জিম্বাবুয়ে (Zimbabwe) : নামকরণ ও ইতিহাস

ড. মোহাম্মদ আমীন
জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ অফ্রিকায় জাম্বেজি ও লিম্পুপো নদীর মাঝখানে অবস্থিত স্থলবেষ্ঠিত রাষ্ট্র। এর দক্ষিণে সাউথ আফ্রিকা, পশ্চিমে বতসোয়ানা, উত্তর-পশ্চিমে জাম্বিয়া এবং পূর্বে মোজাম্বিক। জিম্বাবুয়ের সরকারি নাম রিপাবলিক অব জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর প্রাচীন নাম ছিল সলিসবরি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লর্ড সলিসররির সম্মানে এ নাম রাখা হয়েছিল। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে সলিসবরি নাম পরিবর্তন করে সোনা উপজাতীয় প্রধানের নামানুসারে হারারের (Neharawe) রাখা হয়।

জিম্বাবুয়ের মোট আয়তন ৩,৯০,৭৫৭ বর্গকিলোমিটার।২০১২ খ্রিষ্টাব্দের হিসাবমতে, জনসংখ্যা ১,২৯,৭৩,৮০৮; প্রতি বর্গকিলোমিটার লোকসংখ্যা ২৬। আয়তন বিবেচনায় এটি পৃথিবীর ৬০-তম এবং জনসংখ্যা বিবেচনায় ৭৩-তম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় এটি পৃথিবীর ১৭০-তম জনবহুল দেশ। জিম্বাবুয়ের জনগণের ৮০% খ্রিষ্টান এবং ১১% নৃতাত্ত্বিক ধর্মের অনুসারী এবং ১% মুসলিম। নৃতাত্তিক গোষ্ঠীর মধ্যে ৮২% সোনা। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের হিসাবমতে, জিম্বাবুয়ের জিডিপি (পিপিপি) ২৮.১৪৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং মাথাপিছু আয় ২,০৯৯ ইউএস ডলার।

জিম্বাবুয়ের নাগরিকদের সরকারিভাবে জিম্বাবুইয়ান বলা হয়। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর দেশটি যুক্তরাজ্য হতে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ এপ্রিল স্বাধীনতা লাভ করে। সরকারি ভাষার সংখ্যার ১৬। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ এপ্রিল জিম্বাবুয়ের বর্তমান পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। ২৫% জিম্বাবুইয়ান খাদ্যের প্রচ- অভাবে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হয়। শিক্ষিতের হার ৯০%। বেকারত্বের হার ৮০%। জিম্বাবুয়েতে বড় উদর পুরুষদের সম্পদের চিহ্ন। এর মানে সে প্রতিদিন মাংস খেতে পায়। জিম্বাবুয়ের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত পৃথিবীর সপ্ত প্রাকৃতিক আশ্চর্যের অন্যতম। রানী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে ডেভিড লিভিংস্টোন জলপ্রপাতটির নামকরণ করেছিলে। তবে এর স্থানীয় নাম মসি ওয়া তুনাই। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে রানি এলিজাবেথ ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত দেখতে গিয়েছিলেন। (জাম্বিয়া)

Language
error: Content is protected !!