ড. মোহাম্মদ আমীন
“এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে…” বাক্যে এতদ্বারা শব্দটির দ্বারা কী বুঝানো হয়?
এতদ্বারা (এত+দ্বারা) বানানের কোনো শব্দ কোনো অভিধান নেই। হয় না। যদি থেকে থাকে, তাহলে তার অর্থ কী হতে পারে দেখুন।

এতদ্বারা= এত+দ্বারা। অভিধানমতে, সংস্কৃত এতবৎ থেকে উদ্ভূত এত শব্দের অর্থ (বিশেষণে) এই পরিমাণ, অনেক, বেশি।সুতরাং, এতদ্বারা শব্দের অর্থ হয়—এই পরিমাণ দ্বারা, অনেক দ্বারা, বেশি দ্বারা।
সে হিসেবে “এতদ্বারা জানানে যাচ্ছে যে—” কথাটির অর্থ হয়— “এই পরিমাণ দ্বারা/ অনেক দ্বারা/ বেশি দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে- —।” এটি একটি হাস্যকর কথা।
আসলে শব্দটির বানান হবে এতদ্দ্বারা (এতদ্+দ্বারা)। যার অর্থ (অব্যয়ে) ইহার দ্বারা। প্রসঙ্গত এতদ্ (ই+তদ্) হচ্ছে ঘোষ বর্ণের পূর্বে এতৎ শব্দের রূপ। যেমন—এতদ্বিষয়, এতদ্ব্যতীত, এতদ্হেতু।
এ বিবেচনায়, “এতদ্দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে- – -” কথার অর্থ হয়, ইহার দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে- – -।
সূত্র: ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি. ড. মোহাম্মদ আমীন,
ফেরারী> ফেরারি; আসামী> আসামি।১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত বাংলা বানান বিধি অনুযায়ী বিদেশি শব্দে ঈ-কার হয় না; ই-কার হয়। তাই এখন লেখা হয় ফেরারি ও আসামি।
পর্য্যন্ত> পর্যন্ত; য-এ রেফ থাকলে য-ফলা হয় না। অর্থাৎ দ্বিত্ব শব্দে রেফ হয় না। তাই এখন লেখা হয় পর্যন্ত।
পুরষ্কার>পুরস্কার। তখন স-এর যুক্ত বর্ণ লেখা যেত না। তাই লেখা হতো ষ্ক, ষ্ট ইত্যাদি। শুদ্ধ বানান পুরস্কার।
দেশী> দেশি: শুদ্ধ বানান দেশি। অতৎসম শব্দে সাধারণত ই-কার হয়। বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত দেশি শব্দটি সংস্কৃত দৈশিক থেকে উদ্ভূত খাঁটি বাংলা শব্দ।