তারানাথ তান্ত্রিকের ভূতপ্রেত

প্রমিতা দাশ লাবণী

ভূতের বই মানে ভূতের লেখা কোনো বই নয়, ভূত নিয়ে লেখা বই। আসলে কী ভূত বলে কিছু আছে? ভূত আছে কি নেই, সেই প্রশ্ন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তারপরও আমাদের জীবন ও সাহিত্যে ভূতের কোনো অভাব নেই। তারা নানাভাবে আসে জীবনে, সাহিত্য আর রসনার অলিতে-গলিতে বৈচিত্র্যময় অনুভূতির উল্লসিত কারুকাজ নিয়ে। সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে— ভূতের বই পড়ার সময় ভূতের অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব একাকার হয়ে যায়। তখন কেবল ভূতের অস্তিত্বটাই হয়ে ওঠে নিরেট একটা অস্তিত্ব। শিউরে উঠে শরীর, শিহরনের চঞ্চলতায় মন শিরশির করে উঠে অজানা ভাবনায়। ফলে ভূতে সাংঘাতিক অবিশ্বাসী পাঠকও অদ্ভুত ভূতে পতিত হয়। নইলে কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরী, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চারুচন্দ্র দত্ত, পরশুরাম, জগদীশচন্দ্র গুপ্ত, ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত লেখকগণ ভূত নিয়ে লিখতেন?

বাংলা সাহিত্যে এমন কোনো খ্যাতিমান লেখক নেই, যিনি ভূত নিয়ে ভূতের গল্প লিখেননি। শুধু বাংলা সাহিত্য কেন, বিশ্বের প্রত্যেক ভাষার সাহিত্যে ভূত একটি অন্যতম আকর্ষণীয় এবং অনিবার্য চরিত্র। ভূত নেই তো যেন সাহিত্য নেই। প্রাচীনকাল থেকে অদ্যাবধি—বিজ্ঞানের পরম উৎকর্ষের এমন অত্যাধুনিক যুগেও ভূত যেন সাহিত্যের সঙ্গে নিবিড় একাত্মতায় জড়িয়ে। তাই সাহিত্যের ভূত মানুষের জীবনের মতো নিবিড় ভয় আর পরম মমতায় ছড়িয়ে আর জড়িয়ে থাকে আমাদের ইচ্ছার কোনায় কোনায়—  ইচ্ছা আর অনিচ্ছায়।

বাংলা সাহিত্যের নয় জন খ্যতিমান লেখকের লেখা সেরা নয়টি ভূতের গল্প দিয়ে গ্রন্থটি সাজানো হয়েছে। গল্পগুলো পড়লে মনে হবে— ভূত আমাদের জীবন আর অস্তিত্বের মতেই অনিবার্য। প্রতিটি গল্পের প্রতিটি লাইন আকর্ষণ, ভয়, শিহরন, রোমাঞ্চ আর অনবদ্য আতঙ্কে আঁতকে উঠা বাক্য বিন্যাসে ভরপুর।

ড. মোহাম্মদ আমীন

যা যে-কোনো বয়সের পাঠককে মুহূর্তে এমন এক জগতে নিয়ে যেতে পারে যেখানে ভূত ছাড়া সবকিছুর অস্তিত্ব— পুরোটই অস্তিত্বহীন। ভয় পাবেন না, তবে সাবধান থাকবেন— ভূত যেন আপনাকে কাবু না-করতে পারে। আর কথা নয়, এবার তাহলে প্রবেশ করা যাক সেরা লেখকের সেরা ভূতের অনিমেষ রাজ্যের শিহরিত ভাবনার অদ্ভুত ভূতরাজ্যে।

এটি ড. মোহাম্মদ আমীন স্যারের একটি সংকলন গ্রন্থ। বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত নয় জন লেখকের নয়টি ভূতের গল্প নিয়ে গ্রন্থটি সজ্জিত। এই গ্রন্থটির প্রকাশক আগামী প্রকাশনী। পাওয়া যাবে: অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় আগামীর প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নম্বর: এক)। গ্রন্থটির গল্প ও লেখকের নাম নিম্নে দেওয়া হলো:

১. নিশীথে: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২. আমার কথা: প্রমথ চৌধুরী ।
৩. একটি ভৌতিক কাহিনী: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।
৪. মোহিনী: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৫. পুরানো কথা: চারুচন্দ্র দত্ত।
৬. মহেশের মহাযাত্রা: পরশুরাম।
৭. সবার শেষে গয়া: জগদীশচন্দ্র গুপ্ত।
৮. মৃত্যুর পূর্ব্বে ও পরে: ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
৯. তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


ড. মোহাম্মদ আমীন স্যারের লেখা কয়েকটি বই

কীভাবে হলো দেশের নাম

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১

দৈনন্দিন বিজ্ঞান লিংক

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩

শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৪

কীভাবে হলো দেশের নাম

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র/১

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র/২

বাংলাদেশের তারিখ

শুদ্ধ বানান চর্চা প্রমিত বাংলা বানান বিধি : বানান শেখার বই

Language
error: Content is protected !!