ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা জানুয়ারি ফজলুল হক হল মিলনায়তনে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠিত হয়। এই সংগঠনের অন্যতম নেতা হিসেবে শেখ মুজিবের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতার আগমন ঘটে। শেখ মুজিব সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। তাঁর সুদক্ষ সাংগঠনিক দূরদর্শি কর্মকাণ্ডের জাদুকরি ছোঁয়ায় অচিরে ছাত্রলীগ পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব বাংলা প্রদশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়।
তমদ্দুন মজলিস
তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম। ভারত বিভাগের পরপরই ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ঢাকায় তমদ্দুন মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। তমদ্দুন মজলিস প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা মার্চ ফজলুল হক হলের এক ছাত্রসভায় শেখ মুজিবের প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ওই সভায় বাংলা ভাষাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১১ই মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে পূর্ণ দিবস হরতাল পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। পাকিস্তান সরকারের থেকে বাংলা ভাষার মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে এটি গঠন করা হয়।
১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা মার্চ ফজলুল হক হলে কামরুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে তমুদ্দিন মজলিস ও মুসলিম ছাত্রলীগের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিনই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ সম্প্রসারণ করে প্রথম সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।