দূরত্বে দীর্ঘ-‘ঊ’-কার ৮
শুরুতে ‘দুর’ ও ‘দূর’ কিংবা ‘দুর্’ ও ‘দূর্’-যুক্ত শব্দগুলোর বানানে আদ্যবর্ণের সঙ্গে কখন হ্রস্ব-‘উ’-কার (দুর) এবং কখন দীর্ঘ-‘ঊ’-কার (দূর) লিখতে হবে, সেই ঝামেলা এড়ানোর জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে শব্দটির অর্থ চিন্তা করা। যদি শব্দটি দিয়ে দূরত্ব সংক্রান্ত কিছু বোঝানো হয়, তাহলে বানান অবশ্যই ‘দ’-এর সঙ্গে দীর্ঘ-‘ঊ’-কার দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: দূরত্ব, দূরে, দূরাগত(দূর থেকে আগত), দূরস্থ(দূরে অবস্থিত), দূরযায়ী(দূরে যায় এমন), দূর করা( তাড়িয়ে দেওয়া/দূরে সরিয়ে দেওয়া) ইত্যাদি। সেসঙ্গে মনে রাখতে হবে, ‘দূর্বা’ শব্দটির বানান এবং ‘দূর্বা’ প্রাতিপদিক যুক্ত শব্দগুলোর বানান ‘দ’-এর সঙ্গে দীর্ঘ-‘ঊ’-কার দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: দূর্বা, দূর্বাদল, দূর্বাঘাস, দূর্বাদলশ্যাম ও দূর্বাষ্টমী। এছাড়া অন্য যে-কোনো অর্থে আদিতে ‘দুর’/’দুর্’-যুক্ত শব্দগুলোর বানান আদ্যবর্ণের সঙ্গে হ্রস্ব-‘উ’-কার দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: দুরবস্থা, দুর্দান্ত, দুরন্ত, দুর্মর, দুর ছাই, দুরারোগ্য, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরাত্মা, দুর্লভ, দুরাশা, দুর্গা, দুর্গ ইত্যাদি। উল্লেখ্য, ‘দুরবিন’ বিদেশি (ফারসি) শব্দ হওয়ায়, শব্দটি দিয়ে দূরত্বসংক্রান্ত কিছু বোঝানো সত্ত্বেও শব্দটির বানান আদ্যবর্ণের সঙ্গে হ্রস্ব-‘উ’-কার এবং শেষে দন্ত্য-‘ন’ দিয়ে লেখা হয়েছে। ব্যতিক্রম: বিরক্তি প্রকাশে অব্যয় হিসেবে এককভাবে ব্যবহৃত ‘দূর’ বানান দীর্ঘ-‘ঊ’-কার দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: দূর! তোমার বকবক আর ভালো লাগে না! (১৮ই জুন, ২০১৮)
ক্রমশ
স্বাগত বনাম স্বাগতম ৭