নিরীহ ও নীরব বানান মনে রাখার কৌশল
ড. মোহাম্মদ আমীন
নিরীক্ষকগণ নীরস হন।
‘নিরীহ’ ও ‘নীরব’; ‘নিরীক্ষণ’ ও ‘নীতি’ প্রভৃতি এবং এ জাতীয় শব্দরাশির বানানের ‘ই-কার’ ও ‘ঈ-কার’ নিয়ে বহুদিন খুব সমস্যায় ছিলাম। কোনটায় আগে ‘ই-কার’ বা কোনটায় আগে ‘ঈ-কার’ হবে তা এ বুড়ো বয়সে কিছুতেই মনে রাখতে পারছিলাম না। এখন আর সমস্যা হয় না। ‘ই-কার’ আর ‘ঈ-কার’-এর চালাকি আমি ধরে ফেলেছি। এভাবে নিরীক্ষা, নিরীক্ষক, নিরীক্ষণ, নিরীক্ষিত, নিরীক্ষ্যমাণ ও নির্জীব শব্দের বানানও রপ্ত করে নিয়েছি। ‘নিরীহ’ বানানে প্রথমে ‘ই-কার’ এবং ‘নীরব’ ও ‘নীতিবান’ বানানে প্রথমে ‘ঈ-কার’ কিন্তু, কেন?
দেখুন কেন—
‘নিরীহ’ ও ‘নির্জীব’ মানুষ ‘নীরব’, ‘নীরস’ ও ‘নীতিবান’ হন। তাই ‘নিরীহ’ ও ‘নির্জীব’ বানানে প্রথমে ‘ই-কার’ এবং ‘নীরব’, ‘নীরস’ ও ‘নীতিবান’ বানানে প্রথমে ‘ঈ-কার’। তেমনি, নিরীক্ষা অফিস নিরীক্ষণকালে নিরীক্ষক নিরীক্ষিত ও নিরীক্ষ্যমাণ বিষয়ে নির্জীব ও নিরীহ থাকে বলে তাকে নীরস ও নীরব থাকতে হয়। অর্থাৎ ‘ই-কার’ এর পর ‘ঈ-কার’ আসে— মানে নিরীহ শব্দের প্রথমে ‘নি’ এবং ‘নীরব’ শব্দের প্রথমে ‘নী’। অনেকে বলেন, নিরীক্ষকগণ নীরস ও নীরোগ হন।
পড়া পরা
কাপড় পড়া যায় না। তাই মানুষ কাপড় পড়ে না
মানুষ গর্তে পড়ে, প্রেমে পড়ে, ম্যানহোলে পড়ে, টেবিলে পড়ে,
পানিতে পড়ে, কষ্টেও পড়ে। সুখেও পড়ে,
দুঃখেও পড়ে কিন্তু কখনও
কাপড় পড়ে না।
মূর্ধন্য-ণ ও দন্ত্য-ন এর উচ্চারণ কৌশল
শ্বশুর শাশুড়ি
‘শ্বশুর’ ও ‘শাশুড়ি’ নিয়ে, দুঃখিত ওদের বানান নিয়ে আমার মতো ঝামেলায় কেউ পড়েছেন কি না জানি না। এই ঝামেলা থেকে মুক্তির একটা সহজ সূত্র আছে।
অশ্বের ‘শ্ব’ এবং ‘শিশুর’ শুর মিলে হয় শ্বশুর। মনে মনে বলুন, শ্বশুর অশ্ব শিশুর মালিক। তাহলে একটা চৌকশ শ্বশুর পেয়ে যাবেন।
‘শাশুড়ি’ বানান লিখতে গেলে প্রথমে ‘শাল’ এর কথা মনে করবেন। তারপর, ‘শাল’ এর ‘শা’ এর পাশে শুয়ে মুড়ি (আবরণ) শব্দের ‘শু’ ও ‘ড়’ বসিয়ে দিন। একটা নিখুঁত শাশুড়ি পেয়ে যাবেন।
১.শ্বশুর (শ্ব+ শুর) = অশ্ব শিশুর মালিক।
২.শাশুড়ি( শা +শু+ড়ি) = শালে শুয়ে মুড়ি।
অনেকে বলেন, শ্বশুরের নিচে ব দা (বড়ো দাদা) আছেন, শাশুড়ির নিচে নেই। এটিও একটা নিমোনিক।
সবগুলো নিমোনিক জানার জন্য ক্লিক করুন :