বাংলা বানান ও ব্যাকরণ: শিক্ষণীয় প্রেম কাব্য
সুমন বিশ্বাস
‘উঠে’ পড়ি রোজ সকালে রবি যেমন ‘ওঠে’
‘ছুটে’ যাই তোমার কাছে ট্রেন যেমন ‘ছোটে’।
‘ছুড়ে’ ফেলি সকল কাজ বর্শা যেমন ‘ছোড়ে’
‘উড়ে’ দেখি স্বপ্নে তোমায়, পাখি যেমন ‘ওড়ে’।
‘ঝুলে’ আছি শিকড় হয়ে, বটে যেমন ‘ঝোলে’
‘ফুলে’ যাই অভিমানে, বেলুন যেমন ‘ফোলে’।
‘গুলে’ দিলে, প্রেমের মধু তাতেই তো মন ‘গলে’
‘ঢুলে’ পড়ি, ভালবাসায় মাটি যেমন ‘ঢলে’।
‘খুলে’ রেখো, ছিটকিনিটা কপাট যাতে ‘খোলে’
‘ভুলে’ তাই বলো না যেন, ‘মনটা শুধু ‘ভোলে’।
‘দুলে’ তুমি, হাঁটবে না গো মন যে তাতে ‘দোলে’
‘তুলে’ ঝড় গেলেই দূরে হৃদে বেদন ‘তোলে’।
‘নুলে’ যাই, জলে দিলে লবণ যেমন ‘নোলে’
‘ছুলে’ দিও, দোষী হলে খোসা যেমন ‘ছোলে’।
**প্রতি লাইনের প্রথম এবং শেষ শব্দের অর্থ এক হলেও বাক্যভেদে ব্যবহার ভিন্ন হয়। সেটাই দেখানোর চেষ্টা করেছি। সমাপিকা/অসমাপিকা বুঝলে ভুল হবে না।
সূত্র : শুদ্ধ বানান চর্চা শুবাচ