এশিয়া মহাদেশ : ইতিহাস ও নামকরণ

কীভাবে হলো দেশের নাম (এশিয়া)

ড. মোহাম্মদ আমীন

এশিয়া

প্রাচীন গ্রিক শব্দ এশিয়া (Ἀσία) হতে এশিয়া নামের উদ্ভব। খ্রিস্টপূর্ব ৪৪০ অব্দে ইতিহাসের জনক তৎকালীন মেসিডোনিয়া রাজ্যের অধিবাসী হেরোডোটাস (Herodotus) এশিয়া নামটি প্রথম ব্যবহার করেন। তিনি গ্রিসের, বর্তমান তুরস্কের অ্যানাতোলিয়া বা পারস্য সাম্রাজ্য বুঝাতে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। অনেকে মনে করেন ল্যাটিন এশিয়া (Ἀσία) ও গ্রিক-এশিয়া অভিন্ন শব্দ। রোমান লেখকগণ Ἀσία-র অনুবাদ করেছেন এশিয়া। রোমানরা তাদের বিশাল সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশের নাম এশিয়া রেখেছিলেন। যা আধুনিক তুরস্কের কেন্দ্রীয় পশ্চিমাংশ- আধুনিক ইরাক, এশিয়া মাইনর ও এশিয়া মেজরে অবস্থিত ছিল।

হেরোডোটাস শুধু এশিয়া নাম ব্যবহার করে থেমে থাকেননি। অধিকন্তু তিনি বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে এশিয়া নামকে সংজ্ঞায়িত করে গিয়েছেন। তিনি পূর্ববর্তী ভূগোলবিদদের বিভিন্ন লেখা ও মন্তব্য উল্লেখ করে যুক্তি সহকারে এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, এশিয়া শব্দ দ্বারা গ্রিস ও মিশরের বিপরীতে আনাতোলিয়া এবং পারস্য সাম্রাজ্যকে নির্দেশ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাখ্যার প্রমাণ সংগ্রহের কোনো সুযোগ এখন আর নেই। কারণ হেরোডোটাসের পূর্ববর্তী ভুগোলবিদগণের সেসব গ্রন্থাবনি, যা থেকে হেরোডোটাস তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, তা এখন আর পাওয়া যায় না ।

হেরোডোটাস আরও লিখেছেন, “আমি বিভ্রান্তবোধ করি, কেন তিন জন নারীর নামে পৃথিবীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূভাগের নামকরণ করা হয়েছে।” তাঁরমতে, ইউরোপা, এশিয়া, লিবইয়া এবং আফ্রিকা তিনজন নারীর নামে করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এথেন্স, মাইসিন, থিবেত এবং আরও অনেক স্থানের নাম নারীদের নামে নামায়িত হয়। প্রাচীন গ্রিক পুরাণে বলা হয়, অঞ্চলগুলো নারী দেবদূতের অধীনে ছিলো। এ সব নারী দেবদূত অভিভাবক দেবদূতের সমান্তরাল ছিল। সাধারণ্যে এরা ছিল খুব জনপ্রিয়। তাই সহজে নামগুলো ছড়িয়ে পড়ে।
মহাদেশের নাম আয়তন বর্গ কিমি পৃথিবীর  মোট আয়তনের হার জনসংখ্যা (২০১০) বিশ্বে  জনসংখ্যার হার জনসংখ্যা ঘনত্ব ব.মা দেশের সংখ্যা
Asia                 ৪৩,৮২০,০০০        ২৯.৫০%             ৪,১৬৪,২৫২,০০০        ৬০%          ২৪৬                           ৪৭
Africa              ৩০,৩৭০,০০০      ২০.৪০%             ১,০২২,২৩৪,০০০          ১৫%           ৮৭                        ৫৭
North America      ২৪,৪৯০,০০০         ১৬.৫০%         ৫৪২,০৫৬,০০০           ৮%                 ৫৭                     ২৩
South America ১৭,৮৪০,০০০        ১২.০০%        ৩৯২,৫৫৫,০০০            ৬%                 ৫৭                       ১২
Antarctica    ১৩,৭২০,০০০          ৯.২০%                   ০*             ০%                      ০.০০০৭৮                   ০
Europe         ১০,১৮০,০০০        ৬.৮০%         ৭  ৩৮,১৯৯,০০০          ১১%                 ১৮৮                        ৫০
Australia       ৯,০০৮,৫০০         ৫.৯০%           ২৯,১২৭,০০০           ০.৪০%      ৮.৩                                  ৩

