মিনহা সিদ্দিকা
১. ক্রিয়াকে “কে” প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে তা কর্তৃ কারক।
২. ক্রিয়াকে “কি” বা “কাকে” দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে তা কর্ম কারক।
৩. ক্রিয়াকে “কি দ্বারা” বা “কিসের দ্বারা” বা “কিসের সাহয্যে” প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে তা করণ কারক।
৪. ক্রিয়াকে “কাকে” বা “কার “জন্য প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে তা সম্প্রদান কারক (তবে যদি স্বত্ব ত্যাগ করে দান থাকতে হবে)।
৫. ক্রিয়াকে “কোথা থেকে” বা “কি হতে” প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে তা অপাদান কারক।
৬. ক্রিয়াকে “কোথায়”বা “কখন” প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে তা অধিকরণ কারক।
সূত্র: কারক চেনার কৌশল, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
ব্যাকরণের কারণ : কারক আমি বুঝি কম
ড. মোহাম্মদ আমীন
সখা ‘বল’ খেলে। এই বাক্যে ‘বল’ পদটি কোন কারক?
প্রথম জন বলল, ‘বল’ পদটি কর্ম কারক।
“করণ কারক” হবে না কেন? দ্বিতীয় জন জানতে চাইল।
কেননা, এই বাক্যের প্রধান ভাব বা মুখ্যার্থ হলো “বল খেলা” সখা নামের ব্যক্তিটির কর্ম, পেশা বা স্বভাব । “সখা বল খেলে।” বাক্যটি দিয়ে সখার স্বভাব প্রকাশ করা হচ্ছে। যেমন :সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। পাইলট বিমান চালায়।
এখানে সখা নামের ব্যক্তিটি বল দিয়ে খেলছে- বাক্যটির গৌণার্থ বিবেচনা করা যেতে পারে, মুখ্যার্থ নয়। মুখ্যার্থ থাকতে অপ্রয়োজনে গৌণার্থে যাব কেন? “সখা ‘বল’ খেলে” বাক্যে বল-পদের মুখ্য ভূমিকা কর্মে, কর্ম সম্পাদনে সহায়তাকারী হিসেবে নয়। এজন্য “সখা বল খেলে” বাক্যের বল পদটি কর্ম কারক।
দ্বিতীয় জন বলল, আমি মনে করি, এই বাক্যের বল পদটি করণ কারক।
প্রথম জন বলল, বাঙালিরা কোন বিষয়ে একমত হতে পেরেছে শুনি?
২. সখা বল খেলছে।
উপর্যুক্ত ২ নম্বর বাক্যের ‘বল’ পদটি কোন কারক?
এই বাক্যে ‘বল’ পদটি “করণ কারক” হতে পারে।
কেন?
বাক্যটির মুখ্যার্থ হচ্ছে – সখা নামের ব্যক্তিটি বল দ্বারা খেলছে। বাক্যটিতে সখার পেশা নয়, বরং তার কর্ম সম্পাদনে সহায়তা প্রদানকারী বল পদটিই মুখ্য প্রতিভাত; ফলে, কর্মটি গৌণ হয়ে গেছে। যেমন : সূর্য পূর্বদিকে ওঠছে। পাইলট বিমান চালাচ্ছে। অতএব, ‘বল’ করণ কারক।