হাতিয়া দ্বীপ
হাতিয়া দ্বীপ বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তর দিকে নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত মেঘনা নদীর মোহনার একটি দ্বীপ উপজেলা। উপজেলাটি নোযয়খালী জেলার বেশ কিছু উপকূলীয় দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এলাকার পরিমাণ ২,১০০ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে মেঘনা নদী ও সুবর্ণচর উপজেলা, উত্তর-পশ্চিমে মেঘনা নদী ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা, পশ্চিমে হাতিয়া চ্যানেল ও ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা। আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত চলচ্চিত্র “দরিয়া পাড়ের দৌলতী” হাতিয়া দ্বীপের জীবনধারার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। জাহাজমারা হাতিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত এবং মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে । নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান। ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়ে। পরে হাতিয়ার সংসদ সদস্য আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ রাখেন। বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চর মুরি- এই চারটি চর নিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০৫০ একরের দ্বীপটি ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের আগ পর্যন্ত এ দ্বীপে কোনো লোকবসতি ছিল না, তাই দ্বীপটি নিঝুমই ছিলো। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। এখানে প্রচুর কেউড়া গাছ রয়েছে। ম্যানগ্রোাভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবী করেন।
ভোলা দ্বীপ
মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত ভোলা বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা। ভোলা দ্বীপ দক্ষিণ শাহবাজপুর নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ এবং আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার। এই দ্বীপটি ১৩০ কিলোমিটার (৮১ মাইল) দীর্ঘ এবং জনসংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন। ১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দের মানচিত্র অনুযায়ী ভোলা দ্বীপকে ডিম্বাকৃতির দেখানো হলেও বর্তমানে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে এর আকৃতি আরো বিস্তৃত হয়েছে। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৬ ফুট। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে শাহবাজপুরে প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে আগস্ট মাসে এখানে পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ব পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (চএঈই) ভোলা দ্বীপ থেকে বোরহানউদ্দিন দ্বীপে হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন টেনে নিয়েছে।