বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস/৩
ড. মোহাম্মদ আমীন
শহীদ দিবস/ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিসব: ২১ শে ফেব্রুয়ারি।
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত-সহ অনেকেই। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি।
১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ড. মো. ইব্রাহিমের উদ্যোগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এই দিনটিকে ডায়াবেটিস সচেতনতা তৈরিতে উপজীব্য করা হয়। এছাড়াও প্রতি বছরই ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়। ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪২ দশমিক ৫ কোটি। অথচ ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ কোটি।
জাতীয় পতাকা দিবস: ২রা মার্চ
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় প্রথম লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা আ স ম আবদুর রব। ২রা মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়েছিল, তাই এই দিন জাতীয় পতাকা দিবস পালন করা হয়। পরদিন ৩রা মার্চ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মোহাম্মদ শাজাহান সিরাজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম নিজ হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ২৩ শে মার্চ ধানমন্ডিতে তাঁর নিজ বাসভবনে। বিদেশের মাটিতে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ১৮ এপ্রিল ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে।
জাতীয় পাট দিবস : ৬ই মার্চ
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ শে জানুয়ারি প্রতিবছর ৬ই মার্চ জাতীয় পাট দিবস পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় এবং ৬ই ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে। অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বাজারে সোনালি আঁশ পাটের আগ্রহ এবং উন্নতমানের পাট উৎপাদনে প্রেরণা সৃষ্টি দিবসটির লক্ষ্য। দিবসটির প্রথম প্রতিপাদ্য বিছয় ছিল : ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ/পাট পণ্যের বাংলাদেশ’।