ড. মোহাম্মদ আমীন
জাতীয় যুব দিবস : ১লা নভেম্বর
প্রতিবছর ১লা নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়। যুব ও যুব মহিলাদের আত্মকর্ম উদ্যোগে উৎসাহিত করা, সৃজনশীল কাজে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে জাতীয় কল্যাণে অবদান রাখার প্রেরণা সৃষ্টিই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য।
জাতীয় সমবায় দিবস : নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার
প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার জাতীয় সমবায় দিবস পালন করা হয়। জাতীয় সমবায় দিবস বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত একটি জাতীয় দিবস। সমবায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং সমবায় আন্দোলনে গতিশীলতা আনয়নের জন্য প্রতিবছর নভেম্বর মাসের ১ম শনিবার দিবসটিসারাদেশব্যাপী উদ্যাপন করা হয়। ১৯২৩ সাল থেকেই জুলাই মাসের প্রথম শনিবারকে আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে। তারপর ১৯৯৫ সাল থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব মোতাবেক তা ওই দিন বিশ্ব সমবায় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর পরই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে জাতীয়ভাবে এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।
জেলহত্যা দিবস : ৩রা নভেম্বর
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে। এই চার নেতা হলেন: বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এই দিবসটি স্মরণ করে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালিত হয়। ঘটনার পরদিনই ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁর নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করা হয়। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
সংবিধান দিবস : ৪ঠা নভেম্বর।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেরি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ৭ ই নভেম্বর
বাংলাদেশে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে সংঘটিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে দিবসটি পালিত হয়। কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিপ্লব জেনারেল খালেদ মোশাররফ এর ৩ দিনের সরকারের পতন ঘটায়। ফলে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থেকে মুক্তি পান, এবং ক্ষমতায় আসেন। কোন কোন সময়ে ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশে সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়েছে। তবে বর্তমানে দিবসটি কেবল বিএনপি এবং সমমনা দলের লোকজন পালন করে থাকেন।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম-এর আমলে বঙ্গভবন
ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র