ড. মোহাম্মদ আমীন
নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস বা ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস : ১৩ জুন
নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই জুন দিবসটি প্রথম পালিত হয়। সে থেকে প্রতিবছর ১৩ই জুন দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
পলাশী দিবস : ২৩ শে জুন
১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ শে জুন পলাশীর আমবাগানের যুদ্ধের আড়ালে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কারণে রবার্ট লড ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে স্বাধীন বাংলার নবাব পরাজিত হয়। ফলে প্রায় ২০০ বছরের জন্য বাংলা স্বাধীনতা হারায়। ঘৃণিত ও কলঙ্কজনক এই প্রাসাদ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অধ্যায় সৃষ্টির পেছনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল জগৎ শেঠ, মীরজাফর, মাহতাব চাঁদ, উমিচাঁদ বা আমির চন্দ, মহারাজা স্বরূপচাঁদ, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ, ঘসেটি বেগমের ক্ষমতার লোভ। রাজা রাজবল্লভ, মহারাজ নন্দকুমার, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, রানী ভবানী প্রমুখের কৌশলী চক্রও এর পেছনে প্রচ্ছন্ন ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে এই স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্রীদের শিকার ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিপাহসালার নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং তার বিশ্বস্ত সেনাপতি বকসী মীরমদন, প্রধান আমাত্য মোহনলাল কাশ্মিরী ও নবে সিং হাজারী। পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পরাজয়ের স্মরণে প্রতিবছর ২৩ শে জুন দিবসটি পালিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস : ১লা জুলাই
১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ১লা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাই প্রতিবছর ১লা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়।
জন্ম নিবন্ধন দিবস : ৩ জুলাই/২৩ শে অক্টোবর
১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ২রা জুলাই ব্রিটিশ সরকার অবিভক্ত বাংলায় জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আইন জারি করে। ২০০১ -২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে ইউনিসেফ- বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ২৮টি জেলায় ও ৪টি সিটি কর্পোরেশনে জন্ম নিবন্ধনের কাজ নতুন করে শুরু হয়। জন্মের পর সরকারি খাতায় প্রথম নাম লেখানোই জন্ম নিবন্ধন। জন্মসনদ অত্যাবশ্যকীয় করার লক্ষ্যে সরকার নতুন করে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন ২০০৪ প্রণয়ন করে। আইনটি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩ রা জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে। তাই ওই তারিখ দিবসটি পালন করা হতো। তবে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ শে অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৬ই অক্টোবর তারিখকে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধ দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন এবং এবং দিবসটিকে গ শ্রেণির দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস : ২৭ আগস্ট
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ শে আগস্ট দিঘলিয়ার দেয়াড়া গ্রামে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিরীহ ৬০ জন গ্রামবাসী নিহত হন। ওই হৃদয় বিদারক ঘটনার স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়।
বহারিক প্রমিত বাংলা বানান সমগ্র