মূর্ধন্য-ণ নয় কেন
ড. মোহাম্মদ আমীন
ক্ষণ, এক্ষণ, এক্ষণে, ক্ষুণ্ন মনে ‘মূর্ধন্য-ণ’ কিন্তু ‘ এক্ষুনি’ ও ‘ক্ষুন্নিবৃত্তি’ বানানে ‘দন্ত্য-ন’ কেন?
‘ষ’ কিংবা শেষে ‘ষ-যুক্ত’ (যেমন: ক্ষ প্রভৃতির) বর্ণের পর উ-কার, ও-কার বা উ-কার যুক্ত ‘মূর্ধন্য-ণ’-এর স্থলে দন্ত্য-ন’ হয়। এজন্য ক্ষণ, এক্ষণ, এক্ষণে প্রভৃতি বানান ‘মূর্ধন্য-ণ’ হলেও ‘এক্ষুনি’ বানানে ‘দন্ত্য-ন’। তেমনি, ক্ষুন্নিবারণ, ক্ষুন্নিবৃত্ত, ক্ষুন্নিবৃত্তি কিন্তু ক্ষুণ্ন, ক্ষুণ্নমনা প্রভৃতি।
এক্ষুনি বানানে কখনো মূর্ধন্য-ণ দেবেন না। যদি দিয়ে থাকেন, তাহলে তা ‘এক্ষুনি’ তুলে ফেলুন। নইলে ভুল হবে। কারণ কী? মনে রাখার জন্য বলি- খুনি বানানে ‘দন্ত্য-ন’। তাই ‘এক্খুনি’ হিসেবে উচ্চারিত কোনো বর্ণেই ‘মূর্ধন্য-ণ’ হবে না। যেমন: ক্ষুন্নিবৃত্তি।
ফাউ:
এণ: বাংলাদেশ-সহ পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র বনজঙ্গলে বিচরণ করে এমন মেদহীন সুন্দর দেহ বড়ো চোখ এবং দুটি বড়ো ও দুটি ছোটো খুরবিশিষ্ট চুতষ্পদ তৃণভোজী দ্রুতগামী প্রাণী, কুরঙ্গ, হরিণ, মৃগ। এণক অর্থ ছোটো হরিণ। এণাক্ষী অর্থ হরিণের মতো চোখবিশিষ্ট, মৃগনয়না।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
শুদ্ধ বানান চর্চা প্রমিত বাংলা বানান বিধি : বানান শেখার বই
প্রায়শ ভুল হয় এমন কিছু শব্দের বানান/২