পৃথিবীর ইতিবৃত্ত
ড. মোহাম্মদ আমীন
পৃথিবীর আহ্নিক গতি
আর্যভট্ট আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি প্রথম আবিষ্কার করেন। পৃথিবী তার নিজের মেরুদন্ডের বা অক্ষের চারদিকে দিনে একবার নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে। পৃথিবীর এই আবর্তন গতিকে আহ্নিক গতি বলে। পৃথিবী তার নিজের মেরুদন্ডের উপর একবার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করতে সময় নেয় ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ একদিন।একে সৌর দিন বলে।পৃথিবীর আহ্নিক গতি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। পৃথিবী পৃষ্ঠ পুরোপুরি গোল না হওয়ায় এর পৃষ্ঠ সর্বত্র সমান নয়। সে কারণে পৃথিবীপৃষ্ঠের সকল স্থানের আবর্তন বেগও সমান নয়। এজন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সবচেয়ে বেশি। ঘন্টায় প্রায় ১৭০০ কিমি। ঢাকায় পৃথিবীর আহ্নিক গতিবেগ ১৬০০ কিমি। যত মেরুর দিকে যায় এর আবর্তনের বেগ তত কমতে থাকে এবং মেরুদ্বয়ে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়।
ছায়াবৃত্ত, ঊষা ও গোধূলী
পৃথিবীর আলোকিত ও অন্ধকার অংশের মধ্যবর্তী বৃত্তাকার অংশকে ছায়াবৃত্ত বলে। প্রভাতের কিছু পূর্বের যে সময় ক্ষীণ আলো থাকে তাকে ঊষা এবং সন্ধ্যার কিছু পূর্বে যে সময় ক্ষীন আলো থাকে সে সময়কে গোধূলি বলে। পৃথিবী পশ্চিম হতে পূর্বদিকে আবর্তিত হয়। আজ জোয়ার যে স্থানে যে সময়ে হচ্ছে পরের দিন সেই সময়ে না হয়ে ৫২ মিনিট পরে হচ্ছে। এই যে সময়ের ব্যবধান তা আহ্নিক গতির কারণেই হচ্ছে।
বার্ষিক গতি ও সৌরবছর ও লিপইয়ার
সূর্যের মহাকর্ষ বলের আকর্ষণে পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর অবিরাম ঘুরছে। পৃথিবীর এই গতিকে বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলা হয়। একবার সূর্যকে পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একে সৌরবছর বলে। ৪ বছরে একবার ফেব্রুয়ারি মাসকে একদিন বাড়িয়ে ২৯ দিন করা হয় এবং ঐ বছরটিকে ৩৬৬ ধরা হয়। সেই বছরকে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলে।
গড় সৌর দিবস
একবছরে মোট আপাত সৌর দিবসের গড়কে গড় সৌর দিবস বলা হয়। গড় সৌর দিবস ৮৬,৪০০ গড় সৌর সেকেন্ড। পূর্বের চেয়ে বর্তমানে এই সময়, মানক সেকেন্ড অপেক্ষা আরো দীর্ঘতর হয়েছে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে গড় সৌর দিবস ৮৬,৪০০ মানক সেকেন্ড অপেক্ষা ০-২ মিলিসেকেন্ড দীর্ঘতর হয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আকৃতি ভর গঠন উপাদান
পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : অক্সিজেনের আগমণ প্রাণের বিস্ফোরণ জীবাশ্ম স্নোবাল-আর্থ জীবজগতের বিলুপ্তি
পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : ভুপৃষ্ঠ ভৌগোলিক-বিভাজন ভর তাপমাত্রা মালভূমি সমভূমি এবং গভীরতম স্থান
পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : চাঁদ চন্দ্রকলা জোয়ারভাটা চান্দ্রমাস