পুণ্ড্র: পুণ্ড্রদের আবাসস্থলই পুণ্ড্র বা পুণ্ড্রবর্ধন। আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের মহাস্থান ব্রাহ্মীলিপিতে বর্ণিত ‘পুদনগল’ (পুণ্ডগর) ও বগুড়ার মহাস্থান অভিন্ন। প্রাচীন পুণ্ড্র জনপদের বর্তমান অবস্থান মোটামুটি : বৃহত্তর বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ বিশেষ। খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম-৮ম শতকের দিকে প্রাপ্ত বেদবাক্য অনুযায়ী পুণ্ড ছিল অনার্য গোষ্ঠী, যারা সাদানিরা নদীর পূর্বদিকে বাস করত। অশোকদানায় জনপদটি প্রথমবার পুণ্ড্রবর্ধন নামে বর্ণিত হয়। পুণ্ড্রদের রাজ্যের রাজধানীর নাম পুণ্ড্রনগর। পরে নাম হয় মহাস্থানগড়। মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্য স্বাধীন সত্তা হারায়। প্রাচীন সভ্যতার নির্দশনের দিক দিয়ে পুণ্ড্র ছিল প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও প্রাচীনতম জনপদ। ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ অলেকজান্ডার কানিংহাম প্রথম এই প্রাচীন নগরীকে পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী হিসেবে চিহ্নিত করেন। যা বর্তমানে মহাস্থান গড় নামে পরিচিত। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এটাকে সার্ক-এর সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। পুণ্ড্র আখের একটি প্রজাতি। এখানে আখের অত্যধিক ফলন হত তাই এর নাম পুণ্ড্রদেশ বা পুণ্ড্রভূমি। মহাভারতের বর্ণনা অনুসারে, বলিরাজার পাঁচ সন্তানের মধ্যে একজনের নাম ছিল পুন্ড্র এবং তাঁর নামানুসারে এই ভূমির নামকরণ করা হয়।
বাংলার প্রাচীন বাংলা কয়েটি জনপদে বিভক্ত ছিল। জনপদগুলোর নাম ও বর্ণনা নিচে দেওয়া হল। ক্লিক করে জনপদগুলোর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু তথ্যবহুল বিবরণ জেনে নিতে পারেন।