকুল যূথি ও চামেলী ফুল ফোটার কথা বলেছেন।“বিশ্বপাতার বক্ষ কোলেরক্ত তাহার কৃপাণ ঝোলেদোদুল দোলে!”- কাজী নজরুল ইসলামের বিশ্বপাতা মানে কী? বিশ্বকে কবি কোনো গাছের পাতা বা বইয়ের পাতার সাথে তুলনা করেছেন কি?

প্রথমে মনে হবে, তা। আসলে তা ঠিক নয়। বিশ্বপাতা শব্দের পাতা মানে পালনকারী, বিশ্বপাতা মানে বিশ্বপালনকারী অর্থাৎ বিধাতা! জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন “সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে, হয়তো শুনিবে এক এক লক্ষ্মীেপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে।” জীবনানন্দ দাশের এই সুদর্শন কোনো সুন্দর দর্শন জিনিস না, সুদর্শন মানে গোবরে পোকা! প্রথমে শব্দার্থ ছাড়াই কবিতাটা পড়েছিলাম, তখন কিছুই বুঝতে পারিনি!

শুবাচ লিংক

শুবাচ লিংক/২

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২

Language
error: Content is protected !!