অর্ধচন্দ্র
ড. মোহাম্মদ আমীন
দুজনে বিজ্ঞ পণ্ডিতের মধ্যে তর্ক চলছে। তর্কের বিষয় বাগধারা। বিচারক মহাপণ্ডিত, নাম মহামহোপাধ্যায় তর্কালঙ্কার বাক্যবিশারদ।
প্রথম পণ্ডিত : ঊনিশ-বিশ মানে কী?
দ্বিতীয় পণ্ডিত : যোগ না বিয়োগ? যোগ করলে ঊনচল্লিশ, বিয়োগ করলে এক। সন্ধি করলে এক হাজার নয়শ বিশ, গুণ করলে তিনশ আশি।
প্রথম পণ্ডিত : ঠিক বলেছেন। এবার আপনি প্রশ্ন করুন।
দ্বিতীয় পণ্ডিত : আঠারো মাসে বছর অর্থ কী?
প্রথম পণ্ডিত : দেড় বছর। মানে এক বছর ছয় মাস।
দ্বিতীয় পণ্ডিত : ঠিক বলেছেন।
প্রথম পণ্ডিত : ছানাবড়া মানে কী?
দ্বিতীয় পণ্ডিত : ছানা আর বড়া মিশিয়ে প্রস্তুত এক প্রকার নাস্তা। বড় ভালো, এটাতে যখন চিনি খুব বেশি হয় তখন চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। এবার আমার প্রশ্ন, বলুন তো – ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ অর্থ কী?
প্রথম পণ্ডিত : আপনার ছানাবড়ায় যখন আপনার পত্নী চিনির পরিবর্তে খুব বেশি লবণ দিয়ে আপনাকে খেতে দেন তখন তা চড়কগাছ হয়ে যায়।
বিচারক পণ্ডিত : আপনার উভয়ে জ্ঞানী ও মহাপণ্ডিত। ত্রিভুবনে এমন ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকারী পণ্ডিত আর দেখি নি। আপনাদের তর্ক দেখে চন্দ্রমণি পর্যন্ত থেমে গেছে। ঐ যে দেখুন আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে অবাক নয়নে আপনাদের তর্ক শুনছেন। আপনাদের হতবাক হয়ে দেখছেন।
পণ্ডিতদ্বয় : কে জিতেছে?
বিচারক : দুজনে সমান নম্বর পেয়েছেন। উভয়ের দেখি ঊনপঞ্চাশ বায়ু। তর্কে আমার কাছে এত বেশি নম্বর এ পর্যন্ত কেউ পায় নি। আমিও আপনাদের মতো এমন বিজ্ঞ তার্কিক দেখি নি। তাই আমার বিচারে আকাশের ঐ চন্দ্রটিই আপনাদের প্রাপ্য। কিন্তু চন্দ্র মাত্র একটি, দুজনকে কীভাবে দিই? আমার কিছু করার নেই। তাই আপনাদের দুজনকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করতে বাধ্য হচ্ছি।
নদ ও নদীর আসল পার্থক্য ও নামকরণের প্রকৃত কারণ
যমক : শব্দ য়মক অনুপ্রাস : দাশরথ রায়ের যমক
যমক : শব্দ য়মক অনুপ্রাস : ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের যমক
বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত : কৌতুক আর কৌতুক : কৌতুকে সয়লাব