SalMa Sara
গুণ গাথা
ছাত্র: গুণ কী? স্যার।
শিক্ষক : ওহে, গুণধর ছাত্র! এতদিন সরল অংক শিখাচ্ছি তারপরও এটা জানো না। সরল অংকের গুন ভাগের পরে করতে হয়।
ছাত্র : তাহলে মা যে বললেন, গুণ টেনে নৌকা চালাতে হয়।

ছাত্র: দাদীকে দেখলাম দুধওয়ালাকে টাকা দিয়ে বললেন, ভালো করে গুণে নাও বাপু।
শিক্ষক: মনে হয়, ঠিক বলেছেন।
ছাত্র: আপু কাল বিকেলে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন মা বললেন, মোড়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ ছেলেটি কী তোকে দেখে গুণমুগ্ধ হয়ে আবার তোকেই গুণ করেছে?
শিক্ষক: মনে হয়, ঠিক বলেছেন।
ছাত্র: ঐদিন ডাক্তার সাহেব দাদার প্রেশার মেপে বললেন, আর কোনো চিন্তা নেই। আপনার ওষুধে গুণ করেছে।
শিক্ষক : মনে হয়, ঠিক বলেছেন।
ছাত্র: একই কথা বিভিন্নভাবে সবাই ঠিক বলেছেন। কিন্তু কেন স্যার?
শিক্ষক: তোমার দেখছি গণিতের চেয়ে অন্য বিষয়ে গুণপনা একটু বেশি।যাইহোক, মনে রাখবে, যারা গুণবান /গুণবতী তাঁরা সব সময় বুঝেশুনে গুণাগুণ বিচার করে তারপর কথা বলেন।
ছাত্র: কাল রাতে বাবা আমাকে বললেন, লেখাপড়ার অনেক গুণ। টিচারের কাছে মনোযোগ দিয়ে পড়বে। তারপর আমি গণিত পরীক্ষার খাতায় পাঁচ নাম্বার কম পেয়েছি দেখে বললেন, তোর স্যারের তো কোনো গুণই নেই। আস্ত বেগুণ একটা।
শিক্ষক: ইয়ে মানে— মনে হয়, ঠিক বলেছেন। আসলে গুণগরিমা দেখিয়ে অন্যের গুণগান না করা কিংবা গুণগ্রাহিতা না দেখানো অনেকের স্বভাবজাত গুণ।
ছাত্র: মনে হয়, ঠিক বলেছেন। স্যার……
শব্দার্থ
অংকের গুণ = পূরণ
গুণধর = গুণবান , গুণহীন (শ্লেষার্থে)
গুণ টানা = দড়ি
গুণে নেওয়া = গণনা করা
গুণমুগ্ধ = গুণের জন্য বশীভূত এমন
গুণ করেছে = বশীভূত
জিনিসপত্রের গুণ = ধর্ম
ঔষধে গুণ = ক্রিয়া
গুণপনা = কোনো বিষয়ে পটুতা
গুণবান/ গুণবতী ( স্ত্রী) = যারা গুণী
গুণাগুণ = গুণ ও দোষ
লেখাপড়ার গুণ = উপকার
স্যারের গুণ = দক্ষতা, যোগ্যতা
বেগুণ = গুণ নাই যার
গুণগরিমা = গুণগৌরব
গুণগান = গুণকীর্তন
গুণগ্রাহীতা = অন্যের গুণের কদর করা
স্বভাবজাত গুণ = বৈশিষ্ট্য, ভাব
————————