দাপ্তরিক প্রমিত বাংলা বানান

অফিস-আদালতে
নান্দনিক-বাংলা লেখার কৌশল

১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ০১.০৬.২০১১ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ০৪.২২২.০৪৫.০০.০১.০০৭.২০১০-৩১ নম্বর প্রজ্ঞাপন অনুসারে কম্পিউটারে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে ইউনিকোডভিত্তিক সফটওয়্যার (যেমন অভ্র) ও ফন্টসমূহ (যেমন নিকস, সোলায়মানলিপি, বৃন্দা) ব্যবহার করতে হবে। তবে এ ফন্ট বা সফটওয়্যার ব্যবহারের বড় অসুবিধা হচ্ছে ছাপানো। এ ফন্ট বা সফটওয়্যার দিয়ে কিছু লেখা হলে তা পুনরায় বিজয় বা অন্য উপযুক্ত ফন্টে পরিবর্তন করা না-হলে ছাপাখানায় ব্যবহার করা যায় না।
২. অত্যাবশ্যক না-হলে এবং বিকল্প শব্দ থাকলে বাক্যে, বিশেষ করে ক্রিয়া ও অব্যয় পদের তৎসমরূপ পরিত্যাগ করা সমীচীন। যেমন করত, অত্র, ঢাকাস্থ, পর্যালোচনান্তে প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করা আধুনিক বাংলা সমীচীন নয়।
৩. ক্রিয়াপদে ঊর্ধ্বকমা দেবেন না। অনেকে লেখেন : ক’রে, হ’ল, যা’বে প্রভৃতি। এমন লেখা সমীচীন নয়, লিখুন : করে, হল, যাবে প্রভৃতি।
৪. বিকল্প-সিদ্ধ বানানের ক্ষেত্রে একই পত্রে বা একই প্রতিবেদনে শব্দের বানান অভিন্ন রাখা উচিত। তবে সর্বদা প্রমিত বানানটি ব্যবহার করা উত্তম। সাধারণত অভিধানের প্রথম-ভুক্তিটি সমধিক গ্রহণযোগ্য এবং প্রমিত হিসাবে গণ্য।
৫. বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত দাপ্তরিক পত্র সাধারণত চলিত রীতিতে লেখা সমীচীন। সাধু রীতির ব্যবহার এখন এতই কম যে, অনেকে সাধুভাষা লিখতে ও পড়তে কিছুটা হলেও জটিলতার সম্মুখীন হন। যেকোনো লেখায় যাতে সাধু-চলিত মিশ্রণ না-হয় সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। অনেকে কিছু কিছু ক্রিয়া ও সর্বনাম পদে সাধু-চলিতের পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেন। এমন কয়েকটি শব্দ নিচে উদাহরণ হিসাবে দেওয়া হলো :
সাধু রীতি চলিত রীতি সাধু রীতি চলিত রীতি
ইহা এটি দিবে দেবে
উপর ওপর নিবে নেবে
জুতা জুতো ভাঙিয়া ভেঙে
৬. কোনো শব্দে হ্রস্ব ই-কার হবে না দীর্ঘ ঈ-কার হবে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলে এবং হাতের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্য অভিধানও না-থাকলে সেক্ষেত্রে হ্রস্ব ই-কার ব্যবহার করুন। তা হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কমবে। মূর্ধন্য-ষ ও দন্ত্য-স এবং মূর্ধন্য-ণ ও দন্ত্য-ন এর ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য।
৭. কথ্যরূপ ও লেখ্যরূপের মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। তাই কখনো কথ্যরূপের সঙ্গে লেখ্যরূপের কোনো শব্দ কোনো অবস্থাতেই ব্যবহার করা উচিত নয়। কথোপকথন, উদ্ধৃতি, প্রবাদ-প্রবচন কিংবা কথাসাহিত্যে নির্দিষ্ট কথ্যরীতির কোনো সংলাপ ছাড়া সাধারণ লেখালেখি বা চিঠিপত্রে কথ্যরূপ লেখা বিধেয় নয়। ইচ্ছে, জন্যে, নেয়া, দেয়া, মধ্যে, সন্ধে, হিসেব প্রভৃতি কথ্যরূপ হলেও অনেকে চিঠিপত্রে মনের আনন্দে এগুলো চলিতরূপ হিসাবে লিখে যাচ্ছেন। এটি আদৌ উচিত নয়। শব্দগুলোর লেখ্যরূপ হচ্ছে যথাক্রমে : ইচ্ছা, জন্য, নেওয়া, দেওয়া, মধ্য, সন্ধ্যা, হিসাব প্রভৃতি।
