ড. মোহাম্মদ আমীন
প্রাগজ্যোতিষ প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে বর্ণিত আসামের বা আসামের কিয়দংশের একটি প্রাচীন নাম। কেউ কেউ বলেন, চীন থেকে আসামে আগত চাও-থিয়াস জনগোষ্ঠী থেকে নামটির উদ্ভব। অনেকে বলেন, জনপদটি ছিল পার্বত্য। অস্ট্রিক শব্দ-সমষ্টি ‘পাগার জুহ্’ শব্দের অর্থ বিস্তৃৃত পার্বত্য অঞ্চল। তাই নাম প্রাগজ্যোতিষ। ‘কালিকাপুরাণ’-এ বলা হয়েছে, ব্রহ্মা সর্বপ্রথম প্রাগজ্যোতিষের নক্ষত্রসমূহকে গণনা করেছিলেন। ইএ গেইট বলেন, ‘প্রাগ’ শব্দের অর্থ প্রাক্তন বা পূর্বদেশীয় এবং ‘জ্যোতিষ’ মানে নক্ষত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, দ্যুতিময়। সুতরাং প্রাগজ্যোতিষপুর শব্দের অর্থ ‘পূর্বদেশীয় জ্যোতির্বিদ্যার নগর’। ‘মহাভারত’-এ প্রাপ্ত প্রমাণাদির উপর ভিত্তি করে প-িতগণ প্রাগজ্যোতিষ-এর অবস্থান ভারতের পশ্চিম বা উত্তরে নির্দেশ করেছেন। প্রাগজ্যোতিষ রাজ্যের রাজধানী ছিল প্রাগজ্যোতিষপুর যা আসামের বর্তমান রাজধানী দিসপুরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আধুনিক আসাম প্রাচীন কালের প্রাগজ্যোতিষ অথবা কামরূপ রাজ্যের একটি অংশ বলে মনে হয়। রাজ্যটির উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা আধুনিক আসাম রাজ্যের সীমানার অনেক বাইরে ছিল। ‘রামায়ণ’এবং ‘মহাভারত’ মতে প্রাগজ্যোতিষ নগরী পাহাড়ি এলাকায় ছিল।
বাংলার প্রাচীন বাংলা কয়েটি জনপদে বিভক্ত ছিল। জনপদগুলোর নাম ও বর্ণনা নিচে দেওয়া হল। ক্লিক করে জনপদগুলোর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু তথ্যবহুল বিবরণ জেনে নিতে পারেন।