এন্টিগুয়া এন্ড বারবুডা (Antigua and Barbuda) : ইতিহাস ও নামকরণ

কীভাবে হলো দেশের নাম ( উত্তর আমেরিকা)

ড. মোহাম্মদ আমীন

এন্টিগুয়া এন্ড বারবুডা (Antigua and Barbuda)

এন্ডিগুয়া: স্পেনিশ সান্টা মারিয়া লা  এন্টিগুয়ার শব্দগুচ্ছের শেষ শব্দ এন্টিগুয়া হতে এন্টিগোয়া নামের উৎপত্তি। এর অর্থ প্রাচীন বা

প্রকাশক: পুথিনিলয়। উত্তর আমেরিক।

পুরাতন। চতুর্দশ শতকে নির্মিত ক্যাথিড্রাল অব সেইন্ট মেরি অব দ্যা সি স্প্যানিশ ভাষায় ক্যাথেড্রেল ডি সান্টা মারিয়া ডি লা সেডে এবং বহুলভাবে সেভিল ক্যাথেড্রাল নামে পরিচিত। এটি স্পেনের সেভিলে (Seville) এন্ডালুসিয়ায় অবস্থিত একটি রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রাল। যা  বিশ্বের বৃহত্তম গোথেক এবং তৃতীয় বৃহত্তম গির্জা। চতুর্দশ শতকের মধ্যভাগে ক্রিস্টোফার কলম্বাস ভার্জেন ডে লা এন্টিগুয়ার বা কুমারী ডেলা এন্টিগুয়ার সম্মানে গির্জাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত এ গির্জার প্রতি সম্মান রেখে ভূখণ্ডটির নাম এন্টিগুয়া রাখা হয়।

এন্টিগুয়া দ্বীপকে অ্যারওয়াক ভাষায় ওয়ালাদালি (Wa’ladli) বলা হতো। যা স্থানীয় ভাষায় বর্তমানে ওয়াদাদলি (Wadadli ) নামে পরিচিত। কারবিসরা বলতেন ওয়াওমোনি (Wa’omoni)। ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন এ দ্বীপে নামেন তখন স্পেনের বিখ্যাত সেভেলি ক্যথিড্রালের (Seville Cathedral)নামানুসারে এর নাম দিয়েছিলেন  সান্তা ম্যারিয়া লা এন্টিগুয়া (Santa Maria la Antigua)।

বারবুডা: বারবুডার প্রাচীন নাম ছিল বারবাডো, বারবুডা, বারবাউথোস। বারবুডা শব্দের অর্থ শ্মশ্রুধারী। দ্বীপটিতে প্রচুর ডুমুর গাছ ছিল। ইতিহাসবেত্তা ও গবেষকের অভিমত, স্থানীয় প্রাচীন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর চেহারা হতে বারবুডা নামের উৎপত্তি। এ দ্বীপের লোকেরা বিশাল আকৃতির জমকালো দাড়ি রখাতো। দাঁড়িরাখা ছিল তাদের ফ্যাশন, সম্মান, মর্যাদা আর সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই

প্রকাশক: পুথিনিলয়। আফ্রিকা

এলাকাটির নাম হয় বারবুডা। অনেকে মনে করেন, শ্মশ্রু সদৃশ ডুমুর গাছ হতে বারবুডা নামের উৎপত্তি। ডুমুরগাছগুলোকে দূর হতে শ্মশ্রুধারীর মতো দেখাতো। তাই এলাকাটির নাম হয় বারবুডা। ডুমুর গাছ বা ব্যক্তির দাড়ি, যেটাই হোক না কেন; বারবুডা নাম যে দাড়ি হতে এসেছে সে বিষয়ে গবেষকদের কোনো সন্দেহ নেই।

এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা ক্যারিবিয়ান সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত যমজ-দ্বীপের একটি রাষ্ট্র। এন্টিগুয়া ও বারবুডা ছাড়াও এ দেশে ছোট ছোট আরও কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে। ইংরেজি, এন্টিগুয়ান, ক্রেয়োল ও স্পেনিশ এ দেশের জনগণের বহুল ব্যবহৃত ভাষা। রাজধানীর নাম সেইন্ট জোনস।

১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হিসাবমতে, দেশটির নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮৯% কৃষ্ণ, ৪.৪% মিশ্র, ২/৪% হোয়াইট এবং ২.৫% অন্যান্য। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর দেশটি যুক্তরাজ্য হতে স্বাধীনতা লাভ করে।

এন্টিগুয়া ও বারবুডার মোট আয়তন ৪৪০ বর্গ কিলোমিটার বা ১৭০ বর্গমাইল। তন্মধ্যে কোনো জলীয় ভাগ নেই বললেই চলে। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের হিসাবমতে এর মোট জনসংখ্যা ৯১,২৯৫ জন এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৮৬ জন। আয়তন বিবেচনায় এটি পৃথিবীর ১৯৫-তম বৃহত্তম দেশ কিন্তু জনসংখ্যা অনুপাতে ১৯৯-তম জনবহুল দেশ।

দেশটির জিডিপি (পিপিপি) ২০১২ খ্রিস্টাব্দের হিসাবমতে১.৫৭৯ বিলিয়ন ডলার এবং সে হিসাবে মথাপিছু আয় ১৮,০২৬। তবে জিডিপি (নমিনাল) ১.১৭৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং মাথাপিছু আয় ১৩,৪২৮ ইউএস ডলার। মুদ্রার নাম ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার। সেইন্ট ক্যাথিড্রাল এখানকার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।

পর্যটন এ দেশের বৃহত্তম আয়-খাত।  দেশের প্রায় অর্ধেক লোক পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তুলা, সব্জি, কলা, নারিকেল, শসা, আম, ইক্ষু, আনারস এ দেশের অন্যতম কৃষিজ ফসল। মৎস্য চাষ ও গবাদিপশু পালন হতে প্রতিবছর প্রচুর আয় হয়। প্রতিবছর ২ লক্ষ ৫০ হাজার লোক দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।


উত্তর আমেরিকা (North America) : ইতিহাস ও নামকরণ

সূত্র:  কীভাবে হলো দেশের নাম, ড. মোহাম্মদ আমীন, পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা।

All Link

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র

Knowledge Link

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক

 

Language
error: Content is protected !!