উড়োজাহাজ, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উড়োজাহাজের আবিষ্কার : একনজরে উড়োজাহাজ
ড. মোহাম্মদ আমীন
রাইট ভ্রাতৃদ্বয় : উড়োজাহাজের আবিষ্কারক
অরভিল (১৯ আগস্ট, ১৮৭১ – ৩০ জানুয়ারি, ১৯৪৮) এবং উইলবার (১৬ এপ্রিল, ১৮৬৭ – ৩০ মে, ১৯১২) রাইট নামের দুই মার্কিন প্রকৌশলী ভ্রাতাকে যাদের উড়োজাহাজ আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তারা ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বর প্রথম নিয়ন্ত্রিত, শক্তিসম্পন্ন এবং বাতাসের চেয়ে ভারী সুস্থিত মানুষ-বহনযোগ্য উড়োজাহাজ তৈরি করেন। পরবর্তী দু’বছর তারা যন্ত্রটিকে অনড়-পাখাবিশিষ্ট উড়োজাহাজে রূপান্তরিত করেন। পরীক্ষামূলক বিমানপোত নির্মাণে সর্বপ্রথম না হলেও, তাদের আবিষ্কৃত উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রকের সাহায্যেই প্রথম অনড়-পাখাবিশিষ্ট উড়োজাহাজ নির্মাণ সম্ভবপর হয়
উড়োজাহাজ এবং ঊর্ধ্বগতির কারণ
উড়োজাহাজ বা বিমান বাতাসের চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এক ধরনের আকাশযান।। উড়োজাহাজকে আমেরিকা ও কানাডাসহ অনেক দেশে এয়ারপ্লেন, আবার ব্রিটেনসহ কিছু দেশে অ্যারোপ্লেন বলা হয়। ডানার সম্মুখগতির কারণে উড়োজাহাজ ঊর্ধ্বগতি লাভ করে। উড়োজাহাজ ও মোটরগাড়ির খোলস তৈরী হয় ডুরালুমিন (অ্যালুমিনিয়াম) দিয়ে। ঊড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ট্যাকোমিটার।
উড়োজাহাজের জানা-অজানা
উড়োজাহাজে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিয়ে মানুষের জন্য স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা হয়। কোন কারণে যদি এই সিস্টেম লস বা লিক করে তাহলেই অক্সিজেন মাস্ক লাগে। কিন্তু এর ব্যাকাপ দেওয়ার সময় মাত্র ১৫ মিনিট। তবুও এটা যথেষ্ট কারণ এই ১৫ মিনিটের মধ্যে প্লেপ্রায় ১০০০০ ফিট উচ্চতায় নেমে আসে যেখানে মানুষ স্বাভাবিক বাইরের বায়ু থেকেই শ্বাস নিতে পারবেন। বিমানের খাবার নাকি খেতে অত্যন্ত বিস্বাদ লাগে। আসলে এতে দোষটা খাবার কিংবা এয়ারলাইন্সের না। সমস্যা হলো বিমানের পরিবেশ। বিমানের ভিতরের কৃত্রিম বাতাসের অনার্দ্র পরিবেশ, মস্তিষ্কের স্বাদ অনুধাবনের ক্ষমতা সাময়িকভাবে দুর্বল করে দেয়। এজন্য উড়োজাহাজের খাবার স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু বিস্বাদ লাগে।উড়োজাহাজের টায়ারগুলোকে প্রায় ৩৮ টন পর্যন্ত লোড নিতে হয়। পাশাপাশি চাকাগুলো প্রায় ১৭০ মাইল/ঘন্টা বেগে ল্যান্ডিং এর সময় মাটিতে আঘাত করে। এজন্য এগুলো এমনভাবেই তৈরি করা যেন না ফেটে যায়। একটি গাড়ির তুলনায় প্রায় ৬ গুণ চাপে উড়োজাহাজের চাকায় বাতাস ঢুকানো হয়। প্রতিটি উড়োজাহাজ বছরে অন্ত একবার বা প্রতি ১০০০ ঘণ্টা উড্ডয়নের মধ্যে একবার বজ্রের শিকার হয়। কিন্তু বজ্রপাতরোধী হিসেবেই তৈরি করায় কোনো ক্ষতি হয় না।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : অক্সিজেন আলো আলোর বেগ রঙ আলোর পথ ও আলোর নীতি
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন