ড. মোহাম্মদ আমীন
ওষ্ঠ বনাম ওষ্ঠ্য
ওষ্ঠ: বাক্যে বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত সংস্কৃত (√উষ্+থ) অর্থ— ওপরের ঠোঁট; বাংলায় ঠোঁট। অর্থাৎ বাংলায় ওষ্ঠ অর্থ— ঠোঁট। মনে রাখবেন ওপরেরটি ওষ্ঠ।
ইশ্, ওষ্ঠটা তব যেন কাশ্মীরি কিশমিশ!
অধর: নিম্নের ঠোঁটকে বলা হয় অধর।
তোমারে অধরে ওগো যে হাসির মধুমায়া ফোটে ওই- – -।
ওষ্ঠ্য: সংস্কৃত ওষ্ঠ্য (ওষ্ঠ+য) অর্থ— (বিশেষণে) ওষ্ঠজাত, ওষ্ঠের সাহায্যে উচ্চার্য এবং (বিশেষ্যে) ওষ্ঠের সাহায্যে উচ্চার্য বর্ণ। যেমন:
প ফ ব ভ ম প্রভৃতি ওষ্ঠ্যবর্ণ।
গু খান কি খানকি?
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, বাংলায় গু এসেছে পারস্য থেকে।অর্থাৎ গু ফারসি শব্দ। ফারসি গু অর্থ বিষ্ঠা, মল, পুরীষ। খানকি শব্দটাও ফারসি।খানকি অর্থ যৌনকর্মী। খান শব্দটাও পারস্য থেকে এসেছে। খান এসেছে, খানকি আসবে না? খান কি কথার অর্থ বিশ্লেষ— আপনি কি খাচ্ছেন? না। (প্রশ্নটির উত্তর হ্যাঁ/না দিয়ে দেওয়া যায়। তাই ঈ-কার হবে না।)
খান, খানদান, খানসামা, খানদানি, খানবাহাদুর (তুর্কি+ফারসি) এসবের সঙ্গে অনিবার্য গুটাও তাদের শরীরে ভর করে পারস্য থেকে উপমহাদেশে চলে এসেছে। এই যেমন— ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খান, আয়ুব খান।
মল, বিষ্ঠা,পুরীষ প্রভৃতি খাতাকলমে, কিন্তু গু সবার মুখে মুখে। সহজ শব্দ সহজে বলা যায়। গু মলস্থান হয়ে জিহ্বায় এবং জিহ্বা থেকে মুখে আসে। এটি যতবার মুখে আসে ততবার পায়খানা বা মলস্থানে যায় না। মুখটাই পায়খানা হয়ে যায়। গু শব্দটি মানুষ যতবার যতভাবে জিহ্বার সাহায্যে উচ্চারণ করে ততবার ততভাবে মলদ্বার কিংবা পেটে ধ্বনিত হয় না। ওখানে ওরা সুপ্ত থাকে। মুখে এসে ধ্বনিত হয়। এজন্য বলা হয়, জিহ্বার চেয়ে মারাত্মক গুস্রষ্টা আর হয় না।
আমাকে ভুল বুঝবেন না। গু থেকে কিন্তু গুরু নয়। গুরু (√গৃৃ+উ) তৎসম, মানে সংস্কৃত। তবে গুরুপাক খেলে খবর আছে। গুরুপাক, গুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পেটের মধ্যে আন্দোলন শুরু করে দিতে পারে। গুরুপাক কিন্তু গুরুর বা গুরুগিন্নির রাঁধা খিচুড়ি-বিরিয়ানি নয়, সহজে হজম হয় না এমন খাদ্য।
https://draminbd.com/ওষ্ঠ-বনাম-ওষ্ঠ্য/
পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি. ড. মোহাম্মদ আমীন পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.