ড. মোহাম্মদ আমীন
ব্যাকরণের শিক্ষক সনৎ বাবু জানতে চাইলেন, ধাতু কাকে বলে?
ছাত্র বলল, তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে ধাতু বলে। যেমন: লোহা
এসব আলতুফালতু কথা কে বলেছে? তোমাকে শিখিয়েছি কী, আর তুমি বলছ কী?
আপনি আমাকে বলেছিলেন, ক্রিয়ার মূল অংশকে ধাতু বলে।
এটা বললে না কেন?
পদার্থবিদ্যার ক্লাসে দয়াল স্যারকে বলেছিলাম। তিনি বলেছেন, আপনারটা ভুল। এটি যেন আর কখনো না বলি।
তুমি আমার কথা বলোনি?
বলেছি।
তিনি কী বলেছেন?
তোমাদের সনৎ বাবু কিচ্ছু জানেন না। শুধু গাল মারেন।
এরকম বলেছেন?
হ্যাঁ স্যার, আল্লার কসম।
তোমাদের দয়াল না গয়াল তাকে মজা দেখাব।
তাহলে স্যার পরীক্ষার খাতায় কোনটা লিখব?
আমারটা লিখবে। ক্রিয়ার মূলই ধাতু, সেটা লোহা হোক আর সোনা হোক।
যদি পানি হয়?
তাও ধাতু। কিছু না হলেও ধাতু। হাসলেও ধাতু, কাঁদলেও ধাতু। বসলেও ধাতু, দাঁড়ালেও ধাতু; পড়লেও ধাতু না পড়লেও ধাতু। দুনিয়ার সবকিছু ধাতু।
এবার বলো, ধাতু কাকে বলে?
স্যার, দুনিয়ার সবকিছুকে ধাতু বলে।
বেল বেজে উঠল, বাংলা শেষ।
২
হুজুর এলেন।
বৃষ্টি হয় কেন?
ছাত্র বলল, পানি বাষ্পীভূত হয়ে আকাশে যায় এবং তা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি হয়।
হারামজাদা, এসব কুফরি কথা কে বলেছে? আমি কী বলেছিলাম?
মিকাইল (আ.) সমুদ্র থেকে পানি তুলে বৃষ্টি দেন।
আমারটি বললে না কেন?
দয়াল স্যার বলেছেন, তোমার মনসুর হুজুর কিচ্ছু জানেন না
দেখাচ্ছি মজা, সনৎ বাবুও বলেছেন, গয়াল বাবুর বেশি বাড় বেড়েছে। সেই ব্যাটা বিজ্ঞানী, ধর্মের কী বুঝে? তোর নানার জানাজা আমি পড়িয়েছি, না গয়াল বাবু পড়িয়েছিল? জান্নাতে যেতে হলে আমার কথা শুনতে হবে।
পরীক্ষায় কোনটি লিখব স্যার?
আমি যা বলেছি তা লিখবে। সব বৃষ্টি মিকাইল (আল.) দেন।
৩
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা ক্লাসে তমিজ স্যার তমাকে বললেন, পুরুষ কাকে বলে?
তমা বলল, যার পুরুষাঙ্গ আছে তাকে পুরুষ বলে।
তমিজ স্যার জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললেন, তোমাকে গত ক্লাসে কী শিখেয়েছি, আর তুমি বলছ কী?
তমা বলল, স্যার আমাদের কাজের বুয়া বলেছেন, আপনারটা ঠিক নয়। তাই সে ওভাবে বলতে বলেছে। যেমন: আমার ছোটো ভাই মন্টু পুরুষ।
কাজের বুয়া বড়ো নাকি আমি বড়ো?
স্যার, আমাদের কাজের বুয়া আপনার চেয়ে অনেক বড়ো।
কীভাবে?
সে তো স্যার পঞ্চাশ বছর, আপনি তো স্যার মাত্র ত্রিশ বছর।
তোমাদের কাজের বুয়া তো লেখাপড়া করেনি।
লেখাপড়া না করলে আমাদের কাজের বুয়া আপনার ভুল ধরল ক্যামনে?
তুমি দিনদিন বেয়াদব হয়ে যাচ্ছ।
স্যার, মিলে গেছে, খুশিতে তমা লাফ দিল একটা।
তমিজ স্যার বললেন, কী মিলে গেছে?
আমাদের বুয়ার কথা।
কী কথা?
বুয়া বলেছে, আমার কথা শুনলে আপনি বলবেন- তুমি দিনদিন বেয়াদব হয়ে যাচ্ছ।
সূত্র: বাঙালির বাংলা হাসি, ড. মোহাম্মদ আমীন, পুথিনিলয়।
————-
বিসিএস প্রিলি থেকে ভাইভা কৃতকার্য কৌশল
ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা বইয়ের তালিকা
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/২
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন /৩
ইউরোপ মহাদেশ : ইতিহাস ও নামকরণ লিংক
কি না বনাম কিনা এবং না কি বনাম নাকি
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
ভূ ভূমি ভূগোল ভূতল ভূলোক কিন্তু ত্রিভুবন : ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
মত বনাম মতো : কোথায় কোনটি এবং কেন লিখবেন
প্রশাসনিক প্রাশাসনিক ও সমসাময়িক ও সামসময়িক
লক্ষ বনাম লক্ষ্য : বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন
ব্যাঘ্র শব্দের অর্থ এবং পাণিনির মৃত্যু
যুক্তবর্ণ সরলীকরণ আন্দোলন : হাস্যকর অবতারণা
পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা। পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা। পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা। পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা। পুথিনিলয়, বাংলাবাজার, ঢাকা। তৃণলতা প্রকাশনী