এবি ছিদ্দিক-এর শুবাচ পোস্ট সমগ্র যযাতি সমগ্র শুদ্ধ বানান চর্চা শুবাচ ব্যাকরণ বিবিধি

 
বড়ো বিপর্যয়-০১: বিক্ষেপবোধক আর প্রক্ষেপবোধক চিহ্নের প্রয়োগবিধি ৬১
 
‘১. একজন মানুষের জীবনে কেবল তিনটি সম্পদ প্রয়োজন, এবং সেগুলো হচ্ছে— বই, বই এবং বই। < লিও তলস্তয়।
২. একজন মানুষের জীবনে কেবল তিনটি সম্পদ প্রয়োজন, এবং সেগুলো হচ্ছে— বই, বই এবং বই। > লিও তলস্তয়।’
খোকন স্যার তাঁর অভ্যেসমতো মূল পাঠ শুরু করার আগে আজও ব্ল্যাকবোর্ডের ওপর দুটি বাক্য লিখে ফেললেন। স্যার শিক্ষার্থীদের কাতারের দিকে হাঁটা শুরু করতেই সম্ভাব্য প্রশ্ন সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা আঁচ করে নিল। “আমার লেখা বাক্য দুটির মধ্যে কোনটি সংগত?” এরই মধ্যে সুমাইয়ার মুখ ফসকে বেরিয়ে এল। “হ্যাঁ, আমার লেখা বাক্য দুটির মধ্যে কোনটি সংগত?” খোকন স্যার হাসতে হাসতে সুমাইয়ার বাক্যটি নিজেও এক বার আওড়ালেন।
সাফা-মারওয়া-আফসানারা এই চিহ্নটির সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নয়— কেবল গণিত বইয়ের মানের ঊর্ধ্বক্রম কিংবা অধঃক্রম অনুসারে সাজানোর সমাধানগুলো করার সময় বড়োচিহ্ন-ছোটোচিহ্ন হিসেবে এই চিহ্ন দুটি ব্যবহার করেছে। ব্যাকরণেও যে এই চিহ্ন দুটি ব্যবহৃত হতে পারে, তা তাদের বোধের বাইরে।
কিন্তু এরই মধ্যে সানজিদার মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে গেল। সে গণিতের কৌশল কাজে লাগিয়ে বলল, “স্যার, দুই নম্বর বাক্যটি শুদ্ধ।” সানজিদার উত্তর যে ঠিক হয়নি, তা খোকন স্যারের চেহারার মলিন ছাপ দেখে যে-কেউই বলে দিতে পারবে। কিন্তু স্যার মুহূর্তের মধ্যে সেই ছাপ দূর করে হাসিমুখে সানজিদাকে উৎসাহ দিয়ে দুই নম্বর বাক্যটি কেন শুদ্ধ হবে, তা জিজ্ঞেস করলেন। “কারণ, এক নম্বর বাক্যে ছোটোচিহ্নের বাম পাশের লেখাটি বড়ো, ডান পাশের লেখাটি ছোটো। কিন্তু আমরা জানি যে, ছোটোচিহ্নের বাম পাশেরটা ছোটো এবং ডান পাশেরটা বড়ো হয়। যেমন: ১২ < ১০০। তাই, এক নম্বর বাক্যটি শুদ্ধ নয়। আবার, বড়োচিহ্নের বাম পাশে বড়োটি এবং ডান পাশে ছোটোটি থাকে। যেমন: ১৭ > ৪। যেহেতু দুই নম্বর বাক্যে বড়ো অংশটি বড়োচিহ্নের বাম পাশে এবং ছোটো অংশটি ডান পাশে লেখা হয়েছে, সেহেতু দুই নম্বর বাক্যটি শুদ্ধ, স্যার,” সানজিদা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার ব্যাখ্যাটি শোনাল। সানজিদার ব্যাখ্যা শুনে সানা আফসোস করতে লাগল— ঠিক এই ব্যাখ্যাটি তার মাথায়ও এসেছিল, কিন্তু বলবার সাহস হয়নি। এখন মনে হচ্ছে, সানজির (বানান ঠিক আছে) উত্তর একদম যথার্থ হয়েছে।
“উঁহুঁ, তোমার উত্তর হলো না। তবে তোমার চেষ্টা চমৎকার ছিল; প্রায়ই কাছাকাছি চলে গিয়েছিলে,” খোকন স্যার কথাগুলো বলতেই সানার আফসোস আনন্দে রূপ নিল— ভাগ্যিস! সে এই মনগড়া ব্যাখ্যাটি দিতে যায়নি!
