শব্দে /এর (possessive/genitive case)/ ব্যবহার
ড. মোহাম্মদ আমীন
১. যে শব্দের বানানে শুধু একটা অক্ষর থাকে, সে শব্দের বানানে ‘-র/-এর’ যোগ করতে হলে -র/-এর/-য়ের (ড্যাশ/হাইফেনটা বাদ দিয়ে) লেখা বিধেয়। যেমন:
কবি -> কবির (কবি-র/কবি-এর/ কবিয়ের নয়)।

বাংলাদেশ -> বাংলাদেশের (বাংলাদেশ-এর নয়)।
দাদা-> দাদার (দাদা-র/দাদায়ের/ দাদা এর নয়)।
নেপাল-> নেপালের (নেপাল-এর/ নেপাল-র/ নেপালয়ের নয়)।
আমেরিকা -> আমেরিকার (আমেরিকা-র বা আমেরিকা-এর নয়)।
স্কুল -> স্কুলের (স্কুল-এর/ স্কুল-র নয়)।
২. বানানে শুধু একটা অক্ষর থাকলে, বা শব্দের শেষে দ্বিস্বর (আই, আয়, আউ, আও, ঐ, ঔ, ইত্যাদি) থাকলে, -য়ের (ড্যাশ/হাইফেনটা বাদ দিয়ে) লেখা বিধেয়। যেমন:
চা -> চায়ের (চা-এর/চা-র/চার নয়)।
ধাই -> ধাইয়ের (ধাইএর/ধাইর/ধাই-এর/ধাই-র নয়)।
মা -> মায়ের (মা-এর/মা-র/মার নয়)।
ভাই -> ভাইয়ের (ভাইএর/ভাইর/ভাই-এর/ভাই-র নয়)।
হৈচৈ -> হৈচৈয়ের (হৈচৈ-এর/হৈচৈএর/হৈচৈর/হৈচৈ-র নয়); তেমনি. বউয়ের, ছাইয়ের ইত্যাদি।
৩. শব্দের শেষে ং/ঙ থাকলে, -ঙের (ড্যাশ/হাইফেনটা বাদ দিয়ে) লেখা বিধেয়। -ংয়ের লিখবেন না, যেমন:
রং/রঙ -> রঙের (রং-এর/রঙ্গের/রংয়ের নয়)।
ব্যাঙ -> ব্যাঙের (ব্যাঙ-এর/ব্যাঙ্গের/ব্যাঙয়ের নয়)।
নার্সিং -> নার্সিঙের (নার্সিঙ-এর/নার্সিঙ্গের/ নার্সিংযের নয়)।
বিসিএস প্রিলি থেকে ভাইভা কৃতকার্য কৌশল
ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা বইয়ের তালিকা
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক