বিদ্যুৎ বা তড়িৎ : তড়িৎ আধান ও তড়িৎ আধানের একক : তড়িৎ বিভব
ড. মোহাম্মদ আমীন
প্রথম বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন
বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন বা তড়িৎ শক্তি উৎপাদন বা সংক্ষেপে বিদ্যুৎ উৎপাদন বা তড়িৎ উৎপাদন হচ্ছে অন্য কোনো প্রাথমিক শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ১৮২০ থেকে ১৮৩০ এর দশকে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদনের বুনিয়াদি তত্ত্ব আবিস্কার করেন। তাঁর আবিষ্কৃত তত্ত্বের ভিত্তিতে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে আসছে – চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে তারের কুন্ডলী বা তামার পাতের ঘূর্ণনের মাধ্যমে। প্রকৃতিতে স্বাভাবিক উপায়ে বিদ্যুৎশক্তি পাওয়া যায় না, তাই একে ব্যবহার করতে হলে অন্য কোনো সহজলভ্য শক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত করে নিতে হবে। অন্যান্য ধাপগুলো হচ্ছে বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চারণ, বিদ্যুৎ শক্তি বিতরণ এবং বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয়। সাধারণত বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রবাহমান জলধারা বা বায়ুর সঞ্চিত গতিশক্তিকেও বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে সৌর শক্তি এবং ভূ-গর্ভে সঞ্চিত তাপ শক্তি।
তড়িৎ বা বিদ্যুৎ এবং তড়িতের আন্তর্জাতিক একক
তড়িৎ বা বিদ্যুৎ হলো একপ্রকার শক্তিতরঙ্গ যা তড়িৎ আধানের স্থিতি বা গতির ফলে সৃষ্টি হয়। চুম্বকত্বের সঙ্গে মিলিত হয়ে য়ে মৌলিক ক্রিয়ার জন্ম দেয়, তার নাম তড়িৎ চুম্বকত্ব। যেমন: বজ্রপাত, তড়িৎ ক্ষেত্র, তড়িৎ প্রবাহ ইত্যাদি। ধাতু বিদ্যুৎ পরিবাহী, অধাতু বিদ্যুৎ অপরিবাহী। গ্রাফাইট একমাত্র অধাতু যা বিদ্যুৎ পরিবাহী। ইলেকট্রিক বাল্বে নাইট্রোজেন গ্যাস থাকে।
তড়িৎ আধান ও তড়িৎ আধানের একক
প্রত্যেক পদার্থ পরমাণু দিয়ে গঠিত। পরমাণু আবার নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুর্ণায়মান ইলেকট্রন দ্বারা গঠিত। পদার্থ সৃষ্টিকারী মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক বৈশিষ্ঠ্যমূলক ধর্মকেই তড়িৎ আধান বলে। | C.G.S. পদ্ধতিতে, দুটি সমপরিমাণ বিন্দু আধানকে শূন্যস্থানে কিংবা বায়ু মাধ্যমে এক সেমি দূরে রাখলে যদি এরা পরস্পরের ওপর এক ডাইন বল প্রয়োগ করে, তবে প্রতিটি বিন্দু-আধানকেক একক আধান বলা হয়।
তড়িৎ বিভব, তড়িৎ বিভবের একক এবং বিভবপ্রভেদ
তড়িৎ বিভব হলো তড়িৎদাহিত বস্তুর এমন একটি অবস্থা যা থেকে বোঝা যায় ওই বস্তুর সঙ্গে অন্য কোনো বস্তুর সংযোগ ঘটালে আধানটি কোন বস্তু থেকে কোন বস্তুর দিকে যাবে। অসীম দূরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে কার্য করতে হয়, তাকে তড়িৎ বিভব (electric potential) বলে। একে V দ্বারা প্রকাশ করলে V = W/Q;এখানে W= কৃতকার্য ও Q = আধান। তড়িৎ বিভবের SI একক : ভোল্ট এবং CGS একক স্ট্যাটভোল্ট ; ৩০০ স্ট্যাটভোল্ট = ১ ভোল্ট=১০৮ অ্যাবভোল্ট। এটি একটি স্কেলার রাশি। একে ভোল্টমিটারে মাপা হয়। এখন ধনাত্মক ক্ষেত্র থেকে ঋণাত্মক ক্ষেত্রে যেতে একক আধানের কৃতকার্যকে বিভবপ্রভেদ বললে, ঋণাত্মক ক্ষেত্র থেকে ধনাত্মক ক্ষেত্রে একক আধানের কৃতকার্যকে তড়িৎচালক বল (EMF) বলে। একে পোটেনশিওমিটার দ্বারা মাপা যায়।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : অক্সিজেন আলো আলোর বেগ রঙ আলোর পথ ও আলোর নীতি
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : উড়োজাহাজ, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উড়োজাহাজের আবিষ্কার : একনজরে উড়োজাহাজ
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : মৌল মৌলের সংখ্যা মৌলিক পদার্থ আইসোটোপ ও পর্যায় সারণী
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : সিলিকন ভ্যালি
দৈনন্দিন বিজ্ঞান : পানি এবং বিশ্বে পানির অবস্থান, পরিমাণ
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন