বাংলাদেশ ও বাংলাদেশবিষয়ক সকল গুরুত্বপূর্ণ সাধারণজ্ঞান লিংক
ড. মোহাম্মদ আমীন
নূর হোসেন দিবস বা স্বৈরাচার বিরোধী দিবস : ১০ই নভেম্বর
১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহাদাত বরণকারী নূর হোসেনের স্মরণে প্রতিবছর ১০ই নভেম্বর দিনটি পালন করা হয়। নূর হোসেন পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। আন্দোলনের সময় তিনি বুকে “স্বৈরাচার নিপাত যাক” এবং পিঠে “গণতন্ত্র মুক্তি পাক” স্লোগান লিখে মিছিলে যোগ দেন এবং একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। দিনটিকে প্রথমে “ঐতিহাসিক ১০ নভেম্বর” হিসেবে পালন করা হলেও, আওয়ামী লীগ দিনটিকে “নূর হোসেন দিবস” হিসেবে পালন করতে শুরু করে।
সশস্ত্রবাহিনী দিবস : ২১ নভেম্বর
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২১ শে নভেম্বর বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীসহ আপামর বাঙালি সর্বদিক দিয়ে একত্রে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদারদের উপর আক্রমণ করে। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ রেখেই সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।
জাতীয় আয়কর দিবস : ৩০ শে নভেম্বর
জাতীয় আয়কর দিবস। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই দিবস বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ৩০ নভেম্বরকে আয়কর দিবস ও ব্যক্তিশ্রেণীর রিটার্ন জমার শেষ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করা হচ্ছে। আগে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস উদযাপিত হলেও ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর।
মুক্তিযোদ্ধা দিবস : ১লা ডিসেম্বর
প্রতিবছর ১লা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বেসরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চেতনা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনটিকে সরকারীভাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন।
স্বৈরাচার পতন দিবস : ৬ই ডিসেম্বর
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৬ই ডিসেম্বর সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রচণ্ড আন্দোলনের মুখে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। ওই দিনকে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর ৬ই ডিসেম্বর দিবসটি পালন করা হয়। অন্যেিদক, এরশাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি এই দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম-এর আমলে বঙ্গভবন
ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র