ড. মোহাম্মদ আমীন
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস/৪
শিশু দিবস : ১৭ই মার্চ
১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয় । তবে ১৭ই মার্চ বাংলাদেশে পালন করা হয় জাতীয় শিশুদিবস।
পতাকা উত্তোলন দিবস : ২৩ মার্চ
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডিতে তাঁর নিজ বাসভবনে সর্বপ্রথম নিজ হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া একাত্তরের এই দিনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক জনসভার ঘোষণাও দেওয়া হয় এই দিনে। দিনটি স্মরণে প্রতিবছর ২৩ শে মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালন করা হয়।
জাতীয় দিবস : ২৬ শে মার্চ
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৭ শে মার্চ জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ডাক দেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২২ শে জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ মার্চের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। এর নয় মাস পর স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন।
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস : ৩১ শে মার্চ
বাংলাদেশে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিবছর ৩১ শে মার্চ দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতিস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে আসন্ন দুর্যোগ সম্পর্কে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি কমানো ও প্রস্ততিমূলক কার্যক্রমের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্টদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা। বাংলাদেশে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১০ মার্চ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এর আগে প্রতিবছর মার্চের শেষ সপ্তাহের বৃহস্পতিবার জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত ছিল। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা দিবস মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার পড়ে। ফলে একই দিনে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফলে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ১০ মার্চ দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ৩১ মার্চ দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন করা হয়। ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নির্দিষ্ট দিনে এই দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়েছিল। এরপরের বছর থেকে ১০ই মার্চ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম-এর আমলে বঙ্গভবন
ব্যাবহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র