যতি-চিহ্নটির আগে ও পরে স্পেস রয়েছে।”
জনাব লিটন হোসেন তাঁর লেখায় বলতে চেয়েছেন—শুবাচ গোষ্ঠীর সবাই বাক্যে কোথায় কোলন বসবে তা জানেন না।আমি জনি না, তিনি (জনাব লিটন হোসেন) কেন এমন ঢালাও একটা মন্তব্য করে বসলেন। কোনো সূত্র না দিয়ে কেবল নিজের লেখা একটি উদাহরণ দিয়ে “এই গ্রুপে সবাই যে ভুলটি করেন…কোলোন (:) শব্দের সঙ্গে জুড়ে দেন ”— এমন মন্তব্য করা আদৌ উচিত হয়নি। শুবাচে এ পর্যন্ত এমন লজ্জাকর মন্তব্য কেউ করেননি।
কোলন যতিচিহ্নের অন্তর্ভুক্ত একটি চিহ্ন। বাক্যে যতিচিহ্ন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। ওই নিয়মানুযায়ীই যতিচিহ্ন ব্যবহার করা বিধেয়। স্মৃতি প্রতারণা না-করলে আমি কোলনকে শব্দের সঙ্গে সেঁটে বসাই, ভুল হলে অন্য কথা। এটাই নিয়ম। আমি চাই না, পঙ্ক্তি শেষে আমার কোলনটি করোনাভাইরাসে (‘করোনা ভাইরাস’ নয়) আক্রান্ত রোগির মতো পরের পঙ্ক্তিতে গিয়ে একাকিত্বের যন্ত্রণায় ছটফট করুক। দেখুন (এক নম্বর ছবি) কোলনকে ফাঁক রেখে লেখায় পঙ্ক্তি শেষে কী অবস্থা হয়েছে বাক্যের এবং বেচারা কোলনের। প্রসঙ্গত, সরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম পুস্তিকায় কোলনের আগে ও পরে একটি স্পেস দেওয়ার যে নির্দেশনা রয়েছে তা বাংলা একাডেমির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যদিও বাংলা একাডেমির বিভিন্ন গ্রন্থে কোলোনের প্রয়োগ বিষয়ে ভিন্নতা দেখা যায়।
কোনো একটি বাক্যের শেষ পদটি লেখা সম্পন্ন হওয়ার পর কেউ ‘কী-বোর্ড’-এর স্পেস-বার চেপে ফাঁক সৃষ্টি করে দাঁড়ি দেয় না। কমা, সেমিকোলন প্রভৃতির ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এ প্রসঙ্গে শুবাচি কমল মিস্ত্রির (Kamalesh Mistry) একটি তথ্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, “কোলন পূর্বের শব্দের সঙ্গে সেঁটে বসে “তিষ্ঠ ক্ষণকাল” ও “বাংলা লেখক ও সম্পাদকের অভিধান” বই দুটিতে এমনটাই পাই।” (ছবিতে দেখুন)।