ড. মোহাম্মদ আমীন
নয়নজুলি
নয়নজুলি বাংলা শব্দ। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, পথের পাশের সরু নর্দমাকে বলা হয় নয়নজুলি। একসময় নয়নজুলির জল ছিল কবুতরের চোখের মতো স্বচ্ছ। পরিচ্ছন্ন জল ছলছল করে বয়ে যেত ছোটো ছোটো রূপালি মাছের পাখায়। এখন যা মানুষের অত্যাচারে পচাজলে ভরা বিষহ নর্দমা।
কথিত হয়, নয়নজল থেকে নয়নজুলি। অনেক অনেক বছর আগের কথা। ঘটনাচক্রে এলাকার জমিদার কন্যার সঙ্গে এক গরিব ঘরের ছেলের মন লেনদেন হয়ে যায়। কিন্তু সামাজিক ও আর্থিক বৈষম্যের কারণে তাদের মিলনে ছেদ পড়ে। দুজনকে নিজ নিজ বাড়িতে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।
বিরহকাতর জমিদারকন্যা তার প্রাসাদবর্তী পথের পাশে এবং প্রেমিক যুবক তার জীর্ণ বাড়ির শীর্ণ পথের ধারে বসে সারক্ষণ কাঁদত; কাঁদত আর কাঁদত। নয়নের জল পথ গড়িয়ে, গড়িয়ে পড়ত পাশে। এভাবে চার নয়নের জল থেকে সৃষ্টি হয় সরু অশ্রুধারা। একদিন নয়নজল থেকে সৃষ্ট এই সরু স্রোত-ধারা উভয়ের বাড়ির ঠিক মাঝখানের পথে এসে মিলিত হয়।
যেদিন অশ্রুধারা মিলিত হলো সেদিনই মারা গেল দুজন। সে থেকে পথের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু জলধারাটির নাম হয়ে গেল নয়নজলি। যার অপভ্রংশ নয়নজুলি, সমার্থকে নয়ানজুলি। আবার অনেকে বলেন, ছেলেটির নাম ছিল নয়ন এবং মেয়েটির নাম ছিল জুলি।
তা থেকে নয়নজুলি বা নয়ানজুলি।
রবীন্দ্রনাথের ম্যাংগো চোষা
১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের কথা।
জাপান সরকার রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। পাঁচ মাস পর সময় দিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আম পছন্দ করেন। এটি জেনে জাপানিরা চার মাস আগে ভারত থেকে আম নিয়ে রেখে দিল। উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথ জাপান গেলে ওই আম তাঁকে খেতে দেবেন। চার মাস পর রবীন্দ্রনাথ জাপানে গেলেন।
তাঁকে আম খেতে দেওয়া হলো।
একজন জিজ্ঞেস করলেন, গুরুদেব, এই আম আপনার জন্য ভারত থেকে আনা হয়েছে। পৃথিবীর সেরা আম। কেমন লাগছে?
রবীন্দ্রনাথ বললেন, মনে হচ্ছে এক রবীন্দ্রনাথের দাড়িতে আমের রস মাখিয়ে আরেক রবীন্দ্রনাথ চুষছে!
————–
কিছু সাধারণ ভুল, যা অনেকে করেন খাসা খাসি, গিধড়, বেহেড লাপাত্তা গরহাজির
এককথায় প্রকাশ শুবাচ অ-অ/৯ Dr Mohammed Amin
এককথায় প্রকাশ শুবাচ অ-অ/৮ Dr Mohammed Amin
এককথায় প্রকাশ শুবাচ অ-অ/৭ Dr Mohammed Amin
এককথায় প্রকাশ শুবাচ অ-অ/৬ Dr Mohammed Amin
এককথায় প্রকাশ শুবাচ অ-অ/৫ Dr Mohammed Amin