নোয়াখলীর কিছু আঞ্চলিক ভাষার আদি শব্দ
নিতাই বাবু
কাঁঠাল = কাঁডল
দরিয়া = দইজ্জা
কচুরি পানা= হেনা
ছোট বাচ্চা = লেদা ছুটকিয়া,
লাতুরা ,বেবী চিকেন = ডেঁই মরগ
চাউলের গুড়ি = ছাইলের গুঁয়া
ডিমের পিঠা = আন্ডার তপতি ,
পাকের ঘর = রসি গর
একটা = এইজ্ঞা বা অজ্ঞা
টাকা= টেঁয়া
শুটকি মাছ = হুরি মাস
কাদা= লোদ
গাড়ি= গাঁই
কুমড়া= কোম্বা
পেপে= ককিয়া
পেয়ারা= গোব্বা,
খয়ে যাওয়া ঝাড়ু= ঠুন্ডা হিচা
কেরোসিন তেল= কেরাইস তেল

সরিষার তেল = হইরেত তেল
ছোট চিংড়ি = লইড্ডা ইসা
বাড়ির মূল ফটক = দজ্জার মাথায়
আমের আঠা= আইন্না লাসা
বিচি কলা= আইড্ডা কেলা
নাক ডাকা= ঘোংরা
চাচা= কাগু
ফুফু = হু’আম্মা
পুকুর= হইর
পালক= হইর
ফকির= হইর
খেসারীর ডাল= বাইলার ডাল
টয়লেট= ডেঙ্গা, টাট্টি
তেতুল= তেঁতই
কালো জাম = কাজ্জম
কাঁথা= মালসি
বাটি= খোরা
পা= হা
হাত=আঁত
কপাল= কোয়াল
ঘাড়= গেঁডি
গলা= কল্লা
হাটূ= আঁডু
আদর= ননাই
আসকারা = হসলি
ফকিরনি= হইন্নি
পুর্বের বাড়ি= হুর বাইত
দক্ষিন বাড়ি= দইনের বাইত
পুর্ব দিক= হুব মুই
পশ্চিম দিক= হইছমের মুই
সীমানা= আঁড়া
নীচু ধান ক্ষেত= ডোগি
বাছুর= ডিঁয়া
আপনে= আন্নে
তিনি= হেতেন
তর্ক করা= সোয়া করা
ভোরে =বেইন্না
পাখি = হইখ
বড়শি= ব’রি
কলা পাতা = কেলা হাতা
লাকড়ি= দারুয়া
কুপি = ছেরাগ
ঘরের আঙ্গিনা= গোদ্দুয়ার
মৃগেল মাছ= মিরকা মাছ
পুঁটি মাছ= হুডি মাছ
টাকি মাছ= টাঁই মাছ
রুই মাছ= রুইত মাছ
ছোট পাতিল = হাইল্যা
বড় পাতিল = বড্ডা ড্যাগ
কলসি = ঠিল্লা
লম্বা বেগুন = সিন্নুত বাইয়ুন
টমেটো = খর বাইয়ুন
কোথায় যাচ্ছেন?= কোনাই যানের?
কী ভাবছেন?= কিয়া চিন্তা করেনের?
সূত্র: নোয়াখলীর কিছু আঞ্চলিক ভাষার আদি শব্দ, নিতাই বাবু, শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)।