এশিয়া মহাদেশের নামকরণে গ্রিকদের নিজস্ব একটা ব্যাখ্যা রয়েছে। দেবতা প্রমিথিউসের স্ত্রীর নাম হেসিওয়ান (Hesione)। অধিকাংশ গ্রিক বিশ্বাস করেন এশিয়ার নামকরণ করা হয়েছে গ্রিক দেবতা প্রমিথিউসের স্ত্রীর নামানুসারে। তবে লিডিয়ানরা মনে করে, কটইসের (Cotys) পুত্র এশিজের (Asies) নাম থেকে এশিয়া মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছ। গ্রিক পুরাণে বর্ণিত বিখ্যাত দেবী তিতানের ডাক নাম ছিল এশি (Asie)। তিনি এ নামে সারা বিশ্বে পরিচিত ছিলেন। আধুনিক তুরস্কে তার নামে একটা মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কুমারী মেরির নামে উৎসর্গিত মন্দিরটির সঙ্গে অনেকে এ দেবীর মন্দির সাযূজ্য খুঁজে পান। এসব বিবচেনায় অনেকে মনে করেন, গ্রিক পুরাণে বণিত নাইম্ফ বা লিডিয়ার দেবী তিতানের নামানুসারে এশিয়ার নামকরণ করা হয়।

এশিয়া নামের উৎপত্তি বিষয়ে অনেকে মহাকবি হোমার রচিত ইলিয়াডের প্রসঙ্গ নিয়েও তত্ত্ব দিয়েছেন। তাদের মতে, ইলিয়াড আধুনিক তুরস্কে অনুষ্ঠিত ট্রোজান যুদ্ধে দুই ফ্রিজিয়ান কথা উল্লেখ করেছেন। আসিউস (একটি বিশেষণ, অর্থ ‘এশিয়ান’) এবং লিডিয়ার একটি জলাভূমি বা নিম্নভূমি হতে এশিয়া নামের উৎপত্তি।

সাংকেতিক লিপিকর মাইকেল ভেন্ট্রিস ও জন চাদউইক মনে করেন আশ্বিয়া (Aswia) হতে এশিয়া নামের উৎপত্তি। এ শব্দটি দ্বারা একটি দেশ ও তার অধিবাসী নারী উভয়কে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি আধুনিক এশিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত একটি বিখ্যাত অঞ্চল। খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দের দিকে একদল অজানা আক্রমণকারী দেশটি ধ্বংস করে দেয় এবং সে দেশের অসংখ্য নারীপুরুষকে দাস হিসাবে বন্দি করে। তারা এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছাড়িয়ে পড়ে। (Aswia) শব্দের একটি পুংলিঙ্গ আছে এবং সেটি হচ্ছে আশ্বিওস (aswios)। এই আশ্বিয়া (Aswia) শব্দটি, হিট্টিটদের কাছে পরিচিত আশুয়া (Assuwa) নামের অঞ্চল থেকে আগত, লিডিয়ায় কেন্দ্রীভূত বা রোমান এশিয়া। অনেকের ধারণা, এ আশুয়া (Assuwa) থেকে ‘এশিয়া’ নামের উদ্ভব। আশুয়া লিগ পশ্চিম আনাতোলিয়ার একটি কনফেডারেশন রাজ্য, যা প্রথম তুদহালিয়ার নেতৃত্বে হিট্টিটদের কাছে প্রায় ১৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পরাজিত হয়।

এশিয়া মহাদেশের স্থলবেষ্ঠিত দেশ
১       দেশ                                         আয়তন/বকিমি জনসংখ্যা
১. আফগানিস্তান                              ৬৫২,২৩০ ৩১,১০৮,০৭৭
২. আর্মেনিয়া                                   ২৯,৭৪৩ ৩,২৫৪,৩০০
৩. আাজারবাইযান                        ৮৬,৬০০ ৮,৯৯৭,৪০১
৪. ভুটান                                       ৩৮,৩৯৪ ৬৯১,১৪১
৫. কাজাখস্তান                              ২,৭২৪,৯০০ ১৬,৩৭২,০০০
৬. কিরগিজস্তান                         ১৯৯,৯৫১ ৫,৪৮২,০০০
৭. লাওস                                 ২৩৬,৮০০ ৬,৩২০,০০০
৮. মঙ্গোলিয়া                                ১,৫৬৬,৫০০ ২,৮৯২,৮৭৬
৯. নেপাল                                ১৪৭,১৮১ ২৬,৪৯৪,৫০৪
১০. তাজিকিস্তান                       ১৪৩,১০০ ৭,৩৪৯,১৪৫
১১. তুর্কমেনিস্তান                        ৪৮৮,১০০ ৫,১১০,০০০
১২. উজবেকিস্তান                     ৪৪৭,৪০০ ২৭,৬০৬,০০৭

অনেকে মনে করেন, এশিয়া শব্দটির উৎপত্তি ফিনিশীয় আক্কাদীয় শব্দ (w)aṣû(m)  হতে। যার অর্থ ‘বাইরে যাওয়া’ বা ‘আরোহন করা’। শব্দটির তাৎপর্য মধ্যপ্রাচ্যে সূর্যোদয়ের সময়ে সূযের দিক নির্দেশ করা এবং ফিনিশীয় শব্দ ধংধ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যার মানে ‘পূর্ব’। ঠিক একই রকম উৎপত্তির ধরণ ইউরোপের জন্য প্রস্তাব করা হয়, আক্কাদীয় শব্দ erebu(m) ‘প্রবেশ করা’ বা ‘ডাবা’ (সূর্য)। বিখ্যাত গবেষক, টি.আর. রিড শব্দের উৎপত্তির দ্বিতীয় ধারণাটি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, asa শব্দ থেকে প্রাচীন গ্রিক নামটি নামটি এসেছে। যার অর্থ আসিরীয়ায় বা ‘পূর্ব’ (ereb ইউরোপ-এর জন্য, অর্থ ‘পশ্চিম’)। পাশ্চাত্য (Occidental) ধারণাটি (লাটিন রূপ Occidens ‘ডুবন্ত) এবং প্রাচ্য (Oriental) (ল্যাটিন Oriens থেকে, অর্থ ‘উঠন্ত’) ইউরোপীয় উদ্ভাবন- পশ্চিম ও পূর্ব এর সমার্থক।

পৃথিবীর পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম ও সর্বাধিক জনবহুল মহাদেশ। এটি ভূপৃষ্ঠের ৮.৭% ও স্থলভাগের ৩০% অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এর তটরেখা ৬২,৮০০ কিলোমিটার (৩৯,০২২ মাইল)। প্রায় ৪৩৮ কোটি মানুষ এশিয়া মহাদেশে বাস করে। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগ।

এশিয়ার সীমানা মূলত সাংস্কৃতিকভাবে নির্ধারিত হয়। ইউরোপের সঙ্গে এশিয়ার কোনো স্পষ্ট ভৌগোলিক সীমানা নেই। এজন্য এশিয়া ও ইউরোপকে একত্রে ইউরেশিয়া বলা হয়। এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ। এটা পৃথিবীর মোট ভূপৃষ্ঠের ৮.৮% ভাগ এবং একই সঙ্গে পৃথিবীর মোট ভূপৃষ্ঠের ৩০% ভাগব্যাপি বিস্তৃত। এশিয়া সাধারণত ইউরেশিয়ার পাঁচ ভাগের চার ভাগ নিয়ে পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটা সুয়েজ খাল ও ইউরাল পর্বতমালার পূর্বে, ককেশাস পর্বতমালা, কাস্পিয়ান সাগর ও কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণে অবস্থিত। এশিয়া পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত এবং উত্তরে রয়েছে উত্তর মহাসাগর। এশিয়া মহাদেশে ৪৮টি দেশ আছে, তন্মধ্যে আজারবাইযান, জর্জিয়া, কাজাখাস্তান, রাশিয়া ও তুরস্কের কিছু কিছু অংশ ইউরোপ মহাদেশেও বিস্তৃতত। এজন্য এদের আন্তর্মহাদেশীয় দেশ (intercontinental states) বলা হয়। মিশরও আন্তর্মহাদেশীয় রাষ্ট্র। এর কিয়দংশ এশিয়ায় পড়েছে।

পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ রাশিয়ার জনসংখ্যার ৭৫% ইউরোপ মহাদেশে বসবাস করেন। তবে মধ্য এশিয়া ও উত্তর এশিয়া অংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্কের অধিকাংশ এশিয়া মাইরে অবস্থিত। তুরস্কের ৮৮% লোক এশিয়ায় বাস করে। তবে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তানবুলের বেশি কিছু অংশ দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত। কাজাখাস্তানের অধিকাংশ এলাকা মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এবং এর ৯৬% লোক এশিয়ায় বসবাস করে। দেশটির দুটি প্রদেশ উরাল নদীর পশ্চিমপাশে ইউরোপ মহাদেশে পড়েছে।আজারবাইযানের ৫৬ জেলার মধ্যে ৫৩টি এশিয়ান ট্রান্সককেশিয়া (Transcaucasia) অঞ্চলে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৫টি জেলা ইউরোপের ইউরোপিয়ান কিস্কাওকেশিয়ায় (European Ciscaucasia) পড়েছে। এর ৯৮% লোক এশিয়া মহাদেশে বাস করে। জর্জিয়ার অধিকাংশ এলাকা ট্রান্সককেশিয়ায় অবস্থিত এবং ৯৯% লোক এশিয়ায় বসাবাস করে। জর্জিয়ার মোট আয়তনের ৪%, অর্থাৎ ২,৬৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ককেশাস পর্বতের উত্তরে ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত।

এশিয়া মহাদেশ পূর্বদিকে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে উত্তর মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। ইউরাল পর্বতমালা, ইউরাল নদী, কাস্পিয়ান সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং ভূমধ্যসাগর দ্বারা এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশ পরস্পর বিচ্ছিন্ন। এছাড়া লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল এশিয়া মহাদেশকে আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বেরিং প্রণালী এশিয়াকে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। বেরিং প্রণালীর একদিকে এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত রাশিয়ার উলেনা এবং অন্যপাশে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্গত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা। এই প্রণালীটির সংকীর্ণতম অংশ মাত্র ৮২ কিলোমিটার চওড়া। অর্থাৎ বেরিং প্রণালীর এ অংশ হতে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দূরত্ব মাত্র ৮২ কিলোমিটার।

এশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ বিন্দু- মাউন্ট এভারেস্ট এবং সবনিম্ন বিন্দু- মৃতসাগর। এ মহাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ বোর্নিও এবং বৃহত্তম সাগর- দক্ষিণ চীন সাগর। এশিয়া মহাদেশের গভীরতম হ্রদের নাম- বৈকাল হ্রদ। আয়তন ও জনসংখ্যায় পুরো এশিয়ায় অবিস্থত বৃহত্তম দেশ- চীন। ক্ষুদ্রতম দেশ- মালদ্বীপ। বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত। এশিয়া মহাদেশের ৪৮টি রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য। প্যালেস্টাইন স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও জাতিসংঘের সদস্য নয়, পর্যবেক্ষক।

