রাশিদা আকতার মিশু
নজরুল পত্নী আশালতা ও দোলনচাঁপা
কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী প্রমীলার আসল নাম ‘আশালতা সেনগুপ্তা’।কবি নজরুল এ নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেন, ‘প্রমীলা’। প্রমীলা ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১৭ই বৈশাখ (১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ) তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান মানিকগঞ্জ জেলা) তেওতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর

পিতা বসন্তকুমার সেনগুপ্ত ত্রিপুরা রাজ্যে নায়েবের চাকুরি করতেন। তবে পিতার অকালমৃত্যুর কারণে প্রমীলা, কুমিল্লায় কর্মরত তাঁর খুল্লাতাত ভাই ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাসায় চলে যান। ওখানে থেকেই তিনি শিক্ষালাভ করেন।
নজরুলের প্রেমিকা সৈয়দা খাতুন ও নার্গিস
কবি নজরুল কলকাতার ৩২ নম্বর কলেজ স্ট্রিটের ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি’র বাড়িতে অবস্থানকালে কুমিল্লার আলী আকবর খান নামের এক

স্কুল পাঠ্যপুস্তক রচয়িতার সঙ্গে পরিচিত হন। নজরুল, খান সাহেবের পাঠ্যপুস্তকের জন্য ‘লিচু চোর’ এবং পরে আরও কয়েকটি শিশুতোষ কবিতা রচনা করে দিয়েছিলেন। ফলে উভয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যান। এ ঘনিষ্ঠতার সূত্রে নজরুল ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে খান সাহেবের সঙ্গে কুমিল্লা বেড়াতে যান।
কুমিল্লায় এসে উভয়ে কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাড়িতে অবস্থান করেন। এখানেই ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের স্ত্রী বিরজাসুন্দরীর সঙ্গে নজরুলের পরিচয় হয়। প্রথম পরিচয়ে এ পরিবারের সঙ্গে নজরুলের গভীর সম্পর্ক হয়ে যায়। ফলে নজরুল বিরজাসুন্দরীকে মা বলে সম্বোধন করতে শুরু করেন। কবি নজরুল বিরজাসুন্দরীকে একটি কবিতা উৎসর্গ করেন: কবিতার প্রথম দু-লাইন:
“সর্ব্বসহা সর্ব্বহারা জননী আমার।
তুমি কোনদিন কারো করোনি বিচার—–।”
কান্দির পাড়ে কয়েকদিন অবস্থান করার পর নজরুল আলী আকবর খানের সঙ্গে তাঁর দৌলতপুরের বাড়িতে যান। আলী আকবর খান, নজরুলের সঙ্গে তাঁর ভাগ্নি অর্থাৎ মুন্সি আব্দুল খালেকের কন্যা সৈয়দা খাতুনের বিবাহ স্থির করেন। মামা বাড়িতে আসা-যাওয়ার সূত্রে নজরুল সৈয়দা খাতুনকে ভালোবেসে ফেলেন। নজরুল, সৈয়দা খাতুনের নাম পরিবর্তন করে ‘নার্গিস আসার খানম’ রাখেন। এমন গভীর ভালোবাসা হয়েছে মাত্র দুমাসের মধ্যে।
বিবাহের রাত্রে নজরুল, মনোমালিন্যের কারণে দৌলতপুর ত্যাগ করে ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে জুন কুমিল্লার কান্দিরপাড় গিয়ে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাড়িতে ওঠেন। এখানে পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন আশালতার সঙ্গে। প্রসঙ্গত, এসময় নজরুল বিরজাসুন্দরীর বাসায় সতের দিন অবস্থা করেছিলেন। এসময় নজরুলের সঙ্গে আশালতার পরিচয় এবং পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেম। দ্রুত তা গভীর হতে শুরু করে। নজরুল ভুলে যেতে থাকেন নার্গিসকে।
নজরুল একাই ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে তৃতীয় বারের মতো কুমিল্লার কান্দির পাড় যান। এসময় তিনি বিরজাসুন্দরীর বাসায় এক মাসের অধিক অবস্থান করেন। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে নজরুল চতুর্থ বারের মতো কান্দির পাড় যান। এসময় তিনি একনাগাড়ে চার মাস প্রমীলাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত চার দফায় মোট চৌদ্দ মাসের মধ্যে কান্দির পাড়ের বিরজা সুন্দরীর বাসায় প্রায় ছয় মাস অবস্থান করেন।
গীতি ও সংগীত : নজরুলগীতি ও রবীন্দ্রসংগীতের পার্থক্য
প্রায়শ ভুল হয় এমন কিছু শব্দের বানান/২
প্রশাসনিক প্রাশাসনিক ও সমসাময়িক ও সামসময়িক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
কি না বনাম কিনা এবং না কি বনাম নাকি
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
ভূ ভূমি ভূগোল ভূতল ভূলোক কিন্তু ত্রিভুবন : ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
লক্ষ বনাম লক্ষ্য : বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন
ব্যাঘ্র শব্দের অর্থ এবং পাণিনির মৃত্যু
যুক্তবর্ণ সরলীকরণ আন্দোলন : হাস্যকর অবতারণা