বাংলা বর্ণমালা
মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন
বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ আছে ৫০টি। (স্বরবর্ণ ১১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি)
বাংলা বর্ণমালায় মোট স্বরবর্ণ ১১টি (হ্রস্ব স্বর ৪টি + দীর্ঘ স্বর ৭টি)
বাংলা বর্ণমালায় মোট ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি (প্রকৃত ৩৫টি + অপ্রকৃত ৪ টি)
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রাযুক্ত বর্ণ আছে ৩২টি (স্বরবর্ণ ৬টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ২৬টি)
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রাযুক্ত বর্ণ আছে ৮টি (স্বরবর্ণ ১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৭টি)
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ আছে ১০টি (স্বরবর্ণ ৬টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৪টি)
বাংলা বর্ণমালায় কার আছে এমন স্বরবর্ণ ১০টি (“অ” ছাড়া)
বাংলা বর্ণমালায় ফলা আছে এমন ব্যঞ্জণবর্ণ ৫টি (ম, ন, ব, য, র)
বাংলা বর্ণমালায় স্পর্শধ্বনি/বর্গীয় ধ্বনি আছে ২৫টি (ক থেকে ম পর্যন্ত)
বাংলা বর্ণমালায় কন্ঠ/জিহবামূলীয় ধ্বনি আছে ৫টি (“ক” বর্গীয় ধ্বনি)
বাংলা বর্ণমালায় তালব্য ধ্বনি আছে ৮টি (“চ” বর্গীয় ধ্বনি + শ, য, য়)
বাংলা বর্ণমালায় মূর্ধন্য/পশ্চা ৎ দন্তমূলীয় ধ্বনি আছে ৯টি (“ট” বর্গীয় ধ্বনি + ষ, র, ড়, ঢ়)
বাংলা বর্ণমালায় দন্ত্য ধ্বনি আছে ৭টি (“ত” বর্গীয় ধ্বনি + স, ল)
বাংলা বর্ণমালায় ওষ্ঠ্য ধ্বনি আছে ৫টি (“প” বর্গীয় ধ্বনি)
বাংলা বর্ণমালায় অঘোষ ধ্বনি আছে ১৪টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনি + ঃ, শ, ষ, স)
বাংলা বর্ণমালায় ঘোষ ধ্বনি আছে ১১টি (প্রতি বর্গের ৩য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ধ্বনি আছে ১৩টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনি + শ, ষ, স)
বাংলা বর্ণমালায় মহাপ্রাণ ধ্বনি আছে ১১টি (প্রতি বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
বাংলা বর্ণমালায় নাসিক্য/অনুনাসিক ধ্বনি আছে ৮টি (প্রতি বর্গের ৫ম ধ্বনি +ং, ৺, ও)
বাংলা বর্ণমালায় উষ্ম/শিষ ধ্বনি ৪টি (শ, ষ, স, হ)
বাংলা বর্ণমালায় অন্তঃস্থ ধ্বনি ৪টি (ব, য, র, ল)
বাংলা বর্ণমালায় পার্শ্বিক ধ্বনি ১টি (ল)
বাংলা বর্ণমালায় কম্পনজাত ধ্বনি ১টি (র)
বাংলা বর্ণমালায় তাড়নজাত ধ্বনি ২টি (ড়, ঢ়)
বাংলা বর্ণমালায় পরাশ্রয়ী ধ্বনি ৩টি (ং, ঃ, ৺)
বাংলা বর্ণমালায় অযোগবাহ ধ্বনি ২টি (ং, ঃ)
বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক ধ্বনি ২টি (ঐ, ঔ)
বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরধ্বনি ২৫টি
বাংলা বর্ণমালায় খন্ডব্যঞ্জণ ধ্বনি ১টি (ৎ)
বাংলা বর্ণমালায় নিলীন ধ্বনি ১টি (অ)
বাংলা বর্ণমালায় হসন্ত/হলন্ত বর্ণ বলা হয় ক্, খ্, গ্ এধরণের বর্ণকে
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধস্বর ২টি (য, ব)
[অধ্যাপক নাঈমা সেহেলী: খন্ড-ত (ৎ) কে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ধরা হয় না । এটি ‘ত’ বর্ণের হস-চিহ্ন যুক্ত (ত) -এর রূপভেদ মাত্র । তাই খন্ড-ত কে খন্ড ব্যঞ্জন ধ্বনি বলে । ‘অ’ স্বরবর্ণটি সাধারণত শব্দের মাঝে অন্য বর্ণের মধ্যে বিলীন হয়ে থাকে বলেই নিলীন বর্ণ বলা হয় । নিলীন মানে বিলীন , নিমগ্ন , অন্তর্হিত ।]
[ খুরশেদ আহমেদ: ‘বাংলা বর্ণমালায় ফলা আছে এমন ব্যঞ্জণবর্ণ ৫টি (ম, ন, ব, য, র)।জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত এবং মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী রচিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (২০১৫) থেকে পাই: ‘বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা ছয়টি।’ আমি যখন ন-ফলা (মধ্যাহ্ন) ও ণ-ফলাকে (অপরাহ্ণ) এবং বর্গীয় ব-ফলা (লম্বিত) ও অন্তঃস্থ ব-ফলাকে (ত্বরিত) আলাদা করে দেখি─এবং ওভাবে আলাদাভাবে না-দেখার আমি কোনো কারণ দেখি না─তখন আমার বলতে ইচ্ছা করে বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা প্রকৃতপক্ষে আটটি। যদি বর্গীয় ব-ফলা ও অন্তঃস্থ ব-ফলাকে একই প্রতীকের কারণে একটি ফলা বলে মেনে নেই, তাহলেও ফলা দাঁড়াচ্ছে অন্তত সাতটি। ও রকম ভাবনা একেবারেই অসঙ্গত কি?]
{Sharif Hossain Syeed বর্গীয় ব-ফলা এবং অন্ত:স্থ ব-ফলাকে আলাদা ভাবে দেখানো উচিত কারণ এই দুই ফলার উচ্চারণ ভিন্ন, যেমন উদ্বেল শব্দে বর্গীয় ব-লা থাকার কারণে উচ্চারণ ‘উদ্.বেল’ কিন্তু বিদ্বান শব্দে অন্ত:স্থ ব-ফলা থাকার কারণে উচ্চারণ ‘বিদ্ওয়ান’ হয়েছে (সঠিক উচ্চারণ একটু ভিন্ন হতে পারে)। একই ভাবে ণ-ফলা ও ন-ফলাকেও আলাদা ভাবে দেখানো উচিত। হায়াৎ মামুদের ‘বাংলা লেখার নিয়ম কানুন’ বইয়েও ৮ টি ফলার কথা বলা হয়েছে। আবার সংসদ ব্যাকরণ অভিধানে একটি অতিরিক্ত জ-ফলার কথাও বলা হয়েছে, এবং বলা হয়েছে জ-ফলার ব্যবহার নিতান্তই কম।]
সূত্র: মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)।
বানান সূত্র ও সন্ধি : শুদ্ধ বানানের ষড়সূত্র
বাংলা ধ্বনি/ চিহ্নের হিসাব-নিকাশ : অক্ষর ধ্বনি ও বর্ণ
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন