ড. মোহাম্মদ আমীন
শিরোনাম দেখে চমকে উঠলেন?
উঠারই কথা।
নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ, যে দেশে একশতের মধ্যে মানুষ কেবল পাঁচ জন। বাকিরা পশু, একদম পশু। দেশটা মানুষে নয়, পশুতে যেন ভর্তি। পৃথিবীতে এমন পশুভর্তি দেশ খুব কম আছে।
কী ভয়ঙ্কর দেশ তাই না?
তারপরও নিউজিল্যান্ডের মানুষের হাসি পৃথিবীর সুন্দরতম হাসির অন্যতম। তাদের মানবতাবোধ বিশ্বের অনেক অনেক দেশের চেয়ে অনেক অনেক বেশি।
ক্রিকেট খেলোয়াড় Boult-এর হাসি দেখলে ক্রিকেট মাঠের মেঘলা পরিবেশটাও রোদেলা হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ড গেলে মনে হয়, যেন স্বপ্নের জগৎ। কোথাও এতটুকু বিশৃঙ্খলা নেই। এ এক অতুলনীয় দেশ। তারপরও এখানে মানুষের মাঝে এত পশু কেন?
আসল বিষয় অন্যখানে, আমার বাক্যের ভিতরেই লুকিয়ে আছে ভূত। এখন ভূতটা বের করার পালা। “নিউজিল্যান্ডে একশতে কেবল পাঁচ জনই মানুষ, বাকিরা পশু।” এর মানে এ নয় যে, নিউজিল্যান্ডের ৯৫ ভাগ মানুষ, পশু।
শিরোনাম-বাক্য দিয়ে, নিউজিল্যা্ন্ডে পশুর সংখ্যা মানুষের চেয়ে কত বেশি তা প্রকাশ করা হয়েছে। বাক্য গঠনের কারণে তা সংশয়োদ্দীপক হয়ে গেছে। এরপর সংশয়-উদ্দীপক বাক্য পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।
প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ, কিন্তু পশুর সংখ্যা ৪৭ কোটি পঞ্চাশ লাখ।