৮. বাংলা ভাষার যথাযথ ব্যবহার এবং প্রচলিত শব্দ প্রয়োগে আরও পারদর্শী হওয়ার জন্য প্রতিদিন বাংলা ভাষায় লেখা আধুনিক লেখকের গ্রন্থ, বানান সংক্রান্ত বিধি বা ব্যাকরণ গ্রন্থ পাঠ করা আবশ্যক। বাংলা পত্রিকা পাঠের মাধ্যমে সহজবোধ্য ভাষা ব্যবহার ও প্রচলিত শব্দ প্রয়োগ এবং ইংরেজি পত্রিকা পাঠের মাধ্যমে দৈনন্দিন ইংরেজি চর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা যায়। তবে বাংলা পত্রিকা পাঠে বানান সম্পর্কে সচেতন থাকা আবশ্যক। অনেক বাংলা পত্রিকায় প্রচুর ভুল-বানান দেখা যায়। অধিকন্তু অনেক পত্রিকা প্রমিত বানানের অশুদ্ধ ব্যবহার করে থাকে। আবার অনেক পত্রিকা নিজস্ব বানান রীতির আড়ালে বানানে যথেচ্ছাচার করে থাকে।
৯. কোনো শব্দের বানানে সংশয় দেখা দিলে বাংলা একাডেমি-প্রণীত অভিধান থেকে প্রমিত বানানটি দেখে নেওয়া উচিত। লক্ষ রাখতে হবে, কেবল অভিধানে ভুক্তির জন্য কোনো শব্দের বানান শুদ্ধ বা প্রমিত বলা যায় না। অভিধানে কোনো ভুক্তির শীর্ষে যে বানানটি রয়েছে সাধারণত সেটিই প্রমিত। বাকিগুলো সাধারণত প্রচলনের কারণে ভুক্ত করা হয়।
১০. আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পত্র-যোগাযোগে উদ্দেশ্যগত ও প্রায়োগিক পার্থক্য থাকে। তাই উভয়ের ভাষা ও গঠন এবং বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত অর্থের বিষয়ে লেখকের পরিপূর্ণ সচেতনতা বাঞ্ছনীয়। দাপ্তরিক পত্র বা সার-সংক্ষেপে যথাসম্ভব আনুষ্ঠানিক ভাষার ব্যবহার সমীচীন। এ ক্ষেত্রে অনাবশ্যক আবেগপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উত্তম। বরং আবেগ বাদ দিয়ে তথ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ যুক্তি উপস্থাপন করাই বুদ্ধিমানের পরিচায়ক।
১১. কোনো বিষয় নথিতে উপস্থাপনের পূর্বে বিবেচ্যপত্র মনোযোগ সহকারে পাঠ করে বক্তব্য পুরোপুরি অনুধাবনপূর্বক উপস্থাপন করা আবশ্যক। অনেকে বিবেচ্যপত্রকে এতই গুরুত্ব দেন যে, বিবেচ্যপত্রে কোনো বানান বা ব্যাকরণগত ভুল থাকলে তা-ও আগ্রাহ্য করেন না। এমনটি করা সমীচীন নয়, তা হলে তা মাছিমারা কেরানির কথা মনে করিয়ে দেবে। একজন শিক্ষিত অফিসার কখনো এমনটি করেন না।
১২. বাংলা ভাষায় ঋ-কার ( ৃ) একটি প্রতীক চিহ্ন। স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হলে ঋ-এর উচ্চারণ ‘রি’ অথবা ‘রী’ এর মতো হয়, যেমন ঋণ (রীন), ঋতু (রীতু)। আর ব্যঞ্জন ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হলে ‘র-ফলা + ই-কার-এর মতো হয়। যেমন মাতৃ (মাত্রি), কৃষ্টি (ক্রিষ্টি)। অর্থাৎ উচ্চারণের দিক থেকে ‘শৃঙ্গ’ ‘শ্রিত’ বা ‘শ্রীমতী’ শব্দে কোনো তফাৎ নেই । তিন ধরনের বানানে একই উচ্চারণ । কিন্তু ‘ঋ-কার’ মূল সংস্কৃতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই বাংলা ভাষায় প্রচলিত তৎসম শব্দে ঋ-কার ব্যবহৃত হয় । যেমন তৃণ, ঘৃণা, মৃণাল, বৃষ, তৃষ্ণা। কিন্তু তৎসম ব্যতীত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘ঋ-কার’ ব্যবহার সিদ্ধ নয়। যেমন ব্রিটিশ (বৃটিশ হবে না), ত্রিনিদাদ (তৃনিদাদ হবে না) প্রভৃতি।
১৩. পত্রযোগাযোগের ক্ষেত্রে “নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে” দিয়ে বাক্য শুরু করে “অনুরোধ করা গেল” বাগ্ভঙ্গি দিয়ে শেষ করলে বাক্য-চয়নে ভুল থেকে যায়। এমন ভুল করা উচিত নয়। প্রথম অংশে জ্ঞাপন করা বা জানাবার কোনো বিষয় থাকলে তা জানিয়ে বাক্য শেষ করতে হবে। অতঃপর অনুরোধ জ্ঞাপনের বিষয় থাকলে তা পৃথক বাক্যে সন্নিবেশিত করা সমীচীন। ছোট বাক্য বক্তার বক্তব্যকে যেমন স্পষ্ট করে তেমনি প্রাপকের অনুধাবনের গতিকেও বিকশিত করে।
১৪. অন্য দপ্তর থেকে প্রাপ্ত কোনো পত্রের উত্তর প্রস্তুত করার সময় পত্রের মূল বক্তব্য বিষয়ের মধ্যে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে পত্রের বক্তব্য বাস্তবতার নিরিখে কিছুটা পরিমার্জন করা যেতে পারে। এটি লেখকের সৃজনশীলতার পরিচায়কও বটে। অন্য দপ্তর ভুল বাক্য ব্যবহার করলে কিংবা বিষয় বর্ণনায় ভুল বাক্য দিলে প্রেরকও তেমনটি করবেন, তা হয় না। প্রেরক বিষয়বস্তু অনুধাবন করে সুন্দরভাবে শুদ্ধ বানানে সহজ ভাষায় বিষয়টি প্রকাশ করবেন।
১৫. আনান ও আনানো/করান ও করানো/দেখান ও দেখানো/ বলান ও বলানো/বানান ও বানানো/জানান ও জানানো প্রতিটি শব্দ জোড়ার প্রথম শব্দের শেষ বর্ণ ‘ও-কার’ বর্জিত কিন্তু দ্বিতীয় শব্দ ‘ও-কার’-যুক্ত। শব্দগুলোর বানানে যেমন ভিন্নতা আছে তেমনি অর্থেও ভিন্নতা রয়েছে। শব্দগুলো ‘ও-কার’-হীন হলে ক্রিয়াপদ এবং ‘ও-কার’-যুক্ত হলে বিশেষণ বা বিশেষ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ : (১) মা রুটি বানান। (২) মায়ের বানানো রুটি যেমন সুন্দর তেমনি নরম। উপরের বাক্যের প্রথম বাক্যটিতে ‘বানান’ ক্রিয়াপদ ও দ্বিতীয় বাক্যে ‘বানানো’ বিশেষ্য/বিশেষণ পদ নির্দেশ করছে। ক্রিয়া হিসাবে ব্যবহার করলে এমন শব্দে কখনো ও-কার দেবেন না। যেমন এতদ্দ¦ারা জানান যাচ্ছে লিখুন। এতদ্দ¦ারা জানানো যাচ্ছে লিখবেন না’। কারণ ‘জানান’ ক্রিয়া কিন্তু ‘জানানো’ বিশেষ্য/বিশেষণ।
১৬. ইংরেজি বাক্যে ঃযধঃ শব্দের পরে সাধারণত কমা ব্যবহৃত হয় না। এছাড়া ইংরেজিতে ওঃ’ং হচ্ছে ‘ওঃ রং’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। অন্যদিকে ওঃং মানে ‘ইহার’। এ বিষয়গুলো পত্র লেখার সময় মনে রাখা প্রয়োজন।
১৭. অনেকের অভিমত, পত্রের বিষয় (ংঁনলবপঃ)-শেষে ‘প্রসঙ্গে’ না-লিখে ‘সংক্রান্ত’ লেখা সমীচীন; কারণ ‘বিষয়’ ও ‘প্রসঙ্গ’ শব্দ পরস্পর সমার্থক। প্রকৃত অর্থে বিষয়, প্রসঙ্গে, সংক্রান্ত প্রভৃতি অভিন্ন দ্যোতনা প্রকাশ করে। তাই বিষয়-অনুচ্ছেদের প্রারম্ভে ‘বিষয় :’ উল্লেখ করা হলে প্রসঙ্গ বা সংক্রান্ত দুটোই বাহুল্য। এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ লক্ষ করা যায়। বিষয় : ‘মাননীয় মন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে/সংক্রান্তে’ বাক্যটি বাহুল্য দোষে দুষ্ট। লিখুন (বিষয় : মাননীয় মন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণ)। মনে রাখবেন, পত্রের বিষয় লেখার ক্ষেত্রে সেটির শেষাংশে পুনরায় ‘প্রসঙ্গে’ শব্দটি লেখা বাহুল্য।
