আগুনমুখা নদী
পটুযাখালী অঞ্চলে আগুনমুখা খুব ভয়ঙ্কর নদী নামে পরিচিত। নামটিও ভয়ঙ্কর। তবে এ নদীর নাম যেমন ভয়ঙ্কর তার আচরণ ও চলার পথ তেমন ভয়ঙ্কর নয়। এটি বাংলার মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। ‘আগুন’ ও ‘মুখা’ শব্দের মিলনে আগুনমুখা নামের উদ্ভব। আগুন শব্দের অর্থ অগ্নি এবং মুখা শব্দের অর্থ মুখমণ্ডল, অবয়ব বা রূপ। সুতরাং ‘আগুনমুখা’ শব্দের আগুনের মতো যার মুখ বা অগ্নির মতো যার রূপ বা অবয়ব। চরকাজল ও রতনদি-তালতলি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে তেঁতুলিয়া নদী গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রবেশ করে।
তেঁতুলিয়ার নিম্নাংশ কাজল নদী এবং চরকাজলের পশ্চিম অংশ থেকে তেঁতুলিয়া নদীর একটি শাখা আগুনমুখা নাম ধারণ করে। আগুনমুখ ও চরকলমী খালের সম্মিলিত প্রবাহ বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে পতিত এ মোহনার উত্তরে ঢেউগুলো আগুনের শিখার রূপ ধারণ করে। তাই এর নাম হয় আগুনমুখা। এ অঞ্চলের অন্যান্য নদীর মধ্যে দাড়ছিড়া নদী, বুড়াগৌরঙ্গ নদী, রামনাবাদ নদী, মেঘনা নদী, তেতুলিয়া নদী ও গলাচিপা নদী উল্লেখযোগ্য। দাড়ছিড়া নদী ছিল প্রবল স্রোতসম্পন্ন। এ নদীতে নৌকা চালানোর সময় অনেকে দাড় ছিড়ে যেত। একবার একটি বিশাল সওদাগরি বজড়ার দাড় ছিড়ে যায়। সে হতে নদীটি দাড়ছিড়া নদী নামে খ্যাত হয়ে ওঠে।
গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক :
মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণ ও ঐতিহ্য