“আর কেউ চেষ্টা করে দে…” স্যারের মুখের কথা না-ফুরোতেই দৌড়ের সঙ্গে দরজার সম্মুখে ছাফিয়ার আগমনে বলায় ছেদ পড়ে গেল। ভেতর ঢোকার জন্যে স্যারের অনুমতি মিলতেই বাম পাশের দ্বিতীয় বেঞ্চটির দিকে এগোতে-এগোতে ঘাড় বাঁকিয়ে পেছনে ফিরে বোর্ডের ওপর লেখা বাক্য দুটিতে এক বার চোখ বুলিয়ে নিল। “ও! আজ তাহলে বিক্ষেপবোধক চিহ্ন ও প্রক্ষেপবোধক চিহ্ন নিয়ে পড়ানো হচ্ছে!” নিজের জায়গায় গিয়ে হালকা-পাতলা শরীরটাকে বাঁ দিকে সামান্য বাঁকিয়ে কাঁধের ব্যাগটি টেবিলের ওপর রাখতে-রাখতে ছাফিয়া উচ্চারণ করল।
“প্রক্ষেপ-বিক্ষেপবোধক চিহ্ন!” সকলের কণ্ঠে বিস্ময়।
“ছাফিয়া একদম ঠিক বলেছে। ব্যাকরণের ভাষায় ‘>’ চিহ্নটিকে বিক্ষেপবোধক চিহ্ন এবং ‘<‘ চিহ্নটিকে প্রক্ষেপবোধক চিহ্ন বলা হয়,” ছাফিয়ার মন্তব্যটি খোলসা করে খোকন স্যার বললেন। “তুমি চেষ্টা করে দেখবে নাকি?” ছাফিয়াকে লক্ষ্য (উদ্দেশ্য) করে স্যার প্রশ্নটি করলেন। বিরামচিহ্নের পাঠ সে কবেই চুকিয়ে ফেলেছে। এখন খোকন স্যারের অভিনব পাঠদান পদ্ধতির বদৌলতে ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে পারছে। আজ আবারও সুযোগ পেয়ে গেল। “এখানে প্রক্ষেপবোধক চিহ্ন ( < ) দিয়ে লেখা এক নম্বর উদাহরণটি যথাযথ। কারণ, দুইটি বিষয়ের মধ্যখানে প্রক্ষেপবোধক চিহ্ন ব্যবহারের মানে হচ্ছে— ‘ডান পাশেরটি থেকে বাম পাশেরটির সৃষ্টি’, ‘বাম পাশের জনের জনক হচ্ছে ডান পাশের জন’, ‘ডান পাশের জনের হাত ধরেই বাম পাশের জনের আবির্ভাব’, ‘ডান পাশেরটি পরিবর্তিত হয়ে বাম পাশেরটির উদ্ভব ঘটেছে’ প্রভৃতি। যেহেতু লেখক বা ব্যক্তি থেকেই লেখার বা উক্তির সৃষ্টি, সেহেতু আগে (বাম পাশে) কোনো লেখকের উক্তি লেখার পর, পরে (ডান পাশে) লেখকের নাম লেখা হলে মধ্যখানে প্রক্ষেপবোধক চিহ্ন ( < ) বসাতে হয়, যা এক নম্বর উদাহরণে বসানো হয়ছে।
একইরকম, ‘বাঁকা < বঙ্কিম’ মানে ‘বঙ্কিম’ থেকে ‘বাঁকা’-র উৎপত্তি; ‘স্যমন্তক < ড. মোহাম্মদ আমীন’ লেখার মানে ড. মোহাম্মদ আমীনের হাতে স্যমন্তকের সৃষ্টি; ‘তার সঙ্গে যাব < তাহার সহিত যাইব’ দিয়ে ডান পাশের বাক্যটির পরিবর্তন ঘটে বাম পাশের নতুন রূপটি লাভ করেছে, এমনটি বোঝানো হয়েছে।
আবার, বিক্ষেপবোধক চিহ্নের ব্যবহার প্রক্ষেপবোধক চিহ্নের ব্যবহারের ঠিক উলটো। অর্থাৎ, দুইটি বিষয়ের মধ্যখানে বিক্ষেপবোধক চিহ্ন ব্যবহারের মানে হচ্ছে— ‘বাম পাশেরটি থেকে ডান পাশেরটির সৃষ্টি’, ‘ডান পাশের জনের জনক হচ্ছে বাম পাশের জন’, ‘বাম পাশের জনের হাত ধরেই ডান পাশের জনের আবির্ভাব’, ‘বাম পাশেরটি পরিবর্তিত হয়ে ডান পাশেরটির উদ্ভব ঘটেছে’ প্রভৃতি। যেমন: ‘টঙ্ক > টাকা’ মানে ‘টঙ্ক শব্দটি থেকে ‘টাকা’ শব্দের উৎপত্তি; ‘ভিক্টর হুগো > লা মিজারেবল’ লিখে ‘ভিক্টর হুগোর হাতে লা মিজারেবল গ্রন্থটি রচিত হয়েছে’ অর্থ নির্দেশ করা হয়; ‘যাহারা শুনিয়াছে > যারা শুনেছে’ লেখার মানে বাম পাশের বাক্যটি পরিবর্তিত হয়ে ডান পাশের বাক্যতে পরিণত হয়েছে। সে অনুসারে, দুই নম্বর উদাহরণে বাম পাশের উক্তিটি হচ্ছে তলস্তয়ের জন্মদাতা বা স্রষ্টা। অর্থাৎ, ওই উক্তিটি থেকেই তলস্তয়ের আবির্ভাব ঘটেছে। কোনো ব্যক্তির পক্ষে লেখা বা উক্তির জন্ম দেওয়া সম্ভব, রচনা করা সম্ভব, কিন্তু কোনো লেখা বা উক্তি থেকে কোনো ব্যক্তি জন্ম নেওয়া অসম্ভব। আর তাই, আপনার লেখা দুই নম্বর উদাহরণটি সংগত নয়, স্যার,”
এতক্ষণ ধরে সকলে নিশ্চুপ হয়ে ছাফিয়ার ব্যাখ্যা শুনছিল। ছাফিয়ার বলা শেষ হওয়ার পর খোকন স্যার হেঁটে বোর্ডের সামনে যাওয়াতে ‘নিশ্চুপ’ অবস্থা ‘চুপ’-এ পরিবর্তিত হলো, এবং সানার প্রশ্নে ক্ষণিকের মধ্যে চুপ অবস্থারও ইতি ঘটল। “এই বিক্ষেপ-প্রক্ষেপ বাদ দিয়ে অন্য কোনো সহজ উপায়ে এই চিহ্ন দুটির প্রয়োগবিধি আলোচনা করা যায় না? কখন, কোন চিহ্নটি ব্যবহৃত হবে, এবং কোন দিকে হাঁ করে থাকবে, তা যে কিছুতেই মনে থাকবে না,” সানার কণ্ঠে অনুরোধের সুর। আফসানা এতক্ষণ ধরে গভীর মনোযোগ দিয়ে ছাফিয়ার ব্যাখ্যাটি শুনছিল। সানার প্রশ্নটি শুনতেই সে উঠে দাঁড়াল। “স্যার, আমি এই চিহ্ন দুটির ব্যবহার হয়তো আরেকটু সহজে ব্যাখ্যা করতে পারব, যদি আপনার অনুমতি মেলে,” খোকন স্যারের প্রতি আফসানা এই আবেদন করতেই স্যারের আনন্দের মাত্রা আকাশ ছুঁতে চাইল। কেননা, স্যার এমন দিনের অপেক্ষাতেই ছিলেন, যেদিন তাঁর শিষ্যরা বইয়ের ধরাবাঁধা নিয়মগুলো নিজেদের মতো সহজ করে বুঝে নেবে, অন্যকে বোঝাতে পারবে। “তবে দেরি কীসে!” পুলকিত চিত্তে স্যারের সোৎসাহ তাড়না। এবার আফসানার বলা শুরু হলো:
তোমাদের খাওয়ার জন্যে একটি করে বড়ো আপেল এবং একটি করে ছোটো আপেল দিয়ে সেখান থেকে যে-কোনো একটি নিতে বলা হলো। তাহলে তোমরা কোনটি খেতে চাইবে?
“অবশ্যই বড়োটি,” সকলে একযোগে জবাব দিল (দিলো)।
: তার মানে, বড়ো আপেলটি খাওয়ার জন্যে পেলেই সেটি মুখের সামনে নিয়ে তোমরা হাঁ করে খাব, তাই তো?
“এটি জিজ্ঞেস করবার মতো কোনো কথা হলো! হাঁ করেই তো খেতে হবে। নাকি!” শ্লেষমাখা কণ্ঠে সকলে আবারও বলে উঠল।
: এবার বিক্ষেপবোধক ও প্রক্ষেপবোধক চিহ্ন দুটিকে তোমাদের গাল মনে কর। কোনোকিছু খাওয়া জন্যে খাবারটি মুখের সামনে এনে হাঁ করতে হয়। আর, তোমরা বলেছ, দুটি জিনিস দেওয়া হলে তোমরা বড়োটি খেতে চাইবে, বড়োটি মুখের সামনে এনে হাঁ করবে। একইভাবে, যেদিকেই বড়ো জিনিসটি বা সংখ্যাটি থাকবে, আমাদের কাঙ্ক্ষিত চিহ্নটি সেদিকেই হাঁ করে থাকবে; একদম বড়ো আপেলটি খাওয়ার জন্যে হাঁ করা মতো। যেমন: ২-এর চেয়ে ১৫ বড়ো, তাই এই সংখ্যা দুটির মধ্যখানে এমন চিহ্নটি বসাতে হবে, যেটি ১৫-কে খাওয়ার জন্যে তার দিকে হাঁ করবে। অর্থাৎ, ২ < ১৫— এভাবে। একইভাবে, দশ, সাতের চেয়ে বড়ো, তাই এই দুটির সংখ্যার মধ্যখানে ওই চিহ্নটি বসাতে হবে, যেটি দশের দিকে হাঁ করবে। অর্থাৎ, দশ > সাত। ২৩ > ১২; ২৩ < ১২০, পঞ্চাশ > ত্রিশ প্রভৃতি রূপও এভাবে নির্দ্বিধায় লিখতে পারবে।
“সংখ্যার ক্ষেত্রে এভাবে বড়ো-ছোটো নির্ণয় করা যায় বলে তোমার বানানো নিয়মটি খুব সহজেই প্রয়োগ করা যাবে বুঝলাম, কিন্তু শব্দের ক্ষেত্রে বা ব্যক্তির উক্তির ক্ষেত্রে কীভাবে বড়ো-ছোটো নির্ণয় করব?” বরাবরের মতো সবচেয়ে সুন্দর ও প্রাজ্ঞিক প্রশ্নটি লিজার মুখ দিয়ে নিঃসৃত হলো।
: এখানেই তো আসল মজা! শব্দের ক্ষেত্রে বা লেখকের ক্ষেত্রে বয়সের ভিত্তিতে বড়ো-ছোটো নির্ধারণ করতে হবে। এবার বল (বলো), কোনো লেখকের জন্ম আগে, না কি ওই লেখকের লেখার বা উক্তির?
