ঋগে্বেদ
সিভিলিয়ান ও দক্ষ প্রশাসক রমেশ চন্দ্র দত্ত (১৮৪৮১৯০৯ খ্রি.) ঋগে¦দের বঙ্গানুবাদ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকু-লার’ উপসংহার ‘মৃন্ময়ী’ লিখে জনপ্রিয় হয়েছিলেন দামোদর মুখোপাধ্যায় (১৮৫৩১৯০৭ খ্রি.)। ঋগে¦দ = (ঋক + বেদ) = ঋগে¦দ। আবার ঋগ শব্দের অর্থ ছন্দ, বেদ অর্থ মন্ত্র বা শ্লোক। সুতরাং ঋগে¦দ অর্থ ছন্দে রচিত মন্ত্র বা শ্লোক।
সংস্কৃত ভাষায় লিখিত প্রথম প্রণয়কাহিনী, সংস্কৃত শব্দের উদ্ভাবক
সংস্কৃত সাহিত্যে সংস্কৃত ভাষায় লিখিত প্রথম প্রণয়কাহিনী সুবন্ধুর ‘বাসবদত্তা’। সুবন্ধুর ‘বাসবদত্তা’র সঙ্গে প্রাচীনতম ইরানি রোমান্স ‘তধৎরধফৎবং’ ও ‘ঙফধঃরং’-এর প্রভাব লক্ষ্যণীয়। প্রসঙ্গত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সংস্কৃতি শব্দটির উদ্ভাবক। রামায়ণ সম্পর্কে জানার জন্য ক্লিক করুন।
শূন্যপুরাণ ও সেক শুভোদয়া
‘শূন্যপুরাণ’ রামাই পণ্ডিত রচিত ধর্মপূজার শাস্ত্রগ্রন্থ। এটি গদ্যপদ্য মিশ্রিত একটি চম্পুকাব্য। গ্রন্থটির অন্তর্গত নিরঞ্জনের রুষ্মা কবিতাটি প্রমাণ দেয় যে, গ্রন্থটি মুসলমান তুর্কিদের বঙ্গ বিজয়ের পর অর্থাৎ ত্রয়োদশ শতকের শেষদিকে রচিত। গ্রন্থটিতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের উপর বৈদিক ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের কাহিনী বর্ণনার সঙ্গে মুসলমানদের জাজপুর প্রবেশ এবং ব্রাহ্মণ্য দেবদেবীর রাতারাতি ধর্মান্তর গ্রহণের কাল্পনিক চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতকের গোড়ার দিকে সংস্কৃত গদ্যপদ্যে রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি হলায়ুধ মিশ্র ‘সেক শুভোদয়া’ চ¤পুকাব্যটি রচনা করেন। রাজা লক্ষ্মণ সেন এবং শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজির অলৌকিক কাহিনী অবলম্বনে গ্রন্থটি রচিত। শেখের শুভোদয় অর্থাৎ শেখের গৌরব ব্যাখ্যা পুস্তিকাটির উদ্দেশ্য। সেক শুভোদয়ার প্রেমসঙ্গীতটি প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের একমাত্র নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। মহাভারত দেখুন।
আরও জানার জন্য : ক্লিক করুন।