স্থলবেষ্ঠিত দেশ: পৃথিবীতে স্থলবেষ্ঠিত দেশের সংখ্যা ৪৪। তন্মমধ্যে এশিয়ায় ১২টি। আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আযারবাইজান, ভুটান, কাজাখাস্তান, কিরগিজস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তান। কাজাখস্তান পৃথিবীর বৃহত্তম স্থলবেষ্ঠিত দেশ। উজবেকিস্তান ও লিচটেনস্টাইন দ্বৈতস্থলবেষ্ঠিত (doubly landlocked) দেশ। উজবেকিস্তান রাষ্ট্রটি ৫টি স্থলবেষ্ঠিত রাষ্ট্র, যথা : আফগানিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান দ্বারা বেষ্ঠিত। মধ্য ইউরোপের লিচটেনস্টাইন দুটি স্থলবেষ্ঠিত রাষ্ট্র তথা সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া দ্বারা বেষ্ঠিত।

আযারবাইজান, ভুটনা জর্জিয়া, লাওস, মাকাও, মালদ্বীপ, নেপাল,সাউথ কোরিয়া, সিরিয়া ও তিমুর লেস্টে ভ্রমণে আগে কোনো ভিসা লাগবে না। বিমান বন্দরে গেল অন অ্যারইভাল ভিশা দেওয়া হয়।

ওয়ার্ল্ড শব্দের অর্থ : এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও জনবহুল মহাদেশে। প্রাচীন ইংরেজি ভাষার শব্দ (wer) ও (eld) এর সমন্বয়ে গঠিত [weorold (-uld), weorld, worold (-uld, -eld)] হতে ওয়ার্ল্ড (world) শব্দের উদ্ভব। উল্লেখ্য (wer) অর্থ মানুষ এবং (eld) অর্থ বয়স (age)। সুতরাং এ বিবেচনায় ওয়ার্ল্ড শব্দের অর্থ মানুষের বয়স (Age of Man)। এ উপগ্রহের যো কোনো স্থানে অবস্থিত পাুরো মানব সভ্যতা, বিশেষভাবে মানুষের অভিজ্ঞতা, ইতিহাস, সামগ্রিক অবস্থা প্রভৃতি ওয়ার্ল্ড শব্দ দ্বারা নিদের্শ করা হয়।

পৃথিবীর অর্থনীতি:  ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর মোট জিডিপি অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রতিবছর যে পরিমাণ পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার মূল্য ৭৭.৬ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার। তন্মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১৭ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার। এরপর যথাক্রমে চায়না, জাপান ও জার্মানি। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের হিসাবমতে, পৃথিবীর মানুষের মাথাপিছু আয় ১৩,১০০ ইউএস ডলার। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তা ছিল ১২,৬০০ ইউএস ডলার।

=========================

মাদাগাস্কার (Madagascar) : ইতিহাস ও নামকরণ

মালাউই (Malawi) : ইতিহাস ও নামকরণ

মালি (Mali) : ইতিহাস ও নামকরণ

 মৌরিতানিয়া (Mauritania) : ইতিহাস ও নামকরণ

মরক্কো (Morocco) : ইতিহাস ও নামকরণ

মরিশাস (Mauritius) : ইতিহাস ও নামকরণ

মোজাম্বিক (Mozambique): ইতিহাস ও নামকরণ

এশিয়া : এশিয়া মহাদেশ : ইতিহাস ও নামকরণ

আফগানিস্তান (Afghanistan) : ইতিহাস ও নামকরণ

আযারবাইজান (Azerbaijan) : ইতিহাস ও নামকরণ

আর্মেনিয়া (Armenia) : ইতিহাস ও নামকরণ

বাহরাইন (Bahrain) : ইতিহাস ও নামকরণ

কীভাবে হলো দেশের নাম, ড. মোহাম্মদ আমীন, পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা।

Language
error: Content is protected !!