বাংলাদেশের দ্বীপ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা/৩

মনপুরা দ্বীপ
মনপুরা দ্বীপ, বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তরদিকে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। এটি ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার একটি অংশ। এ দ্বীপের আয়তন ৩৭৩ বর্গ কিলোমিটার। এটি ভোলা দ্বীপ থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে সাগরের বুকের আরেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। মনগাজী নামে এখানকার এক লোক বাঘের আক্রমণে নিহত হন। তার নামানুসারে মনপুরা নাম কর করা হয়। ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মনপুরা উপজেলায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। একসময় এ দ্বীপে পর্তুগিজদের আস্তানা ছিল। এজন্য এ দ্বীপে এখনো পাওয়া যায় লম্বা লোমওয়ালা কুকুর। মনপুরা ইউনিয়নের আওতাধীন দশটি চর হলো : চরতাজাম্মুল, চর পাতালিয়া, চর পিয়াল, চরনিজাম, চর সামসুউদ্দিন, লালচর, ডাল চর, কলাতলীর চর ইত্যাদি।

চর নিজাম
চর নিজাম (চর নিজাম কালকিনি নামেও পরিচিত) বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ। চর নিজামে প্রায় ২৫০টি পরিবার বাস করে। দ্বীপটি ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে আবিষ্কৃত হয়।

চর কুকরি-মুকরি
কুকরি-মুকরি ভোলা জেলায় অবস্থিত একটি দ্বীপ (চর)। এটি ভোলা জেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। স্থানীয়রা এই দ্বীপ বা চরকে ‘দ্বীপকন্যা’ ডাকে। এটি ভোলা জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে উঠেছে। কুকরি-মুকরি ইউনিয়নটি বাবুগঞ্জ, নবীনগর, রসুলপুর, আমিনপুর, শাহবাজপুর, মুসলিমপাড়া, চর পাতিলা ও শরীফপাড়া নিয়ে গঠিত। এটি এক সময় ছিল ওলন্দাজ-পর্তুগিজদের অভয়ারণ্য।

Language
error: Content is protected !!