প্রাকৃতিক দুর্যোগ : খরা : খরার কারণ : বাংলাদেশের খরা : পাহাড় ধ্বস

ড. মোহাম্মদ আমীন

খরা

খরা দীর্ঘ সময় ধরে গড় মাত্রার নীচে বৃষ্টিপাতের মাত্রা দ্বারা সৃষ্ট মাটির অস্বাভাবিক শুষ্কতা। গরম শুষ্ক বায়ু, জল ঘাটতি, স্থায়ী তাপমাত্রা এবং স্থল থেকে আর্দ্রতা এর ফলে বাষ্পীভবন এছাড়াও খরা অবস্থার অবদান রাখতে পারেন। শস্য ফলন ফসল এবং জল ঘাটতি ফলে। সুপরিচিত ঐতিহাসিক খরাগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১৯৯৭-২০০৯ অস্ট্রেলিয়ার মিল্নেয়াম খরা। যাতে অনেক দেশের মধ্যে পানি সরবরাহের সঙ্কটের সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশে খরা

বরেন্দ্র অঞ্চল বাংলাদেশের খরাপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। বরেন্দ্রভূমি বলয়ের মধ্যে অবস্থিত দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলাসমূহ অত্যধিক খরাপ্রবণ এলাকা।

বাংলার খরার কারণ

বাংলাদেশের জলীয় ও জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্যের কারণে আর্দ্র-বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি আর শুকনা মৌসুমে কম জলসরবরাহ খরা পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ৫৮টি নদীর ৫৫টি ভারত ও ৩টি মায়ানমার থেকে বাংলাদশে ঢুকেছে। এসব নদীর অধিকাংশই উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে প্রচুর পানি এলেও শুকনো মৌসুমে উৎস স্থল থেকে পানি আসা নানাভাবে রুদ্ধ করা হয়। যা বাংলাদেশের খরার অন্যতম কারণ।

পাহাড়ধস (২০১৭)

টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই জুন মধ্যরাত এবং পরদিন ১৩ই জুন ভোরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধ্বসে ১৫৬ জন মারা যায়। আহত হয় কয়েকশ’ মানুষ। উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে উদ্ধারকর্মীরাও প্রাণহানির শিকার হয়। প্রবল বৃষ্টিপাত ছিল এ ভূমিধ্বসের কারণ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ : ভূমিকম্প : ভূমিকম্পের ইতিহাস : কারণ : ভুমিকম্পের কেন্দ্র : ভূমিকম্প জোন

প্রাকৃতিক দুর্যোগ : সুনামি : ভূমিধ্বস : নদীভাঙন : তুষার ঝড় : সিঙ্কহোল : পৃথিবীর বৃহত্তম সিঙ্কহোল

প্রাকৃতিক দুর্যোগ : আর্সেনিক : দুষণ মাত্রা সনাক্তকরণ ভয়াবহতা : আর্সেনিক দুষণের প্রথম বিশ্বায়ন

——————————————————————————-

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয় সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক

সাধারণ জ্ঞান সমগ্র

শুদ্ধ বানান চর্চা/১

শুদ্ধ বানান চর্চা/২

Language
error: Content is protected !!