“অবশ্যই লেখকের,” সকলের মিলিত উত্তরে শ্রেণিকক্ষ কম্পিত হলো।
: তাহলে বয়সে কে বড়ো?
“লেখক আরকি,” একসঙ্গে সকলের জবাব।
: তাহলে নিয়ম অনুসারে হাঁ কার দিকে করবে?
“লেখকের!” বিস্ময়ের সঙ্গে সকলে ছাফিয়ার উত্তরের সঙ্গে আফসানার উত্তর মিলিয় নিল।
: দেখলে তো! ব্যাপারটি শব্দের ক্ষেত্রেও একই। তৎসম শব্দগুলো বয়সে অর্ধতৎসম ও তদ্ভব শব্দের চেয়ে বড়ো। তাই, উৎপত্তি বা পরিবর্তন নির্দেশ করতে এরূপ দুইটি তৎসম-তদ্ভব বা তৎসম-অর্ধতৎসম শব্দ একসঙ্গে লেখা হলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত চিহ্নটি সর্বদা তৎসম শব্দটির দিকে হাঁ করবে।
“পক্ষী > পাখি, অণ্ড > আন্ডা, উপরি > উপর; আঁধার < অন্ধকার, ঠোঁট < তুণ্ড— এভাবে না?” শব্দভান্ডারে ঋদ্ধ মুনতাহা জিজ্ঞেস করল।
: ঠিক এভাবেই। বাক্যের ক্ষেত্রেও একই। মূল বাক্যটি প্রথমে লেখা হয়, তাই হাঁ সেটির দিকে করবে; উলটো দিকে পরিবর্তিত নতুন বাক্যটি থাকবে।
“ক. মূল বাক্য— মানুষ মরণশীল। > পরিবর্তিত বাক্য— মানুষ অমর নয়।
খ. পরিবর্তিত বাক্য— মানুষ অমর নয়। < মূল বাক্য— মানুষ মরণশীল,” তন্বী অত্যন্ত সহজ দুটি প্রয়োগোদাহরণ দেখাল।
“তাহলে—
১. শব্দের উৎপত্তি বা পরিবর্তন বোঝাতে বিক্ষেপ বা প্রক্ষেপবোধক চিহ্ন ব্যবহৃত হবে। যেমন: হস্ত > হত্থ > হাত বা হাত < হত্থ < হস্ত।
২. কোনো বাক্যের পরিবর্তন নির্দেশ করতে এই চিহ্ন দুটি ব্যবহার করা যাবে। যেমন: আমি খাইতে পারিব না > আমি খেতে পারব না। অথবা, আমি খেতে পারব না < আমি খাইতে পারিব না।
৩. স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করতে আলোচ্য চিহ্ন দুটি ব্যবহার করা যায়। যেমন: হোয়াইট ফ্যাঙ < জ্যাক লন্ডন বা জ্যাক লন্ডন > হোয়াইট ফ্যাঙ।
৪. দুইটি সংখ্যার মধ্যে বড়ো-ছোটো নির্দেশ করতে বর্ণিত চিহ্ন দুটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন: বিশ > পনেরো কিংবা পনেরো < বিশ,” সাফা প্রথম উদাহরণ দিতে না-পারার ঝাল পুরো আলোচনার সারাংশ উল্লেখ করে মেটাল। আর, তার সারাংশ বলা শেষ হওয়ামাত্র তাজো মুল্লক দাদা ক্লাস সমাপ্তির ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন।
 
[ অনুরোধ: এবার আপনারাই বলুন, আমার এরকম লেখা আর আমার নামের মধ্যখানে কোন চিহ্নটি বসানো উচিত: বিক্ষেপবোধক ( > ) , না কি প্রক্ষেপবোধক ( < )? ] (২৮শে মে, ২০২০)
 
ক্রমশ
সহজসব নিয়ম: হাইফেন, সব, মাত্র

Language
error: Content is protected !!