দৈনন্দিন বিজ্ঞান : মৌল মৌলের সংখ্যা মৌলিক পদার্থ আইসোটোপ ও পর্যায় সারণী

মৌল মৌলের সংখ্যা মৌলিক পদার্থ আইসোটোপ ও পর্যায় সারণী

ড. মোহাম্মদ আমীন

মৌল

যেসব পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য-কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না তাদের মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলা হয়। এরা একর রকম অণু বা একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত। যেমন : একটি মৌলিক পদার্থ, অক্সিজেনের অণু ঙ২ দুটি একই রকম অক্সিজেন পরমাণু ঙ এর সমন্বয়ে গঠিত। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌলের মধ্যে ধাতুর সংখ্যা ৭০ টি।

 মৌলের সংখ্যা

এ পর্যন্ত ১১৮টি মৌল চিহ্নিত হয়েছে, তন্মধ্যে ৯৪টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, বাকি ২৪টি কৃত্রিম উপায়ে তৈরী। চাঁদের নামানুসারে রাখা মৌলের নাম সেলিনিয়াম। প্রকৃতিতে রেডিও আইসোটোপের সংখ্যা ৫০ এবং সবচেয়ে কঠিন পদার্থ  হীরা। প্রকৃতিতে যে মৌলগুলো পাওয়া যায় তন্মধ্যে ৩২টি মুক্তভাবে বা মৌলিক খনিজ রূপে থাকে। যেমন : তামা, সোনা, রূপা, কার্বন, গন্ধক; বাকিগুলো বিভিন্ন যৌগ গঠন করে অর্থাৎ যৌগিক খনিজ রূপে বিদ্যমান।

মৌলিক পদার্থ সম্পর্কে প্রথম ধারণা প্রদানকারী

আধুনিক যুগে, রবার্ট বয়েল সর্বপ্রথম মৌলিক পদার্থ সম্পর্কে ধারণা দেন। ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৌলসমূহের প্রথম আধুনিক তালিকা দেন বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিঁয়ে। তাঁর তালিকায় তেত্রিশটি মৌল স্থান পায়, যার মধ্যে আলো এবং ক্যালরিক নামক এক বিশেষ পদার্থেরও উল্লেখ ছিল। ক্যালরিক সম্পর্কে ধারণা করা হতো, ইহা কোনো কোনো বস্তুতে তাপের সঞ্চার করে, অর্থাৎ কোনো বস্তুতে ক্যালরিক প্রবেশ করলে বস্তুটি উত্তপ্ত হয়। ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াস ঊনপঞ্চাশটি মৌলের একটি তালিকা প্রদান করেন, ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন নিউল্যান্ড মৌলগুলোকে তাদের ভর অনুসারে সাজিয়ে মৌলগুলোর প্রতি অষ্টম মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের মধ্যে মিল পান।

 আইসোটোপ

সাধারণত, একটি মৌলের  পারমানবিক সংখ্যা একই এবং ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ভিন্ন। তাই, সাধারণভাবে প্রোটন সংখ্যা দ্বারা কোনো মৌল চেনা যায়। তবে, একই মৌলের ভিন্ন প্রোটন সংখ্যাবিশিষ্ট পরমাণুও রয়েছে। এদের আইসোটোপ বলে। পারমাণবিক সংখ্যার উর্ধ্বক্রমানুসারে সাজালে, কয়েকটি ব্যতীক্রম ছাড়া ১১৮টি মৌলের প্রথম ৮০টির অন্তত একটি করে আইসোটোপের স্থায়ী রূপ রয়েছে। বাকি ৩৮টি মৌলের আইসোটোপ তেজষ্ক্রিয়, যা সময়ের সাথে ক্ষীয়মাণ।

পর্যায় সারণী

 ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ান বিজ্ঞানী দিমিত্রি মেন্দেলিভ মৌলসমূহকে তাদের পারমাণবিক ভরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে তৈরী করেন প্রথম পর্যায় সারণী। সেখানে চেষট্টিটি মৌলের নাম উল্লেখ ছিল। ১৮৭১ খ্রিষ্টারে তিনি আরো পরিমার্জিত একটি তালিকা দেন এবং বেশ কিছু মৌলের ব্যাপারে বিষদভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।


দৈনন্দিন বিজ্ঞান : অক্সিজেন আলো আলোর বেগ রঙ আলোর পথ ও আলোর নীতি

দৈনন্দিন বিজ্ঞান : বর্ণালী রং : জাতীয় রং: রঙধনু : শব্দ : শব্দের গতি : ইনফ্রা সাউন্ড, আল্ট্রা সাউন্ড ও সুপারসনিক

দৈনন্দিন বিজ্ঞান : উড়োজাহাজ, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উড়োজাহাজের আবিষ্কার : একনজরে উড়োজাহাজ

কীভাবে হলো দেশের নাম

বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র/১

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র/২

শুদ্ধ বানান চর্চা/১

শুদ্ধ বানান চর্চা/২

শুদ্ধ বানান চর্চা/৩

শুদ্ধ বানান চর্চা/৪

Language
error: Content is protected !!