বঙ্গবন্ধুর বিবাহ
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে দাদা আব্দুল হামিদের আদেশে শেখ মুজিবের বাবা শেখ লুৎফর রহমান, তাঁর ১৪ বছর বয়সি সন্তান শেখ মুজিবের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্কের আত্মীয় ৩ বছর বয়ষ্কা সদ্য পিতামাতাহীন ফজিলাতুন্নেসার (৮ অগাস্ট ১৯৩০ – ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫) বিয়ে দেন। বিয়ের ৯ বছর পর ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে শেখ মুজিবের ২২ বছর বয়সে এবং ফজিলতুন্নেসার ১২ বছর বয়সে তারা দাম্পত্যজীবন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার ডাক নাম ছিল রেণু।
বঙ্গবন্ধুর জবানীতে বঙ্গবন্ধু বিবাহ
অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, রেণুর বাবা মারা যাবার পরে ওর দাদা, আমার আব্বাকে ডেকে বললেন, “তোমার বড় ছেলের সাথে আমার এক নাতনীর বিবাহ দিতে হবে। কারণ, আমি সমস্ত সম্পত্তি ওদের দুই বোনকে লিখে দিয়ে যাব।” রেণুর দাদা আমার আব্বার চাচা। মুরব্বির হুকুম মানার জন্যই রেণুর সাথে আমার বিবাহ রেজিস্ট্রি করে ফেলা হল। আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে। তখন কিছুই বুঝতাম না, রেণুর বয়স তখন বোধ হয় তিন বছর হবে। রেণুর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার মা মারা যান। একমাত্র রইল তার দাদা। দাদাও রেণুর সাত বছর বয়সে মারা যান। তার সে আমার মা’র কাছে চলে আসে। আমার ভাইবোনদের সাথে রেণু বড় হয়। রেণুদের ঘর ও বঙ্গবন্ধুর ঘর পাশাপাশি ছিল। মধ্যে মাত্র দুই হাত ব্যবধান।”