পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : ভুপৃষ্ঠ ভৌগোলিক-বিভাজন ভর তাপমাত্রা মালভূমি সমভূমি এবং গভীরতম স্থান

পৃথিবীর ইতিবৃত্ত

ড. মোহাম্মদ আমীন

ভৌগোলিক বিভাজন

ভূপৃষ্ঠে কোথাও রয়েছে উঁচু পর্বত, কোথাও পাহাড়, কোথাও মালভূমি। ভৌগোলিক দিক থেকে বিচার করলে পৃথিবীর সমগ্র ভূমিরূপকে ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়।যথা : (১) পর্বত (২) মালভূমি (৩) সমভূমি।

পাহাড় ও পর্বত

সমুদ্রতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু সুবিস্তৃত ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট শিলাস্তূপকে পর্বত বলে। সাধারণত ৬০০ থেকে ১০০০ মি. উঁচু স্বল্প সুবিস্তৃত শিলাস্তূপকে পাহাড় বলে। পর্বতের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

 ভূপৃষ্ঠ

পৃথিবীর মোট পৃষ্ঠতলের আকার হল প্রায় ৫১০ মিলিয়ন বর্গ কিমি। যার মধ্যে, ৭০.৮%, বা ৩৬১.১৩ মিলিয়ন বর্গ কি.মি সমুদ্র পৃষ্ঠতলের নীচে। যা সমুদ্রের পানি দ্বারা আচ্ছাদিত। সমুদ্র পৃষ্ঠতলের নিম্নে রয়েছে অধিকাংশ মহীসোপান, পর্বতমালা, আগ্নেয়গিরি, সামুদ্রিক খাত, ডুবো গিরিখাত, সামুদ্রিক মালভূমি, গভীর সামুদ্রিক সমতল, এবং সারা পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত মধ্য-সমুদ্র রিগ সিস্টেম। বাকি ২৯.২% অংশ বা ১৪৮.৯৪ বর্গ আয়তনের ভূখণ্ডটি স্থানে স্থানে পরিবর্তিত এবং এতে রয়েছে পর্বত, মরুভূমি, সমতল, মালভূমি ও অন্যান্য ভূমিরূপ।

 মালভূমি সমভূমি

পর্বতের থেকে উঁচু কিন্তু সমভূমি থেকে উঁচু খাড়া ঢালযুক্ত ঢেউ খেলানো বিস্তীর্ণ সমতলভূমি কে মালভূমি বলে। মালভূমির উচ্চতা শত মিটার থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম মালভূমির উচ্চতা ৪,২৭০ থেকে ৫,১৯০ মিটার। সমুদ্রতল থেকে অল্প উঁচু মৃদু ঢালবিশিষ্ট সুবিস্তৃত ভূমিকে সমভূমি বলে। বিভিন্ন ভূপ্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেমন -নদী, হিমবাহ ও বায়ুর ক্ষয় ও সঞ্চয় ক্রিয়ার ফলে সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে।

পৃথিবীর গভীরতম স্থান

পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের নিচে থাকা পানির সবচেয়ে গভীরতম স্থানটি হলো প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাতের চ্যালেঞ্জার ডিপ। যার গভীরতা হল ১০,৯১১.৪ মিটার।

পৃথিবীর তাপমাত্রা

পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপের ২০ ভাগ সৃষ্টি হয় গ্রহের পরিবৃদ্ধির ফলে। অবশিষ্ট অংশ সৃষ্টি হয় তেজস্ক্রিয়তার ফলে সৃষ্ট তাপের সংমিশ্রণে। পৃথিবীতে থাকা সবচেয়ে বেশি তাপ উৎপাদনকারী আইসোটোপগুলো হলো পটাশিয়াম-৪০, ইউরেনিয়াম-২৩৮ এবং থোরিয়াম-২৩২। পৃথিবীর কেন্দ্রে তাপমাত্রা হতে পারে ৬,০০০ক্কসে (১০,৮৩০ ক্কফা) বা তারও বেশি, এবং চাপ গিয়ে পৌছাতে পারে ৩৬০ গিগা প্যাসকেল। সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা ৫,৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।



পৃথিবীর ইতিহাস একনজরে : গঠন পরিভ্রমণ নামকরণ সৃষ্টি ও স্থায়িত্ব

পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : চাঁদ চৌম্বকক্ষেত্র বরফ যুগ প্রথম অণুর সন্ধান রোডেনিয়া

পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আকৃতি ভর গঠন উপাদান

পৃথিবীর ইতিহাস ও নামকরণ : অক্সিজেনের আগমণ প্রাণের বিস্ফোরণ জীবাশ্ম স্নোবাল-আর্থ জীবজগতের বিলুপ্তি

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র

 

Language
error: Content is protected !!