ড. মোহাম্মদ আমীন
উনিশ বনাম ঊনিশ
উনিশ ও ঊনিশ কোনোটি তৎসম নয়। তবে দুটো বানানই শুদ্ধ। সংস্কৃত ঊনবিংশতি (বিশেষ্যে ১৯ সংখ্যা এবং বিশেষণে ১৯ সংখ্যক) থেকে বাংলায়

ঊনিশ ও উনিশ শব্দের উদ্ভব। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বানান-সংস্কার সমিতি (১৯৩৬ খ্রি.) উনিশ ও ঊনিশ দুই বানানই গ্রাহ্য ঘোষণা করে। তবে, কোনো শব্দের বানানে হ্রস্ব বা হ্রস্ব-স্বর ও দীর্ঘ বা দীর্ঘস্বর দুটোই শুদ্ধ বলে বিবেচিত হলে ‘হ্রস্ব’ বা ‘হ্রস্ব-স্বর’ই প্রমিত বলে গণ্য হবে। তাই বাংলা একাডেমি ‘উনিশ’ বানান প্রমিত করেছে। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে ‘ঊনিশ’ শব্দ কোনো স্থান পায়নি। প্রসঙ্গত, উনিশ শব্দের উন-এর অর্থ ন্যূন বা কম। অর্থাৎ উনিশ মানে বিশ এর চেয়ে এক কম। তেমনি, উনত্রিশ মানে ত্রিশের চেয়ে এক কম। ‘ঊনিশ’ বানান কি ভুল হবে? ভুল হবে না।
উনি ও তিনি
(১) তিনি আসবেন। (২) সে আসবে। বাক্য দুটোতে ‘তিনি’ ও ‘সে’ শব্দ দুটো নাম পুরুষের সর্বনাম। ‘তিনি’ সম্মানার্থে এবং ‘সে’ তুচ্ছার্থে বা স্নেহার্থে, অনেক সময় সাধারণার্থেও ব্যবহার করা হয়। তুচ্ছার্থে নাম পুরুষের যেসব সর্বনাম রয়েছে, সেগুলো ব্যবহারে আমরা সাধারণত ভুল করি না। কোনো কোনো সময় লিখি : ‘সে/তারা’, ‘তার/তাদের’, ‘তাকে/তাদেরকে’ আবার কখনো লিখি : ‘ও/ওরা’, ‘ওর/ওদের’, ‘ওকে/ ওদেরকে’।
সর্বনামটি জোড়ায় বর্ণিত যেকোনো উপায়ে লেখা যয়। কিন্তু সম্মানার্থে নামপুরুষের সর্বনাম ব্যবহারে অনেকেই ভুল করে থাকেন। লেখেন : ‘উনি/ উনারা’, ‘উনার/উনাদের’, ‘উনাকে/উনাদেরকে’। এভাবে লেখা সমীচীন নয়। লিখুন : ‘তিনি/তাঁরা’, ‘তাঁর/তাঁদের’, ‘তাঁকে/তাঁদেরকে’ ইত্যাদি অথবা, ‘উনি/ওঁরা’, ‘ওঁর/ওঁদের’, ‘ওঁকে/ওঁদেরকে’।
এক মিনিটের পাঠশালা

উজ্জিবীত নয়, লিখুন উজ্জীবিত।