ড. মোহাম্মদ আমীন
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস
শুধু বাংলাদেশের নিজস্ব দিবসগুলোকে “বাংলাদেশের দিবস” বলা হচ্ছে। এই দিবসগুলো শুধু বাংলাদেশে পালিত হয়। অবশ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসি বাঙালিরাও এই দিবসগুলো পালন করে থাকেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস : ১০ই জানুয়ারি
বাংলাদেশের স্বাধীনতর ঘোষক যুদ্ধকালীন রাষ্ট্রপতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানে প্রায় ১০ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি স্বদেশ ফিরে আসেন। এই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর ১০ই জানুয়ারি দিবসটি পালিত হয়।
জাতীয় শিক্ষক দিবস : ১৯ শে জানুয়ারি
বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৯ শে জানুয়ারি এ দিবসটি চালু করে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর ৫ই অক্টোবর বিশ্ব ব্যাপী বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে থাকে। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে।
শহীদ আসাদ দিবস : ২০ শে জানুয়ারি
আসাদুজ্জানের শাহাদাত দিবসের স্মরণে শহিদ আসাদ দিবস পালন করা হয়। আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম কমিটির ১১ দফা আদায়ের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তাঁর মৃত্যু ঊনসত্তরের ছাত্র-গণআন্দোলনের গোটা অবয়বকেই পাল্টে দেয় এবং তা আইয়ুব খানের শাসন ও নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। প্রসঙ্গত, তিনি ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের গণ-আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তনের তিন শহীদদের একজন, অন্য দু’জন হচ্ছেন- শহীদ রস্তম ও শহীদ মতিউর।
গণঅভ্যুত্থান দিবস
২৪ শে জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অদম্য মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। সেই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে দিবসটি পালিত হয়।