১৮. নথিতে বিবেচ্যপত্র উপস্থাপনকালে মূল চিঠির কোনো অংশে ঁহফবৎষরহব করা কিংবা মার্কার ব্যবহার করা ঠিক নয়। পর্যালোচনা বা দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়োজন হলে ফটোকপির উপর ঁহফবৎষরহব করা যেতে পারে।
১৯. ‘হিসেব বা হিসেবে’ শব্দ-দুটো কথ্য। এগুলোর সাধুরূপ হচ্ছে ‘হিসাব বা হিসাবে’। তাই কোনো পত্রযোগাযোগ কিংবা তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে “হিসেব বা হিসেবে” না লিখে “হিসাব বা হিসাবে” লেখা বাঞ্ছনীয়।
২০. সমাসবদ্ধ পদ সর্বদা একসঙ্গে সেঁটে লিখুন। যেমন জেলাপ্রশাসক, পঠিত-প্রতিবেদন, প্রেরিত-পত্র প্রভৃতি।
২১. যতই শুদ্ধ বলে মনে করুন না কেন, নতুন মনে হলে কিংবা সংশয় সৃষ্টি হলে অথবা ইতঃপূর্বে প্রামাণ্য কোনো অভিধানে দেখে না-থাকলে ওই শব্দের বানান প্রমিত কিংবা শুদ্ধ কি না অন্তত একবার হলেও অভিধান দেখে নিশ্চিত হয়ে নিন। অনেকে লেখেন ‘এতদ্বারা’। দীর্ঘদিন হতে প্রায় সব অফিসারই এমন লিখে আসছেন। তাই সবাই মনে করেন এটি শুদ্ধ, আসলে এটি অশুদ্ধ। শুদ্ধ হচ্ছে এতদ্দ¦ারা (এতৎ+দ্বারা)। তেমনি ভুল করে লেখা হয় : অত্র, যত্র, তত্র, কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্রোতাবৃন্দ প্রভৃতি। এগুলোর শুদ্ধরূপ যথাক্রমে : এখানে, যেখানে, সেখানে, কর্মকর্তৃবৃন্দ, শ্রোতৃবৃন্দ প্রভৃতি।
২২. কোনো তথ্য বা প্রতিবেদন তৈরির সময় যাদের উদ্দেশে লেখা হচ্ছে তাঁদের অনুধাবন সক্ষমতার বিষয়টি মনে রেখে তা তৈরি করা উচিত। যাদের জন্য প্রতিবেদনটি লেখা হচ্ছে, তাঁরা যেন সহজে বিষয়টি বুঝতে পারেন, সেদিকে লক্ষ রাখা পত্র-প্রেরকের কর্তব্য।
২৩. একটি পত্রে একাধিক বিষয়ের অবতারণা হলে পত্রে ভিন্ন বিষয়ের জন্য পৃথক অনুচ্ছেদ ব্যবহার করা সমীচীন।
২৪. ঞবধস খবধফবৎ এবং ঐবধফ ড়ভ উবষবমধঃরড়হ-এর ব্যবহার ভিন্ন। সরকারি আদেশ (জিও) জারির সময় এটি লক্ষ রাখতে হবে। বিদেশি মন্ত্রী বা অসনধংংধফড়ৎ-এর নামের পূর্বে ঐরং/ঐবৎ ঊীপবষষবহপু লিখতে হবে।
২৫. ক্রিয়া পদে অর্থ-বিভ্রাটের আশঙ্কা না-থাকলে অন্ত্যপদে ‘ও-কার’ বিধেয় নয়। যেমন থাকো নয় থাক; যাবো নয় যাব। তবে অর্থ-বিভ্রাটের সম্ভাবনা থাকলে অন্ত্য শব্দে ‘ও-কার’ বিধেয়। যেমন হল = বিরাট আয়তনের কক্ষ; হলো = অতীত কালের ক্রিয়া; ভাল = কপাল; (বিশেষ্য), ভালো = উত্তম (বিশেষণ); তৈরি = নির্মাণ, সৃষ্টি (বিশেষ্য), তৈরী = নির্মিত, সৃষ্ট (বিশেষণ); লক্ষ = সংখ্যা, খেয়াল, লক্ষ্য = উদ্দেশ্য; নিচ = নিম্ন, নীচ = হীন, অধম; কোন = প্রশ্নবাচক সর্বনাম। যেমন কোন লোক, কোন ঘটনা, কোনটি; কোনো = প্রশ্নবাচক সর্বনাম। তবে উচ্চারণ ‘ও’ কারান্ত; মত = অভিমত (বিশেষ্য), মতো = ন্যায়, একই রকম (বিশেষণ)।
২৬. ইংরেজি ‘ষড়াব’ শব্দের অর্থ ভালবাসা কিন্তু গুড শব্দের অর্থ ভালো। ভালোবাসা মানে ‘মড়ড়ফ যড়ঁংব’ অন্যদিকে ভালবাসা মানে ‘ষড়াব’। তাই ‘ষড়াব’ বুঝাতে লিখুন ‘ভালবাসা’ কিন্তু ভালো যে বাসা বাগ্ভঙ্গির সমাসবদ্ধ পদ হিসাবে লিখুন ভালোবাসা।

Language
error: Content is protected !!