উইলসন গ্রেটব্যাচ : পেস মেকার আবিষ্কারক
অসুস্থ ও দূর্বল হৃৎপি-ে বিদ্যুৎ তরঙ্গ সৃষ্টি করে স্বাভাবিক স্পন্দন হার ফিরিয়ে আনা ও তা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বুকে বা উদরের চামড়ার নিচে স্থাপিত ছোটো যন্ত্র হলো পেসমেকার। হৃৎপি-ের সুস্থতা পরিমাপের প্রাথমিক ধাপ হলো হৃৎস্পন্দনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মানুষের স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন মিনিটে ৬০-৯০ বার। হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরে বা দ্রুত গতিসম্পন্ন কিংবা অনিয়ত হলে তাকে অ্যারিথমিয়া বলে। পেসমেকার ব্যবহার করে সব ধরনের অ্যারিথমিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন গ্রেটব্যাচ ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে হৃৎস্পন্দনের শব্দ শোনার কম্পনযন্ত্র বানাতে গিয়ে পেসমেকার আবিষ্কার করে ফেলেন। তবে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে মানুষের শরীরে প্রথম পেসমেকার স্থাপন করা হয়। ওই রোগি বেঁচেছিলেন ১৮ মাস।
ড. মোহাম্মদ আমীন