দৈনন্দিন বিজ্ঞান : একনজরে নোবেল পুরস্কার জানা অজানা বিচিত্র তথ্য
ড. মোহাম্মদ আমীন
নোবেল পুরস্কার
সুইডিশ বিজ্ঞানী ও শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেল, নোবেল পুরষ্কারের জনক। তিনি ডিনামাইট ছাড়াও অনেকগুলো গরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। ৩৩৫টি আবিষ্কার তার নামে নিবন্ধিত হয়েছিল। তিনি তার অর্জিত সম্পত্তির একটি বিরাট অংশ নোবেল পুরষ্কার প্রদানের জন্য উইল করে দেন। ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত সুইডিশ-নরওয়েজিয়ান ক্লাবে উইলটি স্বাক্ষর করেন। যা তার মৃত্যুর পর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে খোলা হয়। শর্তে পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে সর্বশ্রেষ্ঠ অবদানের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে একটি করে পুরষ্কার প্রদান করার কথা উল্লেখ ছিল। আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুসারে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত সুইডিশ-নরওয়েজিয়ান ক্লাবে উইলটি স্বাক্ষর করেন। যা তার মৃত্যুর পর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে খোলা হয়। এনটিক রয়্যাল একাডেমি অব মিউজিক অব স্টকহোমে ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সুইডেনের রাজা দ্বিতীয় অস্কার পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য ও চিকিৎসা শাস্ত্রে পুরষ্কার বিজয়ীদের এ পুরষ্কার প্রদান করেন। যদিও তিনি বিদেশিদের এ পুরষ্কার প্রদানে রাজি ছিলেন না।
বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী
১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে সুলি প্রুহদোম (১৮৩৯-১৯০৭), শান্তিতে জন হেনরি ডুনান্ট ও ফ্রেডেরিক প্যাসি, চিকিৎসাশাস্ত্রে এমিল এডলফ বেহিং, রসায়নশাস্ত্রে জ্যাকোবাস হেনরিকাস ভ্যান্ট হফ এবং পদার্থ বিজ্ঞানে উইহেল্ম কনরার্ড রন্টজেন নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। প্রসঙ্গত, তখন কিন্তু অর্থনীতি বিজ্ঞানে নোবেল স্মৃতি পুরষ্কার প্রদান শুরু হয়নি।
নোবেল পুরষ্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্স; চিকিৎসা বা শরীরতত্ত্বে ক্যারোলিনস্কা ইন্সইটটিউট; সাহিত্যে সুইডিশ একাডেমি; অর্থনীতি বিজ্ঞানে সুইডেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং শান্তিতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি পুরষ্কার প্রদানসহ প্রাসঙ্গিক দায়িত্বাবলি পালন করে থাকে।
পুরষ্কার প্রদানের তারিখ
১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই ডিসেম্বর নোবেল পুরষ্কারের জনক আলফ্রেড নোবেল মারা যান। প্রতিবছর স্টকহোমে এদিন নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। প্রথম পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়েছিল ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই ডিসেম্বর। ১০ই ডিসেম্বর নোবেল দিবস হিসেবে পরিচিত।
সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী প্রথম মহিলা
সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী প্রথম মহিলা সুইডিশ লেখিকা সেলমা ল্যাগেরল্যোফ। তিনি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির ৫ বছর আগে তিনি এ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ৮১ বছর বয়সে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই মার্চ মারা যান।
নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী সর্বজ্যেষ্ঠ পুরুষ
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রফেসর লিউনিট হারউক্জ ৯০ বছর বয়সে অর্থনীতি বিজ্ঞানে নোবেল স্মৃতি পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পুরষ্কার অর্জনকারী পুরষ। সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার অর্জনকারী ডরিস লিজিং সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পুরষ্কার অর্জনকারী মহিল।
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম ল্যাটিন মহিলা
গ্যব্রিয়েল মিস্ত্রাল সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী প্রথম মহিলা। তিনি ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর সাহিত্যে ল্যাটিন আমেরিকার প্রথম এবং সাহিত্যে পঞ্চম নোবেল বিজয়ী মহিলার গৌরব অর্জন করেন। তিনি ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই এপ্রিল চিলিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি মারা যান।
নোবেল পুরষ্কার প্রত্যাখ্যানে বাধ্য
রুশ সাহিত্যিক বরিস পস্তারনাক ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। প্রথমে তিনি তা গ্রহণের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের চাপে পড়ে তা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হন। তবে একাডেমি কর্তৃপক্ষ তার এ প্রত্যাখ্যানকে গ্রহণ করেনি। একাডেমির মন্তব্য হলো একবার পুরষ্কার স্বীকার করে নেওয়ার পর তা গ্রহণ না করার কোন উপায় নেই। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে বরিস পস্তারনেকের পুত্র ইভিগেন পস্তারনেক পিতার পক্ষে পুরষ্কারের অর্থ গ্রহণ করেন। জ্যাঁ পল সার্ত্রে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। পুরষ্কার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ তিনি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি গ্রহণ করতেন না। ইতোপূর্বেও তার নামে ঘোষিত সকল প্রাতিষ্ঠানিক পুরষ্কার তিনি প্রত্যাখান করেছিলেন। জাঁ পল সার্ত্রে ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ শে জুন জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই এপ্রিল ৭৪ বছর বয়সে মারা যান। লি ডিউক থু ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে যৌথভাবে ভিয়েতনামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তবে লি ডক থুক তা প্রত্যাখ্যান করেন। তারমতে যে কারণে তাকে দেওয়া শান্তি পুরষ্কার যৌক্তিক নয়।
মরণোত্তর নোবেল প্রাইজ
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে সুইডিশ নাগরিক এরিক এক্সেল কার্লফেলৎদ সাহিত্যে মরণোত্তর নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দ হতে মরণোত্তর নোবেল পুরষ্কার দেওয়ার রীতি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে পুরষ্কার ঘোষিত হবার পর কেউ মারা গেলে সে ক্ষেত্রে তাকে মরণোত্তর নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হবে। এর ভিত্তিতে জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে শান্তিতে মরণোত্তার নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছিলেন। উল্লেখ্য পুরষ্কার ঘোষণার কয়েক দিন পর তিনি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।
সবচেয়ে বেশি বয়সে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার
ডরিজ লেজিং ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি যখন নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন তখন তার বয়স ছিল ৮৮ বছর। লিজিং ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৭ ক্রিষ্টাব্দে ৮৮ বছর বয়সে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তার ছদ্মনামস ছিল জেন সমারস।
রাষ্ট্রনায়ক–সাহিত্যিক
অনেকে মনে করেন উইনস্টন চার্চিল শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছেন। চার্চিলকে সাহিত্য ও শান্তি উভয় বিষয়ে নির্বাচন করা হয়েছিল। তিনিই একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান।
জর্জ বার্নাড স
প্রখ্যাত নাট্যকার ও দার্শনিক জর্জ বার্নাড স ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুলাই আয়ার্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২রা নভেম্বর মারা যান।
সাহিত্যে সর্বাধিক নোবেল বিজয়ী দেশ
সাহিত্যে এ পর্যন্ত যতগুলো দেশের নাগরিক নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে তম্মধ্যে ফ্রান্সের স্থান শীর্ষে। এ পর্যন্ত ১২ জন ফ্রান্সবাসী সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছেন। নোবেল পুরষ্কার বিজয়ীরা যে কাজের জন্য নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন সে কাজের অধিকাংশ কোন দেশে সম্পন্ন করা হয়েছে তার উপর জাতীয়তা বা দেশ নির্ভর করে। তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন কিংবা লেখাপড়া করেছেন বা বসবাস করেন তার উপর নয়।
ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য লরেট
২০০৯ খ্রিস্টাব্দ হতে এ পর্যন্ত ২১ জন কবি-সাহিত্যিক ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যকর্ম করে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। ইংরেজি ভাষায় নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী প্রথম সাহিত্যিক রুডইয়ার্ড কিপলিং। তিনি ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। দি জঙ্গল বুক তার বিখ্যাত গ্রন্থ।
সাহিত্যে নোবেল বিহীন বৎসর
১৯০১ খ্রিস্টাব্দ হতে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। তবে নোবেল পুরষ্কার প্রদানের মত যোগ্য কোন লোক খুজে না পাওায় ১৯৪৩, ১৯৪২, ১৯৪১, ১৯৪০, ১৯৩৫, ১৯১৮ এবং ১৯১৪- এ সাত বছর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয় নি।
নোবেল পুরষ্কারের বিকল্প
আলফ্রেড নোবেলের উইলে নেই, শুধু এ ওজুহাতে গণিত, দর্শন ও সমাজ বিজ্ঞানের মতো বিষয় নোবেল পুরষ্কারের আওতা হতে বাইরে রাখা হয়েছে। জ্যাকব ভন উইক্সকুল নোবেল ফাউন্ডেশনকে পরিবেশ ও গরিবের জন্য জীবন এ দু বিষয়েও নোবেল পুরষ্কার প্রচলনের প্রস্তাব দেন। তা গ্রাহ্য করা হয়নি। তিনি নিজেই রাইট লাইভলিহুড আ্যওয়ার্ড (জরমযঃ খরাবষরযড়ড়ফ অধিৎফ) নামক একটি পুরষ্কার প্রচলন করেন। যাকে নোবেল পুরষ্কারের বিকল্প বলা হয়। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ হতে প্রচলিত গণিতশাস্ত্রের জন্য প্রদত্ত ‘এবেল প্রাইজকে’ও নোবেল পুরষ্কারের বিকল্প বলা হয়। এর পূর্ব হতে প্রচলিত গণিতের জন্য প্রদত্ত ‘ফিল্ডস মেডেল পুরষ্কার’ও নোবেল পুরষ্কারের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও নোবেল পুরষ্কার
এ পর্যন্ত ৪ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছেন। এরা হচ্ছেন ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী বারাক ওবামা, থিউডোর রুজভেল্ট, উড্র উলসন, জিমি কার্টার এবং বারাক ওবামা। থিউডর রুজভেল্ট নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দের রুশ-জাপান যুদ্ধ (১৯০৪-১৯০৫) বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন নি। হার্বাট এইচ ডি পাইরেস তার পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করেন। লিগ অব নেশন্স ও ভার্সাই চুক্তির জন্য ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। পুরষ্কার প্রদানের সময় তিনি এত অসুস্থ ছিলেন যে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। নরওয়ে-তে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আলবার্ট জি এসকেম্ডম্যান উইলসনের পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করেন। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে আনোয়ার আল-সাদাত ও মেনাচিন বেগিনের সাথে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নিজে উপস্থিত থেকে শান্তিতে প্রদত্ত নোবেল পুরষ্কার গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গণতন্ত্র ও শান্তি আলোচনাকে বিশ্বব্যাপী উদ্দীপ্ত ও বেগবান করার অনুকূলে সফল কুটনীতিক প্রয়াসের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ত্যাগী লরেট
সুইডিশ কবি এরিক এক্সেল কার্লফেলৎদ ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তখন সুইডিস একাডেমির সদস্য থাকায় জনসমক্ষে কোনো প্রশ্ন বা সংশয়ের উদ্রেক হবে বলে পুরষ্কার গ্রহণ করেননি। মৃত্যুর পর ১৯৩১ ক্রিস্টাব্দে তাকে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। অবশ্য মৃত্যুর আগে তার নাম মনোনয়ন করা হয়েছিল।
নোবেলগণের নবেল
টেডি রুজভেল্ট, উড্রো উইলসন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা, এলি ওয়েসেল, মিখাইল গর্ভাচেভ, নেলসন মেন্ডেলা, ইয়াসির আরফাত, সিমন পেরেজ, আইজাক রবিন, জিম্মি কার্টার, টনি মরিসন, উইলিয়াম ফল্কনার, টি এস ইলিয়ট, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, স্যামুয়েল ব্যাকেট, পিয়েরে ও মেরি কুরি, ম্যাক্স প্ল্যান্ক, মাদার তেরেসা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যঁ পল সাত্রে এবং আলাবর্ট আইনস্টাইন প্রমুখ বিখ্যাত নোবেল লরেটদের অন্যতম।
সেরা কিন্তু লরেট নন
এমন কিছু ব্যক্তি নোবেল পুরষ্কার পাননি যাদের নোবেল পুরষ্কার না পাওয়াটা একই সঙ্গে বিস্ময় ও অনুতাপের। দিমিত্রি মেন্দিলিভ, লিও টলস্টয়, ভার্জিনিয়া উলফ, জেমস জয়চ, মার্সেল প্রোস্ট, মার্ক টোয়েন, গার্টুড স্টেইন, হেনরিক ইবসেন, যোয়ান রবিনসন, থমাস এডিসন, নিকোলা তেসলা (ঘরশড়ষধ ঞবংষধ), জুলেস- হেনরি পোইনকেয়ার, রেইমন্ড ডামাডিয়ান এবং মহাত্মা গান্ধীর মতো বিখ্যাত লোকেরাও নোবেল পুরষ্কার পাননি।
নোবেল কারখানা এবং নোবেল পরিবার
পিয়েরে ও মেরি ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। মেরি ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে আবার এককভাবে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তাদের কন্যা আইরিন ও জামাতা ফ্রেডিরিক জুলিয়ে কুরি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে হেনরি ল্যাবুইজ ও মেরির কন্যা ইভ ইউনিসেফ এর পক্ষে নোবেল শান্তি পুরষ্কার গ্রহণ করেছিলেন। এতগুলো নোবেল পুরষ্কার অর্জন ও গ্রহণের সাথে পৃথিবীর আরও কোন ব্যক্তি বা পরিবারের একক সংশ্লিষ্টতা আর নেই।
সাহিত্যে সর্বকনিষ্ঠ লরেট
রুডইয়ার্ড কিপলিং সাহিত্যে সর্বকনিষ্ঠ লরেট। তিনি ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে রুডইয়ার্ড কিপলিং মাত্র ৪২ বছর বয়সে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। তার জন্ম ছিল ভারতে।
জাতিসংঘ বনাম কফি আনান
কফি আনান ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘের সঙ্গে একত্রে নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ভূষিত হন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জাতিসংঘের সঙ্গে একত্রে শান্তি পুরষ্কার লাভ করেছেন।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : অক্সিজেন আলো আলোর বেগ রঙ আলোর পথ ও আলোর নীতি
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : উড়োজাহাজ, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উড়োজাহাজের আবিষ্কার : একনজরে উড়োজাহাজ
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : মৌল মৌলের সংখ্যা মৌলিক পদার্থ আইসোটোপ ও পর্যায় সারণী
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : সিলিকন ভ্যালি
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : পানি এবং বিশ্বে পানির অবস্থান, পরিমাণ
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : বিদ্যুৎ বা তড়িৎ প্রথম বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন ত্বড়িতের একক
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : পারমাণবিক অস্ত্র : হাইড্রোজেন বোমা ও এটম বোমা : পরমাণু অস্ত্রের ব্যয়
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন