প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ: কোনটি কোথায় হবে
মনি মোহন মুখার্জী
পাক – দড়িতে পাক দেওয়া, পবিত্র।
পাঁক – সাধারণত পচা কাদামাটি।

কাচা – যেমন কাপড় কাচা।
কাঁচা – যেমন কাঁচা আম।
বাধা – প্রতিবন্ধকতা।
বাঁধা – যেমন তল্পিতল্পা বাঁধা।
ধোয়া – ধৌত করা।
ধোঁয়া – ধুম্র।
শাখা – ডাল।
শাঁখা – শঙ্খ।
আধার – পাত্র
আঁধার – অন্ধকার।
বিস্মিত – অবাক।
বিস্মৃত – ভুলে যাওয়া।
গাদা – যেমন খড়ের গাদা।
গাঁদা – ফুলবিশেষ।
হাসি – যেমন মুখের হাসি।
হাঁসি – হাঁসা বলে হাঁসি।
দখল – জোর করে আত্মস্যাৎ।
ধকল – হ্যাপা; আজ খুব ধকল গেছে।
ফাঁড়া – বিপদ।
ফাড়া – চিরে ফেলা।
ফোটা – যেমন ফুল ফোটা।
ফোঁটা – বিন্দু।
প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ/২
আত্ম — নিজ
আর্ত — পীড়িত, দুঃখিত, কাতর।
উদ্যম — উৎসাহ
উদ্দাম — দুর্দান্ত, অসংযত, উচ্ছৃঙ্খল।
উদ্ভব — উৎপত্তি
উদ্ভাব — উদ্ভাবন।
উপ্ত — রোপিত, প্রোথিত।
উক্ত — যা বলা হয়েছে।
কমল — পদ্মফুল
কোমল — নরম।
গা — শরীর
গাঁ — গ্রাম।
গাথা — কাহিনীমূলক গীত
গাঁথা — গ্রথিত করা। যেমন – মালা গাঁথা।
চাচা — পিতৃব্য, কাকা।
চাঁচা — অস্ত্রাদি দ্বারা উপরের কিছু অংশ তুলে ফেলা।
দার — স্ত্রী
দ্বার — দরজা।
দাড়ি — শশ্রূ
দাঁড়ি — যে দাঁড় বায়; পূর্ণচ্ছেদ।
সূত্র: মনি মোহন মুখার্জী, প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ : কোনটি কোথায় হবে; শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)।
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন/১
বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন এবং কেন লিখবেন
শুদ্ধ বানান চর্চা প্রমিত বাংলা বানান বিধি : বানান শেখার বই
বাংলা ভাষার মজা, ড. মোহাম্মদ আমীন, পাঞ্জেরী পাবিলিকেশন্স লি.।